ইউরোপ আমেরিকা এবং কানাডার মানুষ Monkey Pox নামের এক বিরল রোগ ছড়িয়ে পড়েছে

 ইউরোপ আমেরিকা এবং কানাডার মানুষ Monkey Pox নামের এক বিরল রোগ ছড়িয়ে পড়েছে




 সম্প্রতি ইউরোপ আমেরিকা এবং কানাডার মানুষ নামের এক বিরল রোগ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বপ্রথম হাজার 958 সালে বানরের দেহে Monkey Pox  ভাইরাস পাওয়া গেছে এরপর হাজার 970 সালে এই ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় আসলে কি কিভাবে ছড়ায় এই রোগের উপসর্গ ও প্রতিকার কি এবং মাঙ্কি প্রপস কতটা বিপদজনকপক্সের  সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে .


Monkey Pox রোগটি Monkey Pox ভাইরাস নামের এক ধরনের জীবাণুর মাধ্যমে ছড়ায়



 এই ভাইরাস অনেকটা জলবসন্ত এবং গুটি বসন্তের ভাইরাসের মত তবে এর ক্ষতিকারক প্রভাব তুলনামূলক কম বিশেষজ্ঞদের মতে Monkey Pox সংক্রমণের হার জলবসন্তের চেয়ে কম খুবই বিরল এক ধরনের রোগ এই রোগ শুধুমাত্র পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে দেখা যায় তবে 2003 সালে সর্বপ্রথম রোগটি আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ে সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি দেশে একসাথে মাংসক্স ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র কানাডা অস্ট্রেলিয়া স্পেন পর্তুগাল এবং বৃটেনের স্বাস্থ্য বিভাগ মাংকি পবস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত খবর জানিয়েছে যদিও এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক কম. 


পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার বনাঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি



 সে কারণেই মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে মধ্য আফ্রিকার মানচিত্র এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানচিত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন বানানোর ইঁদুর কাঠবিড়ালি এবং মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে এই রোগ ছড়ায় কোন ভাইরাসের মত এই রোগ বায়ুবাহিত নয় সংক্রমিত রোগের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ত্বকের ক্ষত মুখের লালা নাকো চোখের পানি এবং রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হলো জ্বর মাথাব্যথা হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ বোধ করা শুরু হওয়ার পর শরীরে কটি দেখা দেয় এসব প্রথমে মুখে উঠতে শুরু করে এরপর তা হাত এবং পায়ের পাতা সহ দেহের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এই গ্রুপের জন্য রোগীর দেহে খুব চুলকানি হয় পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়. 


 গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষতচিহ্ন থেকে যায় ভাইরাসের প্রভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেশ মৃদু 



সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠে বর্তমানে এই ভাইরাসের কোনো কার্যকর চিকিৎসা নেই তবে জলবসন্ত এবং গুটি বসন্তের সঙ্গে এই রোগের মিল থাকার কারণে গুটি বসন্তের টিকা 85% কার্যকর বলে দেখা যাচ্ছে সে কারণে মানকি পক্স এর জন্য এখন এইটাই ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাংসের ভাইরাস খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না তাই ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লে এই ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই হাজার 970 সাল থেকে আফ্রিকার দশটি দেশে মাঙ্কি পক্স এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায় 2017 সালের নাইজেরিয়ায় মানুষের সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দিয়েছিল সেই বড় প্রকল্পের মাত্র 172 জন রোগী আক্রান্ত হয়েছিল তাই মাঙ্কি পক্স মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই .

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url