সমর্থকদের মিষ্টিমুখ করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 


সমর্থকদের মিষ্টিমুখ করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


গোয়ায় বেঙ্গালুরু এফসিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে এটিকে-মোহনবাগানকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে তিনি মোহনবাগান মাঠে এসে সংবর্ধনা জানালেন প্রীতম কোটাল, বিশাল কাইত, জুয়ান ফেরোন্দোদের। উপহার দিলেন বাংলার মিষ্টি। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মোহনবাগানের ক্লাবের উন্নয়ন ও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মিষ্টিমুখ করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।

সোমবার দুপুর বারোটা কুড়ি নাগাদ মোহনবাগান মাঠে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। উৎসব অবশ্য তার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সবুজ-মেরুন উত্তরীয় পরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। ফুটবলার, কোচ ও দলের অন্যান্য সদস্যদের উত্তরীয় পরিয়ে মিষ্টি উপহার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি গত বছরও মোহনবাগানে এসেছিলাম। ক্লাবটা সুন্দর ভাবে গড়ে দিয়েছিলাম। বাংলার তিনটে ক্লাবেরই উন্নতি করেছে আমাদের সরকার। আমি আজ সমর্থকদের মিষ্টি খাওয়ার জন্য ও মোহনবাগান ক্লাবের উন্নতির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি। অরূপকে বলব টাকাটা দিয়ে দেওয়ার জন্য।’’

মোহনবাগানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, গোটা দেশের সামনে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন প্রীতমরা। বলেন, ‘‘আপনারা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বাংলাই পথ দেখায়। বাংলাই পথ দেখাবে। আগামী দিনে আপনারা বিশ্বজয় করবেন। মোহনবাগান এ ভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’’

আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই গোয়ার ফতোরদায় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সঞ্জীব গোয়েন্‌কা ঘোষণা করেছিলেন, আগামী মরসুমে মোহনবাগানের নামের আগে এটিকে থাকবে না। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে খেলবে দল। এটিকে সরে যাওয়ায় খুশি মুখ্যমন্ত্রীও। বললেন, ‘‘এটিকে শুনতে ভাল লাগে না। 

গোর্খাদের বিরুদ্ধে খালি পায়ে লড়াই করে শিল্ড জিতিয়েছিলেন গোষ্ঠ পাল। মোহনবাগান একটা আবেগ। বাংলা আজ ভারতসেরা। মোহনবাগান আজ ভারতসেরা। আমরা গর্বিত।’’ তাঁর মা যে মোহনবাগানের সমর্থক ছিলেন তা-ও জানান। বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই দেখতাম মোহনবাগানের খেলা থাকলে মা কালীঘাটের মন্দরি পুজো দিতে যেতেন। আমার দাদাও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জড়িত থাকলেও আসলে মোহনবাগানেরই সমর্থক।’’ যোগ করেন, ‘‘আমার বাবা কালীঘাট মিলন সঙ্ঘের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন।’’ সংবর্ধনার মঞ্চ থেকে দর্শকদের দিকে বলও ছোড়েন তিনি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url