West Bengal Jagadhatri Puja 2022 : জগদ্ধাত্রী পূজার 2022 তারিখ ও সময় ভারতীয় সময় অনুসারে, 2022 জগদ্ধাত্রী পূজা ক্যালেন্ডার তারিখ ও সময় জগদ্ধাত্রী পূজা পদ্ধতি 2022

একসময় মন মন চাল নিত্য জমা হতো গঙ্গার ধারের এই ভারতে নৌকায় চলে যেত দূরদূরান্ত রে চন্দননগরের চাউল পট্টি তে একসময় নাকি এক এক ব্যবসায়ীর কাছে থাকতো লক্ষ লক্ষ 50 টাকা পয়সার অভাব নেই তবু এলাকাবাসীদের মন খারাপ প্রতিবছর যে সময় দুর্গাপুজো এছাড়া বাংলার মানুষ উৎসবে মাতেন সেই সময়টা তাদের কাছে শুধু কাজ আর কাজ চাল মে পেয়ার তেঁতুলে নৌকায় ভরে নানান জায়গায় পাঠাতে হয় এত ব্যস্ততা থাকে যে চারটি দিন কিভাবে কেটে যায় তা টেরও পান না তারা এবার এর একটা বিহিত না করলেই নয় গঙ্গার ধারে নিজের প্রাসাদোপম বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ইন্দ্রনারায়ন চৌধুরী তাঁর প্রতিষ্ঠিত নন্দদুলাল মন্দির থেকে সন্ধ্যা আরতির শব্দ ভেসে আসছে দীর্ঘদিন পুরুষ সর্বাঙ্গে আভিজাত্যের ছাপ একসময় নাকি যশোরে তাদের বিশাল জমিদারি ছিল জ্ঞাতিদের চক্রান্তের শৈশবে মায়ের সঙ্গে তিনি আর তার ভাই রাজা

চৌধুরী কদর 50 অবস্থায় চলে আসেন চন্দননগরে আজ তিনি সমাজের বিশিষ্ট মানুষ ধনী ব্যবসায়ী 488 গুড়ের ব্যবসা ফরাসি ভাষাটাও রীতিমতো আয়ত্তে তাগ চন্দননগরের ফরাসিদের ডানহাতি ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে প্রয়োজনে ফরাসি রাজকর্মচারীদের টাকা ধার দেন তিনি বাৎসরিক 12000 টাকার বিনিময়ে চন্দননগরের ইজারা নিয়েছেন তিনি চাউল পট্টি ব্যবসায়ীরা তার কাছে এসে দরবার করলেন এ বছর পুজোর আনন্দে শামিল হতে চান তারাও ইন্দ্রনারায়ন যেন একটা ব্যবস্থা করে দেন তাদের সাফল্যের ইন্দ্রনারায়ন অশান্ত মনে সারারাত বসে রইলেন নন্দদুলাল মন্দিরে ভোরের দিকে যখন ক্লান্তিতে দুচোখ জুড়ে এসেছে স্বপ্নে দেখা দিলেন এক জ্যোতির্ময়ী দেবী মূর্তি দেবী সিংহের উপর আসন চতুর্ভূজা গায়ের রং সকালের সূর্যের মতো সেই আলোয় যেন পৃথিবী আলো হয়ে যাচ্ছে ঘুম ভাঙতে ইন্দ্রনারায়ন.

ডেকে পাঠালেন সবাইকে বললেন দুর্গাপুজোর ঠিক এক মাস পরে তার বাড়িতে মহাসমারোহে দুর্গার আরেক রূপ জগদ্ধাত্রী পূজা করবেন তিনি সেই পুজো সকলের আমন্ত্রণ দুর্গাপূজার অংশগ্রহণ করতে না পারা কষ্ট ভুললেন চাউল্পত্তি ব্যবসায়ীরা খুশিমনে বাড়ি ফিরলেন তবে সুখের দিন স্থায়ী হল না 1856 খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে চন্দননগরের জলপথ স্থলপথ এর ফরাসি আক্রমণ চালালে লর্ড ক্লাইভ ব্যাপক লুটপাট চন্দননগরে শোনা যায় রবীন্দ্রনাথের বাড়ি লুট করে প্রায় 65 লক্ষ টাকার অলংকার নিয়ে যায় ইংরেজরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নন্দদুলালের মন্দিরও ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল ইন্দ্রনারায়ন এর প্রাসাদ নিরাশ্রয় হলেন দেবীও পরিস্থিতি দেখে শুনে ইন্দ্রনারায়ন এর বাড়ির পুজো নিয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা আজো এই পুজো হয় সেখানে জগদ্ধাত্রী কে এখানে বলা হয় আদিমা পরে এই পুজো থেকে বিস্তার লাভ করে চন্দননগরের অন্যান্য সব জগদ্ধাত্রী পুজো.