Sirsa missile Pakistan: হরিয়ানার সিরসায় পাকিস্তানের বিমান হামলার চেষ্টা ব্যর্থ

ABP NEWS

১০ মে, ২০২৫

সিরসাকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট পালন করা হবে। হরিয়ানার সিরসার উপর পাকিস্তানের একটি বিমান হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। সিরসার জেলা প্রশাসনের মতে, বিমান বাহিনী স্টেশনের কাছে সিরসার মাঠের দুটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো বস্তুর অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং জেলা পুলিশের দল উভয় স্থানে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে এবং সরিয়ে নেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে, হরিয়ানার তিনটি জেলা, যার মধ্যে পঞ্চকুলা, আম্বালা এবং পানিপথ অন্তর্ভুক্ত, সন্ধ্যা ৭টা থেকে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট হয়ে গেছে। সিরসাকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট থাকবে। আম্বালা বিমান বাহিনী স্টেশনেও বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হরিয়ানার ৭,৫০০টি গ্রামে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

পাকিস্তানের ড্রোন শত্রুতা

গত রাতে ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো এক ঝাঁক ড্রোন উত্তরে লেহ থেকে দক্ষিণে স্যার ক্রিক পর্যন্ত ২৬টি স্থানে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বেশিরভাগ ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি ড্রোন হামলা দেখা গেছে, যেখানে একটি পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রাজস্থানের বারমেরেও ড্রোন দেখা গেছে, অন্যদিকে জয়সলমেরে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে।

পাকিস্তানও রাতভর সীমান্ত পেরিয়ে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। কুপওয়ারায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, রাজৌরিতে পাকিস্তানের একটি গোলা তার বাড়িতে আঘাত হানার পর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তান গতকাল জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরে অবস্থিত তিনটি ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল - সবগুলোই জম্মু ও কাশ্মীরের, কিন্তু হুমকিগুলো নস্যাৎ করা হয়েছে।

ভারত পাল্টা হামলা চালিয়েছে

পাকিস্তানের প্রতিকূল আচরণের তীব্র প্রতিশোধ নিয়েছে ভারতীয় বাহিনী এবং সীমান্তের ওপারে বেশ কয়েকটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস করেছে। সন্ত্রাসীদের টিউব-লঞ্চড ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত একটি লঞ্চপ্যাডও ধ্বংস করেছে তারা।

সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করার সাথে সাথে ভারতীয় বাহিনী প্রতিশোধ হিসেবে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক পোস্ট এবং একটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করেছে। ভারতীয় বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া লঞ্চপ্যাডটি টিউব-লঞ্চড ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। জম্মুর কাছে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অভিযান চালিয়েছে, তারা আরও জানিয়েছে।

আজ ভোরে পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতেও শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাওয়ালপিন্ডির নূরঝান বিমান ঘাঁটি, চাকওয়ালের মুরিদ বিমান ঘাঁটি এবং ঝাংয়ের রফিকি বিমান ঘাঁটি, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মতে।

ইসলামাবাদ থেকে ১০ কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত নূর জাহান বিমান ঘাঁটি পাকিস্তানের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্থাপনাগুলির মধ্যে একটি। পূর্বে চাকলালা বিমান ঘাঁটি নামে পরিচিত, এটি বিমান বাহিনী এবং ভিআইপি পরিবহন উভয় কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি পাকিস্তানের সামরিক সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত।

অপ সিন্দুর এবং পাক এসকেলেশন

২২ এপ্রিল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৬-৭ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে। এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের গভীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী শিবিরে হামলা চালায় ভারত।

পাকিস্তান সন্ত্রাস রপ্তানির জন্য পরিচিত। ভারত পাকিস্তানকে বিশ্বজুড়ে হামলা চালানোর জন্য সন্ত্রাসীদের আশ্রয় এবং অর্থায়নের অভিযোগ করে আসছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনী খুঁজে পেয়েছিল এবং নির্মূল করেছিল।

অপ সিন্দুর পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির জোরালো প্রমাণ সরবরাহ করেছে। পিছিয়ে পড়া পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করার চেষ্টা করছে যাতে বেসামরিক প্রশাসনের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর সামরিক শাসনব্যবস্থা প্রাসঙ্গিক থাকে।

ইসলামাবাদের (অথবা রাওয়ালপিন্ডির সামরিক সদর দপ্তরের) উত্তেজনায় ভারতের সামরিক স্থাপনা এবং বিমানঘাঁটিতে বারবার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা এই ধরনের আক্রমণকে নিরপেক্ষ করে।

ভারত গতকাল পাকিস্তানকে অভিযোগ করেছে যে তারা বেসামরিক বিমানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, কারণ তারা তাদের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে পারে। এই ধরনের অভিযোগের মুখে অবশেষে আজ সকালে পাকিস্তান সমস্ত বেসামরিক এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।