Black Full HD Krishna Images HD Lord Krishna Images Beautiful Radha Krishna Images HD

বিভিন্ন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী তিনি ধর্ম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানকারী একজন প্রাচীন ভারতীয় রাজপুত্র ও রাজা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী পূর্ব যুগে প্রচলিত কৃষ্ণ ধর্ম প্রাচীন বৈদিক ধর্ম নিয়েও খ্রিস্টীয় যুগের শুরু থেকেই ভক্তিবাদের মায়াবী চেতনায় ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে উঠেছেন উপাস্য অবতার এই ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কৃষ্ণের পূজা করে থাকে যদিও কিংবা উপনিষদে কৃষ্ণ নামের উল্লেখ পাওয়া যায় না একাধিক বৈষ্ণব সম্প্রদায় তাকে বিষ্ণুর অবতার রূপে গণ্য করা হয় অন্যদিকে খ্রিস্টধর্মের অন্যান্য সম্প্রদায়ের গুলিতে তাকে স্বয়ং ভগবান মর্যাদা দেয়া হয়েছে কিন্তু এ কৃষ্ণ ধর্মের অনুসারী গণতন হিন্দু শাস্ত্রের উপনিষদ থেকে অনেকটাই ভিন্ন পন্থী বৃষ্টি শব্দের অর্থ কালো বা ঘননীল গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র অনেকেই কৃষ্ণ শব্দটি সর্বাকর্ষক.

ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করে থাকেন ভাগবত পুরাণে কৃষ্ণকে প্রায়ই বংশীবাদন রত এক কিশোরী রূপে বর্ণনা করা হয়েছে আবার ভগবদ্গীতায় তিনি এক পথ প্রদর্শক এবং সহায়ক তরুণ রাজপুত্র হিসেবে রূপায়িত হয়েছেন সমগ্র মহাভারত কাব্যে তিনি একজন কূটনীতিক হিসেবে পান্ডব পক্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের রথের সারথি রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন হিন্দু দর্শন ও ধর্মতাত্ত্বিক ঐতিহ্যে কৃষ্ণ সংক্রান্ত উপাখ্যান গুলি বহুধা পরিব্যপ্ত তাকে কল্পনা করা হয়ে থাকে বিভিন্ন রূপে কখনো শিশু দেবতা কখনো রঙ্গ কৌতুকপ্রিয় কখনো আদর্শ প্রেমিক কখনো নায়ক আবার কখনো বা সর্বোচ্চ ঈশ্বর কৃষ্ণ সংক্রান্ত উপখ্যান গুলি মূলত লিখিত আছে মহাভারত হরিবংশ ভাগবত পুরাণ ও বিষ্ণু পুরাণ গ্রন্থে চতুর্থ কৃষ্টপুর থেকেই বাসুদেব কৃষ্ণ গোপাল প্রভৃতি কৃষ্ণের. 

রুপের পুজারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের কথা সৃষ্টির নবম শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতে কৃষ্ণ ভক্তি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ভারতে কৃষ্ণ ধর্মসম্প্রদায়গুলির সুপ্রতিষ্ঠিত হয় মোটামুটি একাদশ শতাব্দীর নাগাদ দশম শতাব্দী থেকেই ভক্তি আন্দোলনের ক্রমবিস্তার এর ফলে কৃষ্ণ শিল্পকলার এক মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠেন উড়িষ্যার জগন্নাথ মহারাষ্ট্রে বিধবা রাজস্থানে শ্রিনাঠজি প্রভৃতি কৃষ্ণের রূপ গুলি কে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক ভক্তি সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করেছে এবার চলুন আরও বিস্তারিত ভাবে শ্রীকৃষ্ণের প্রারম্ভিক জীবন এবং অন্যান্য তথ্য গুলো জানার চেষ্টা করি সংস্কৃত কৃষ্ণ শব্দটির অর্থ কালো ঘন ঘন নীল কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে কৃষ্ণের মূর্তি গুলিতে তার গায়ের রং সাধারণত কালো এবং ছবিগুলিতে নীল দেখানো হয়ে থাকে শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষী গণনা ভিত্তিতে লোক বিশ্বাস.

কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল 3228 খ্রিস্টপূর্বাব্দের 18 অথবা 21 আগস্ট বুধবার কৃষ্ণের জন্মদিন কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী জন্মাষ্টমী নামে পালিত হয় কৃষ্ণ রাজধানী মাচুলার রাজ পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি বাসুদেব দেবকীর অষ্টম পুত্র ছিলেন তাঁর পিতা মাতা উভয়েই যাদব বংশীয় ছিল দেবকীর দাদা কংস তাদের পিতা উগ্রসেনকে বন্দি করে সিংহাসনে আরোহন করেন একই দৈববাণীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তানের হাতে তার মৃত্যু হবে এই কথা শুনে তিনি ঔষধের কে কারারুদ্ধ করেন এবং তাদের প্রথম ছয় পুত্রকে হত্যা করেন রুহানিকে প্রদান করলে বড় রামের জন্ম হয় এরপরই কৃষ্ণ জন্ম গ্রহণ করেন কৃষ্ণের জীবন বিপন্ন জেনেই জন্ম রাত্রেই দৈব সহায়তায় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বসে থাকে.

তার পালক মাতা পিতা যশোদা ওনাদের কাছে রেখে আসেন কৃষ্ণ ছাড়া বসুদেবের আরো ওই দুই সন্তানের প্রাণরক্ষা হয়েছিল প্রথম এবং দ্বিতীয় জয় সুভদ্রা ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী কোন প্রকার যৌন সঙ্গম ব্যতিরেকী কেবলমাত্র মানসিক রোগের ফলে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল হিন্দুরা বিশ্বাস করেন সে যুগে এই ধরনের সম্ভব ছিল কৃষ্ণের ছেলেবেলার গল্প গুলি থেকে জানা যায় কীভাবে তিনি একজন রাখালবালক হয়ে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এতটাই দুর্ধর্ষ এবং অপ্রতিরোধ্য প্রকৃতির ছিলেন যে তিনি তার প্রাণনাশের চেষ্টা গুলিকে চমকপ্রদভাবে বানচাল করে দিতে পারতেন এবং বৃন্দাবন দাসের জীবন রক্ষা করতেন কৃষ্ণের প্রাণনাশের জন্য শংসাপত্র সহ অন্যান্য রাক্ষস দের প্রেরণ করে সকল কে হত্যা করেন কৃষ্ণ কৃষ্ণের খোঁজ পাওয়া গেলে কংস পত্না নামক এক রাক্ষসী কে পাঠান শ্রীকৃষ্ণ কে হত্যা করতে মাত্র 6 মাস বয়সেই.

খুশি কে হত্যা করেন শ্রীকৃষ্ণ জিরা খুশির উচিত ছিল 18 কিলোমিটার দীর্ঘ এক বিরাট যমুনার জল বিশুদ্ধ করে রেখেছিল এই জল পান করে রাখ গরুর মৃত্যু হত প্রায়শই এই কালি ওনাকে অপরাধের শাস্তি দেয় হিন্দু চিত্রকলায় অনেক স্থানেই উপযুক্ত কালিয়া নাগ-এর উপর কৃষ্ণের ছবি দেখা যায় এ ধরনের আকৃতির শত্রুদের বিরুদ্ধে তার একক হামলা ও তাদের পরাস্ত করার কৌশলী যেকোনো চৌকষ ও মেধাবী সামরিক কর্মকর্তার দুর্ধর্ষ তাকে হার মানায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে প্রথাগত বৈদিক ধর্ম ও তার দেব-দেবীদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণের এই অবস্থান আধ্যাত্মিক ভক্তি আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে বৃন্দাবনে গোপীদের নিয়ে কৃষ্ণের লীলা ও ভারতীয় সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় বিষয় রাধার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে গীতগোবিন্দ রচয়িতা জয়দেব সহ.

 আন্দোলনের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক শ্রীকৃষ্ণ যৌবনে মা চূড়ায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং তার মামা কংসের অনুগামীদের দ্বারা সংঘটিত হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষা করে কংসকে বধ করেন তিনি কবিতা অগ্রসেন পুনরায় যাদবপুরের রাজা হিসেবে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করেন এবং নিজে সেখানে অন্যতম যুবরাজ হিসেবে অবস্থান করেন এই সময় তার সাথে ওজন সহ অন্যান্য পান্ডব রাজপুতদের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে পরবর্তীকালে তিনি যাদের নিয়ে দারোকা নগরীতে অসাধু না গুজরাতে চলে আসেন এবং সেখানেই তার রাজত্ব স্থাপন করেন কৃষ্ণবিবর রাজ্যের রাজকন্যা মিনিকে তার অনুরোধে শিশুপালের শাখের অনুষ্ঠেয় বিবাহ মন্ডপ থেকে হরণ করে নিয়ে এসে বিবাহ করেন এরপর.

 বিশ্ব 16100 নারীকে নরকাসুর নামক অসুরের কারাগার থেকে উদ্ধার করে তাদের সম্মান রক্ষার্থে বিবাহ করেন কৃষকদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রধান অস্ত্র ভার্যা নামেও অভিহিত করা হয় এরা হলেন রুক্মিণী সত্যভামা জাম্ববতী কালিন্দী মিত্রবৃন্দা নদী ভরা এবং কৃষ্ণ নরকাসুর বধ করে সমস্ত নারী বন্দীকে মুক্ত করেন তৎকালীন সামাজিক রীতি অনুসারে বন্দি নারীদের সমাজে কোন সম্মান ছিল না এবং তাদের বিবাহের কোনো উপায় ছিল না কারণ তারা ইতিপূর্বে নরকাসুরের অধীনে ছিল বৈষ্ণব মতে কৃষ্ণের সমস্ত মুন্সিগঞ্জ ছিলেন দেবী লক্ষ্মীর অথবা সেই সব নারীরা বহু জন্মে তপস্যা বৃষ্টি হওয়ার অধিকার লাভ করেছিলেন এছাড়া তার এক স্ত্রী সত্যভামা ছিলেন রাধার অংশ শ্রীকৃষ্ণের 16 হাজারেরও অধিক পথভ্রষ্ট ভার্যা সম্পর্কে সঠিক.