Nuclear Bomb: পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের সম্পূর্ণ ইতিহাস

 Nuclear Bomb: পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের সম্পূর্ণ ইতিহাস


মানব সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবথেকে শক্তিশালী হাতিয়ার মানুষের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে:


মানব সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবথেকে শক্তিশালী হাতিয়ার মানুষের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে সেটি হল পারমাণবিক বোমা একটি পারমাণবিক বোমা দিয়ে নিমেষের মধ্যে একটি বড় শহর কে ধ্বংস করে ফেলা যায় এমনকি লক্ষ লক্ষ মানুষকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হত্যাও করা যায় জাপান এবং একমাত্র শিকার যেখানে আজও এবং রেডিয়েশন এর ফলে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয় তবে আপনি জানলে অবাক হবেন এই বিধ্বংসী বোমা' আজ সারা পৃথিবী জুড়ে শান্তির একটি বড় কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একদম শেষের দিকে এই বোমা আবিষ্কার হয়েছিল আর এই বোমার ভয়াবহতা থেকে আজ পর্যন্ত কোন দেশ এই বউমাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেনি কারণ তারা জানে যে এই বোমা ব্যবহার করলে মানব জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে রাশিয়াকে ক্রমাগত আমেরিকা দুমকি দিলেও তারা কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে যাচ্ছে আর তার কারণ এই পারমাণবিক হাতিয়ার আর আপনি কি জানেন আমেরিকার আগে হিটলার এই বোমা বানানোর চেষ্টা করেছিল এবার প্রশ্ন হল হিটলার কেন এই বোমা বানাতে সফল হল না .

আমেরিকা পারমানবিক বোমা আবিষ্কার করেছিল বন্ধুরা  পারমানবিক বোমা আবিষ্কারের চেষ্টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছিল আরে পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের চেষ্টা জার্মানি প্রথম শুরু করেছিল সে সময়ে বিধ্বংসী বোমা আবিষ্কারের কথা আমেরিকা ও জানতো না জার্মানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হেরে যায় তখন জার্মানির উপর প্রচুর পরিমাণে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয় যার ফলে যে জার্মানি একটা সময় ক্ষিপ্ত হয়েছিল যে জার্মানির জাতীয় বিমানটি কতটা বেশি জার্মানরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হার ঠিকমতো মেনে নিতে পারছিল না এমন একজন জার্মান ছিলেন নোবেল পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ 1933 সালে যখন হিটলার

 মানুষদের মনে আশার আলো যোগায় এবং জার্মানির হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তখন জার্মানির মানুষেরা তাকে সমর্থন জানায় 1933 সালে হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন সেই সময় বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ একটি বোমা বানানোর প্রস্তাব দেয় যাতে মাত্র একটি বোমা দিয়ে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাজার টিএনটি ফাটলে যে শক্তি বের হয় তা বের হবে সে সময় হিটলারকে এই বোমা বানানোর কাজে নিযুক্ত করেন এরপর বেশ কিছু বছর কেটে যায় আর এই বোমা বানানোর কথা জার্মানির গোটাকয়েক সাইন্টিস্ট এবং হিটলারের কয়েকজন খাস লোক ছাড়া আর কেউ জানতেও পারেনি এদিকে 1939 সালে হিটলারের পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তখন আর একজন মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন খোঁজ পান যে জার্মানরা গোপনে একটি পারমাণবিক হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে তখন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট কে এই বোমার বিষয়ে জানান সাথে তিনি এটাও জানেন যদি এই বোমা জার্মানরা কি বানিয়ে ফেলে তাহলে জার্মানদের যুদ্ধে হারানো অসম্ভব হয়ে যাবে.

সেই সময় অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নাম সারা বিশ্ব জুড়ে ছিল ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট বুঝে যান আলবার্ট আইনস্টাইন যখন বলছেন তাহলে এই কথার গুরুত্ব অনেক বেশি আর তারপর থেকেই আমেরিকার সব থেকে বড় 30 ল্যাবরেটরীতে বোমা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে যায় এই বোমা কোন সাধারণ ভ্রমণে যেতে আগুন ধরিয়ে দিলেই ব্লাস্ট করবে এই বোমা বানানোর জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞানের উচ্চতর জ্ঞান সেই সময় আমেরিকার বহু নামিদামি বিজ্ঞানী মজুর ছিলেন এমনকি আইনস্টাইন নিজের বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন থিউরি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন এদিকে আমেরিকায় এটাও নজর রাখছিলো যে জার্মানির বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গ পারমানবিক বোমা সম্পর্কে কেউ না জানতে পারে এই কারণে তারা সিআইএ'র গুপ্তচর নিযুক্ত করেছিল আর তাদেরকে বলা হয়েছিল যদি মনে হয় হাইজেনবার্গ এই বোমা বানাতে সফল হচ্ছে তাহলে যেন তাকে হত্যা করা হয় তবে হাইজেনবার্গ বোমা আবিষ্কারের পথে সাধারণ সমস্যা গুলো ছিল সেগুলো সলভ করতে পারছিল না তাছাড়া তার টিমে যে বিজ্ঞানীরা ছিলেন তাদের জ্ঞান এই বিষয়ে অনেক কম ছিলো হিটলার জার্মানির ইহুদিদের উপর যে অত্যাচার করেছিল তা দেখে বহু বিজ্ঞানী আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল .

আমেরিকায় 1942 সালে আমেরিকা পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের জন্য ম্যানহাটন প্রজেক্ট শুরু করে যাতে প্রায় 1 লক্ষ 30 হাজার মানুষ যুক্ত ছিল তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই প্রজেক্টে কাজ করা 99% মানুষ জানত না যে তারা একটি বোমা বানাতে চলেছে সেই সময় এই প্রোজেক্টের জন্য আমেরিকা প্রায় 2 বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল যার বর্তমান মূল্য 22 বিলিয়ন ডলার এই প্রযুক্তির প্রধান ছিলেন বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার ওপেনহাইমার ইন্টারভিউতে একবার উল্লেখ করেছিলেন তিনি ভগবত গীতা থেকে প্রচুর পরিমাণে ইন্সপায়ার্ড হয়েছেন তিনি ভগবত গীতা পড়ার জন্য সংস্কৃত শিখেছিলেন  দীর্ঘ তিন বছর ধরে ম্যানহাটান প্রযুক্তির উপর কাজ করা হয় অবশেষে 1945 সালের 16 ই জুন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা একটি সফল বোমা তৈরি করে ফেলে.

এইভাবে পৃথিবীর প্রথম পারমানবিক বোমা আবিষ্কার হয়েছিল:

হাজার হাজার ইলেকট্রিক তার একটি তারা যদি এদিক-ওদিক হয়ে যেত তাহলে পুরো প্রজেক্ট ফাইল নষ্ট হয়ে যেত এবং সরাসরি 350 মিলিয়ন ডলার চলে যেত 1945 সালের 16 জুলাই ভোর সাড়ে পাঁচটায় এইচডি নামের বোম ব্লাস্ট করা হয় বোমা ব্লাস্ট এর জন্য আমেরিকার নিউ মেক্সিকো রাজ্যের একটি মরুভূমিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যখন বোম ব্লাস্ট হয় তখন বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার এর মুখ থেকে একটি সংস্কৃত শ্লোক বের হয় যা ভগবত গীতার মধ্যে লেখা আছে যার অর্থ যখন আকাশে হাজারটি সূর্য একসাথে বিস্ফোরিত হবে এবং সেই বিস্ফোরণের ফলে যে আলো সৃষ্টি হবে তখন তুমি কিশোরী শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারবে না ফলে যে পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল তা 23000 টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এর থেকে অনেক বেশি ছিল আর এইভাবে পৃথিবীর প্রথম পারমানবিক বোমা আবিষ্কার হয়েছিল আর এরপর ঠিক কি কি ঘটেছিল তা আপনারা সবাই জানেন হিটলারের শেষ ভরসা পারোমানিক বোমা কখনো সফল হয়নি আমেরিকা জাপানের উপর পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল যাতে কয়েক লক্ষ মানুষ মারা যায় .

নিক্ষেপ নিয়ে বিজ্ঞানীরা আপত্তি জানিয়েছিলেন তারা চাননি এমন বিধ্বংসী হাতি আর মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হোক কারণ শুরুর দিকে আমেরিকান সরকার বলেছিল এটা শুধুমাত্র জার্মানি এবং জাপানকে ভয় দেখানোর জন্য বানানো হচ্ছে যাতে তারা যুদ্ধে হার মেনে নেয় তবে তাদের আপত্তি গুরুত্ব দেয়নি আমেরিকান সরকার ধীরে ধীরে সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্থাৎ রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চায়না ,ভারত-পাকিস্তান, নর্থ করিয়া এই সব দেশের কাছেও পারমাণবিক হাতিয়ার চলে আসে.

পারমানবিক বোমা কিভাবে কাজ করে :

 পারমানবিক বোমা কিভাবে কাজ করে এখানে পারমাণবিক বোমার বিষয়ে খুবই সাধারণ তথ্য আপনাদেরকে জানাবো কারণ এটা বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে কোন বস্তুকে যদি খুব ছোট ছোট করা না হয় তাহলে সবশেষে পড়ে থাকে একটি পরমাণু লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি পরমাণু দিয়ে একটি বস্তু গঠিত হয় যদি এই পরমাণুগুলো কে ভেঙে ফেলা যায় তাহলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন হয় ইউরেনিয়াম নামের একটি পদার্থ আছে যা একটি তেজস্ক্রিয় মৌল এই মৌলের মধ্যে থাকা পরমাণু কে ভেঙে ফেলা অনেক সহজ এই কারণে পারমাণবিক বোমা বানানোর জন্য ইউরেনিয়ামের ব্যবহার করা হয় যখন ইউরেনিয়ামের একটি পরমাণু ভেঙে যায় তখন প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় তখন সেই তাপ বাকি পরমাণু ভাঙতে শুরু করে ফলে একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু হয় এই চেইন রিঅ্যাকশন কে যদি কন্ট্রোল করা না যায় তাহলে তখন সেটি নিউক্লিয়ার বোমার রূপ নেয় আর যদিও চেঞ্জ একশন কে কন্ট্রোল করা যায় মানে আপনি যদি পরমাণুর ভেঙ্গে যাওয়া কি আটকাতে পারেন তাহলে এটির সাহায্যে অনেক শক্তি উৎপন্ন করা যায় আর উন্নত দেশগুলোতে কয়লার বদলে এই ইউরেনিয়াম দিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা যেতে পারে যেখানে 3 টন কয়লা পুড়িয়ে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায় সেখানে মাত্র 1 কেজি ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব আর ইউরিনাল থেকে উৎপন্ন হওয়া বিদ্যুৎ পরিবেশের জন্য ভালো কারণ কয়লা বাতিল করলে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় পারমাণবিক বোমার প্রক্রিয়াকে মানুষের ভালো কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে .

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url