Pakistani Attack: সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, ব্ল্যাকআউট বানচাল করে ভারত

ভারতের ১৫টি শহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ব্যর্থ চেষ্টার কয়েক ঘন্টা পর, পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ এবং রাজস্থান, গুজরাট এবং পাঞ্জাবের সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করে, যা এক বিরাট শত্রুতা তৈরি করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় যখন প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ চলছে, তখন শীতকালীন রাজধানী জম্মুতে অবিরাম বিমান হামলা চলছে। রাজস্থানের জয়সলমীরে পাকিস্তানি ড্রোন আটকানো হয়েছে। গুজরাটের স্যার ক্রিকের কাছে একটি পাকিস্তানি ড্রোন আটকানো হয়েছে।

রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে, জম্মু থেকে জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং তারপরে সাইরেনের শব্দ এবং ব্ল্যাকআউট হয়। স্থানীয়দের পাঠানো মোবাইল ফোন ভিডিওতে আকাশে আলো ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়, যা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আটকানোর ইঙ্গিত দেয়।

বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার সাথে সাথে, প্রতি মিনিটে আকাশ আলোকিত হচ্ছে। মাটিতে, যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। শহরের কিছু অংশে মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে -- বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা স্থানীয়দের জন্য একটি অতিরিক্ত বাধা।

জম্মু ও কাশ্মীরের আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা এবং হীরানগর এলাকায় ভারী সামরিক স্থাপনা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যেগুলি বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানি-উত্পাদিত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসারে গতিশীল এবং অ-গতিশীল ক্ষমতা ব্যবহার করে হুমকিগুলি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে X-এর একটি পোস্টে, যা পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত ছিল, কোনও হতাহত বা বস্তুগত ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং তার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

সূত্র জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সারগোধা বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর সশস্ত্র বাহিনী একটি F-16 সুপারসনিক ফাইটার জেট গুলি করে ভূপাতিত করেছে। সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, বাহিনী একটি ভারতীয় ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র 30 কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাবের পাঠানকোটও পাকিস্তানের ভারী কামানের গোলাগুলির শিকার হয়েছে। শহরটি একটি কৌশলগত এবং কৌশলগত এলাকা এবং জম্মুর প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করে।

জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের আওতায় রয়েছে। পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়, ফিরোজপুর, মোহালি এবং গুরুদাসপুর এবং রাজস্থানের কিছু অংশে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে - যা পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া আরেকটি রাজ্য। গুজরাটেও ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় চলমান পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে আইপিএল ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এইচপিসিএ স্টেডিয়াম খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং এর আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যুরো দেশজুড়ে সমস্ত বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দরগুলিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।

বর্ধিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে বোর্ডিং করার আগে সমস্ত যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক সেকেন্ডারি নিরাপত্তা পরীক্ষা, সীমিত টার্মিনাল অ্যাক্সেস, শুধুমাত্র বৈধ টিকিটধারী যাত্রীদের অনুমতি দেওয়া, সম্পূর্ণ সিসিটিভি নজরদারি, ফ্লাইটে এয়ার মার্শালদের বর্ধিত মোতায়েন, প্রবেশপথে কঠোর যানবাহন এবং যাত্রীদের চেক, এলোমেলো লাগেজ স্ক্রীনিং সহ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে কথা বলেছেন। "পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবিলম্বে উত্তেজনা হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রতি মার্কিন সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং যোগাযোগ উন্নত করার অব্যাহত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করেছেন," মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন।

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর বিশাল সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানোর একদিন পরই এই হামলা চালানো হয়।

সরকার এবং সেনাবাহিনী বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে এই হামলাগুলি উত্তেজনাপূর্ণ নয়, সুনির্দিষ্ট, নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমাপযোগ্য।

পাকিস্তান আজ ভোরে শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় সহ ১৫টি শহরে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে, যা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ব্যর্থ করে দেয়।

সেনাবাহিনী লাহোর সহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানি বিমান প্রতিরক্ষা রাডার এবং সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে এবং নিরপেক্ষ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সরকার বলেছে যে, ভারতীয় বাহিনীর প্রতিক্রিয়া "পাকিস্তানের আক্রমণের মতোই (এবং) একই তীব্রতার সাথে" ছিল।

"ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, যদি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এটিকে সম্মান করে," সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে।