পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগর কোথায় অবস্থিত এর আয়তন এবং বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা

 পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর প্রশান্ত মহাসাগর কোথায় অবস্থিত এর আয়তন এবং বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা




 মানুষ ভালোবাসে রহস্যকে প্রশান্ত মহাসাগর অনন্ত রহস্য পৃথিবীর চারপাশে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে রেখেছে এই মহাসাগর এর প্রতিটি বাকি রয়েছে গল্প প্রতিটি কোনায় রয়েছে বিস্ময় বিস্ময় মানুষ জয় করতে চেয়েছে চেয়েছে সব রহস্যের সমাধান করতে কিন্তু করতে পেরেছে কি আজকে আমরা প্রশান্ত মহাসাগর সম্পর্কে নানা জানা-অজানা তথ্য জানবো মানুষ বড়ই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এতটাই যে প্রায়ই আমরা খবরে দেখি.


 মানুষ একটা নৌকা নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে কেউবা সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করছে কাজটা কিন্তু ভীষণ কঠিন এমনকি বড় কোন জাহাজে কাজটা ভীষণ চ্যালেঞ্জের কারণ এর আয়তন পৃথিবীতে যত খানি ভূপৃষ্ঠ বামাতি আছে তার চেয়ে বেশি প্রশান্ত মহাসাগরের আয়তন বলা হয় পৃথিবীর যত খানি জল ভাগ আছে তার 46% আছে এই মহাসাগরের আয়তন এর বিশাল এমন কিন্তু না এর গভীরতা ও চমকে যাওয়ার মতো এই মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নামে একটি জায়গা আছে যেখানে কেউ ডুবে গেলে চলে যাবে 35 হাজার ফুট পানির নিচে অর্থাৎ আস্ত এভারেস্ট এখানে ডুবিয়ে দিলে সেটি  আরও সাত হাজার ফুট জায়গা থেকে যাবে যদিও পুরো মহাসাগরের গভীরতা এমন না ঘরের 14 হাজার ফুট গভীরতা. 


ঠাকুরের শুধু আয়তন আর গভীরতা এর চ্যালেঞ্জ নয় এই মহাসাগর পাড়ি দিতে দিতে মুখোমুখি হতে হয় প্রভুর ভূমিকম্পের নিরবে চলে যাচ্ছে কিন্তু রয়েছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি এক হিসেবে দেখা গেছে 452 টা আগ্নেয়গিরি আছে এই অঞ্চলে এই ভয়ানক অঞ্চলকে বলা হয় রিং অফ ফায়ার তাই কোন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পানির নিচে যে প্রবল ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় তাতে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা নানা বিপদে পড়তে পারেন সুনামির জলোচ্ছ্বাস এভাবে সৃষ্টি হয়েছিল এবং ভূমিকম্প নয় পানির নিচে লুকিয়ে আছে আরো বিপদ প্রশান্ত মহাসাগর প্রাণিসম্পদের ভীষণ সমৃদ্ধ জলের নিচে আছে বিশাল তিমি অক্টোপাস.


 কাঁকড়া এবং স্কুইড সহ অসংখ্য নাম-না-জানা প্রাণী এমন অনেক জীবজন্তুর দেখা মিলে যেগুলো প্রশান্ত মহাসাগর ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না তাই এই মহাসাগরে যাত্রাপথে কোন নাম না জানা ভয়ঙ্কর প্রাণীর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা কখনোই উড়িয়ে দেওয়া যায় না তবে পানির নিচে এত বিপদ থাকলেও সত্যি কথা বলতে কী এই মহাসাগরের অনেক সুবিধা আছে যেমন প্রশান্ত মহাসাগরে অসংখ্য প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় মনে করা হয় পৃথিবীর যত মাছ শিকার করা হয় তার 25 শতাংশ ধরা হয় এই মহাসাগর থেকে তাই জেলেরা নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান এখানে পানির উপরে এবং নিচে ব্যাপক থাকলেও হয়তো সাগর পাড়ি দিতে চাওয়া অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী ডেট নিঃসঙ্গ লাগবে না কখনো দেখা হবে কোন জেলে নৌকা সাথে দেখা না হলেও সমস্যা নেই কারণ সমগ্র মহাসাগরে. 


প্রায় 25000 দিভিশন বৈচিত্র্যময় কেউ যদি কোন দ্বীপে বিশ্রাম নিতে চায় তাহলে যেতে পারে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ক্যারোলিন দ্বীপপুঞ্জ কিরিবাতির মত মাইক্রোনেশিয়া দ্বীপ গুলোতে কেউ যদি একটু বড় দেখে যেতে চায় তাহলে যেতে পারে মেনে নিসিয়া অঞ্চলের ফ্রিজবি ভানুয়াতু সলোমন দ্বীপপুঞ্জ বা নিয়োগ আয়নার মতো অপূর্ব সব দ্বীপে আর যদি কেউ ক্লান্ত হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে মাঝখানে বিশ্রাম নিতে চায় তাহলে তার জন্য আছে বলিনি এশিয়া অঞ্চলের সামোয়া ট্রুভালু টঙ্গী পূর্ব দ্বীপপুঞ্জ এবং তারপর বিশ্রাম শেষে আবার জলে নেমে পড়ল মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে প্রশান্ত মহাসাগরের এক প্রাকৃতিক বিষয়ে মহাসাগরের অনেক জায়গায় একই সাথে দুই রঙের পানি দেখা যায়. 


 দাগ কেটে একই সাগরের দুই পাশে দুই রঙের অংশ আলাদা করে দিয়েছে এক দিকে হাল্কা আকাশী রঙের পানি আর অন্যদিকে পানি গারো নীল দেখে মনে হয় পাশাপাশি দুটি সাগর বয়ে চলেছে কিন্তু কেউ কারো জল স্পর্শ করছে না প্রতিটি প্রকৃতিপ্রেমী এই দৃশ্য দেখতে চাইবেন কিন্তু যে জায়গায় তারা এড়িয়ে চলতে চাইবেন সেটা হচ্ছে টেবিল শ্রী প্রশান্ত মহাসাগরের একটি উপসাগরের নাম টেবিল স্ত্রী জাবানি উপকূলের কাছে অবস্থিত মহাসাগরের একটি অংশের নাম ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল এখানে বহু জাহাজ ও বিমান হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে যেসবের হদিস পরবর্তীতে আর পাওয়া যায়নি কেন এমন হয় তার রহস্য উদঘাটন হয়নি আরো কিছু জায়গা আছে যেসব জায়গা রহস্যময় না.


 সেদিকে যেতে চাইবেন না তিনি যতই রোমাঞ্চপ্রিয় হোন না কেন যেমন গুয়াম দ্বীপ অঞ্চল এখানে রয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি যেখানে 14 হাজার ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করে রেখেছে তারা উত্তর কোরিয়া আবার প্রায়ই এ দীপ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় মার্কিনিরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ করে রেখেছে এমন অস্ত্রের মজুদ ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে নৌঘাঁটির জন্য এসব এলাকায় টহল দিয়ে বেড়ায় নানারকম যুদ্ধজাহাজ সন্দেহ হলেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে পারে তারা অর্থনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সব পরাশক্তি নজর রাখে এ সমুদ্রপথে শুধু সমুদ্রপথে নয় আরও একটি কারণ প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে এত প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে এটি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এখানে রয়েছে গ্যাসের মজুদ বিভিন্ন দেশের কোম্পানি.


 এবং উত্তোলনের চোষে বাড়াচ্ছে পুরো মহাসাগর ফলে সমুদ্রের পানি হয়ে পড়ছে দূষিত অনুসন্ধানে দেখা প্রশান্ত মহাসাগরের অভ্যন্তরে প্রায় 100 কোটি কেজিরও বেশি প্লাস্টিক রয়েছে দিনে দিনে আরও বাড়ছে এসব দেখে ভীষণ মন খারাপ হতে পারে সাগরকে ভালোবেসে তা পাড়ি দিতে চাওয়া যে কারো এই দুজনেই মহাসমুদ্র পেরোনোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিন্তু এত শত বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সত্যিই কি প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিতে পারে কেউ ইতিহাস বলছে পেরেছে যুগে যুগে নাবিকেরা জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন নতুন নতুন দ্বীপের খোঁজে দেশের খোঁজে কেউ কেউ এক মহা সাগর পেরিয়ে আরেক মহাসাগরে চলে গেছেন কেউবা জাহাজ বেরিয়েছে নতুন কোন দ্বীপে আবার কেউ কেউ .


ডাকাতি করতে ঘুরে বেড়াতেন মহাসাগরের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তবে এর সর্বপ্রথম পুরো প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়েছেন তা নিস না গুনাহ মোচনের জন্য বিখ্যাত মালুকু দ্বীপপুঞ্জ যাওয়ার জন্য তিনি সমগ্র প্রশান্ত মহাসাগর ঘুরে বেড়ান তার এই অভিযানের জন্য দীর্ঘদিন প্রশান্ত মহাসাগরকে ম্যাগেলান মহাসাগর নামে ডাকা হতো বর্তমানে অনেকেই অনেক ভাবে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ সাঁতার দিয়ে কেউ আবার ঘড়ি শক্তি দিয়ে চালিয়ে অনেকে পেরেছেন অনেক পারেননি তবে সেটা হচ্ছে মানুষ মহাসাগর জয় করেছে জেনে অনেক কিছু কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগর আজও নানা রহস্যেঘেরা হয়তো সে সব রহস্যের সমাধান হবে আবার কোন দুঃসাহসী অভিযানে.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url