ঈশ্বর পৃথিবীর প্রথম ছেলে ও একটি মেয়ে সৃষ্টি করেছিলেন তাদের নাম ও পরিচয় কি ছিল ?

 সৃষ্টিকর্তা যখন আকাশ ও পৃথিবী গড়ে তুললেন তখন পৃথিবীর কোনো জমিতে না ছিল কোন ঝোপঝাড় না জন্মেছিল কোন উদ্ভিদ কেননা প্রফেশ্বর তখনও পৃথিবীর উপর দৃষ্টি নামিয়ে আনেন নি আর মাটি চাষ করার জন্য কোন মানুষ হতো তখন ছিল না তখন পৃথিবীর বুক চিরে এক প্রবল জলধারা উঠে সে সব জায়গায় মাটির ওপরটা ভিজিয়ে রাখতে একসময় প্রফেশ্বর মাটি থেকে তুলে নিয়ে তা দিয়ে মানুষকে গড়ে তুললেন এবং তার নাকে ফু দিয়ে তার মধ্যে প্রাণের নিঃশ্বাস জাগিয়ে তুললেন মানুষ তখন হয়ে উঠল সজীব এক প্রাণী তারপর প্রফেশ্বর অফ দিকে এদের নামে একটি স্থানে.

 গাছপালা কুটিম একটি উদ্যান তৈরি করলেন তার গড়া সেই মানুষকে তিনি সেখানেই রাখলেন ঈশ্বর সেই উদ্যানের মাটি থেকে এমন সব গাছের জন্ম ঘটালেন যেসব গাছ দেখতে চমৎকার যেগুলি ফল খাদ্য হিসেবে ভালই উদ্যানটির মাঝখানে তখন বেড়ে উঠলো জীবন বৃক্ষ আর সেইসঙ্গে ভালো-মন্দ জ্ঞানের বৃক্ষ একটি নদী এদিন থেকে উৎসারিত হয়ে উদ্যানের মাটি ভিজে রাখছিল আর সেখান থেকে চারটি ধারায় বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল প্রথম ধারাটির নাম 2002 এটি ঘুরে ঘুরে সেই গোটা হাবিলা দেশটির মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে যেখানে সোনা পাওয়া যায় ওখানকার সোনা খাটি সোনা তাছাড়া গুলগুলার বৈদূর্যমণি ও সেখানে পাওয়া যায় দ্বিতীয় নদীটির নাম কি হন এটি ঘুরে ঘুরে গোটা কুশ দেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে. 

 তৃতীয় নদীটির নাম টাইগ্রিস এটি বয়ে চলেছে ভাসুরের পূব দিক দিয়ে আর চতুর্থ নদীটি ইউফ্রেটিস প্রভিশনস মানুষকে নিয়ে এসে তাকে এদেন উদ্যানের অধিবাসী করে তুললেন যাতে সে ওখানকার জমি চাষ করে ও দেখাশোনা করে তাকে তিনি এই আদেশ দিলেন দেখো বিজ্ঞানের যে কোন গাছের ফল তুমি খেতে পারো তবে ভালো-মন্দ জ্ঞানের যে গাছটি রয়েছে তার ফল তুমি কিন্তু কখনো খাবে না কোন দিনটা খেলে তোমাকে তো মরতেই হবে পরে একসময় প্রফেশ্বর বললেন মানুষের একা থাকা ভালো নয় তাই আমি এখন তার জন্য তার যোগ্য সঙ্গী করে তুলবো প্রফেশ্বর এবার মাটি নিয়ে তা দিয়ে গড়ে তুললেন স্থলভূমির যত জীবজন্তুকে আকাশের যত পাখিকে তারপর মানুষ.

 সব পশু পাখির কি কি নাম রাখবে তা জানতে তিনি তার কাছে তাদের নিয়ে এলেন কেননা মানুষ যে প্রাণীর যে নাম রাখবে তাকে ডাকা হবে সেই নামেই তাই মানুষ তখন একে একে সমস্ত গবাদিপশু আকাশের সমস্ত পাখি আর স্থলভূমির অন্যান্য জীব জন্তুর নাম রাখল কিন্তু মানুষকে সাহায্য করার মত তার যোগ্য সঙ্গী হওয়ার মতো কখনো কাউকে পাওয়া গেল না ঈশ্বর তখন মানুষের উপর নামিয়ে আনলেন একতারা বেশি সে ঘুমিয়ে পড়ল এই সময়ে তারিখটি পাঁজর খুলে নিয়ে তিনি মাংস দিয়ে ওই জায়গাটি ঢেকে দিলেন মানুষের বুক থেকে খুলে নেওয়ার সেই পাঁজর দিয়ে প্রফেশ্বর গড়ে তুললেন একটি নারীকে তার পর মানুষের কাছে তাকে নিয়ে এলেন তখন মানুষ বলে উঠলো শেষ পর্যন্ত এইতো আমার অস্থির অস্থির আমার মানুষের মাংস  এর নাম হবে নারী কেন নাম নরদেহ থেকেই একে তুলে আনা হয়েছে.