পৃথিবীর মধ্যে মুসলিমদের পবিত্রতম স্থান হল সৌদি আরবের কাবা শরীফ কাবা শরীফ এবং কিভাবে সৃষ্টি হয়
পৃথিবীর মধ্যে মুসলিমদের পবিত্রতম স্থান হল সৌদি আরবের কাবা শরীফ কাবা শরীফ এবং কিভাবে সৃষ্টি হয়
প্রথমদিকে নিঃসন্তান ছিলেন তার প্রথম স্ত্রী সারা আলাইহিস সালামের গর্ভের সন্তান ছিল না দীর্ঘ সময় ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম আল্লাহর নিকট দোয়া করেন সন্তানের জন্য একসময় ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল হলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরা আলাইহিস সালামের গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় তিনি ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম পরবর্তীতে আল্লাহর নির্দেশে ইসমাইল আলাইহিস সালাম এবং তার মা হাজেরা আলাইহিস সালামকে ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম আরবের ধুধু মরুভূমি তাই রেখে আসেন সেখানে পানি না থাকায় পিপাসার্ত সন্তানকে পানি পান করানোর জন্য মা হাজেরা আলাইহিস সালাম সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে ছোটাছুটি করেন তিনি মোটর সাতবার সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের উঠেছিলেন তার আশা ছিল পাহাড়ের উপর থেকে যদি কোনো প্রথিক দেখা যায় কিন্তু.
কোনো প্রথিক দেখতে পাননি হঠাৎ তিনি কিছু শব্দ শুনতে পেলে সন্তানের কাছে ফিরে আসেন এসে দেখেন হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম এর পায়ের তলদেশ থেকে বইছে স্বচ্ছ পানির ফোয়ারা এমন দৃশ্য দেখে তাঁর আনন্দের সীমা রইল না তিনি সে পানি পান করলেন এবং ছেলেকেও পান করালেন এটি জমজম কূপ নামে বিখ্যাত এই ধুধু এলাকায় পানির সন্ধান পাওয়ার পর এখানে অনেক লোক আসেন বসবাসের জন্য ধীরে ধীরে সেখানে বসতি গড়ে ওঠে আরবের আশেপাশে থেকে আসা এসব মানুষদের কাছ থেকে হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম আরবি শেখেন ইসলাম বড় হলে ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম মক্কায় ফিরে আসেন এবং আল্লাহর নির্দেশে কাবা শরীফ নির্মাণ কাজ শুরু করেন কাবা শরীফ নির্মাণ শেষ হলে একজন ফেরেশতা একটি সাদা পাথর নিয়ে আসেন যেটি কাবার পূর্বপ্রান্তের স্থাপন করা হয় কারও কারও মতে এটি আদম আলাইহিস সালাম বেহেশ্ত থেকে পৃথিবীতে নামার সময় নিয়ে এসেছিলেন ধীরে ধীরে সে পাথর কালো হতে থাকে বর্তমানে পাথরের নাম হাজরাবাদ বা কালো পাথর বিভিন্ন ধর্মের গবেষকরা এ পাথর নিয়ে গবেষণা করেছেন তবে এখন পর্যন্ত এর উৎস খুঁজে পান.
ইটের গঠন পৃথিবীর চেনা বৈশিষ্ট্যের বাহিরে বলে মত দিয়েছেন তারা বর্তমানে আজিকার কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই কেবল দুটি জিনিস ছাড়া একটি হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর এবং অন্যটি আরেকটি পাথর যেখানে ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর পায়ের ছাপ আছে এই পাথরের দাঁড়িয়েই হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কাবা শরীফের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করতেন এর নাম মাকামে ইব্রাহিম ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী শুরুতে এটি আল্লাহর একত্ববাদ এর প্রচার করলেও ধীরে ধীরে মক্কার নাগরিকরা নানারকম মূর্তিপূজার দূর-দূরান্ত থেকে সকল ধর্মের মানুষ কাবা শরীফে আসতেন যেহেতু মক্কায় রক্তপাত নিষিদ্ধ ছিল যেহেতু এখানে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করা যেত হজের মৌসুমে নানা ব্যবসা করে.
ফুলে-ফেঁপে উঠতে মক্কার ব্যবসায়ীরা ফলে কাবা শরীফ কে ঘিরে তারা বিশ্বাস এর প্রচলন ঘটায় এক সময়ে কাবা শরীফে 360 টি মূর্তি স্থাপন করা হয় তবে ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 629 খ্রিস্টাব্দ মূর্তিগুলো অপসারণ করে তার ইন্তেকালের পর অনেকবার আক্রমণের শিকার হয় কাবা শরীফ বারবার পুনঃ নির্মাণ করতে হয় ফলে আদিকা বা হারিয়ে যায় তবে যে ঐতিহ্য গত 15 বছর ধরে মেনে চলা হচ্ছে সেটি হচ্ছে কাবা শরীফের চাবি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি কোর্টের কাছেই আছে সেটি মক্কার বনু তালহা গোত্র হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কার তালাচাবির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন বনু তালহা কোর্টের উপরে সবচেয়ে বয়স্ক.
আদর্শ ডায়েট উত্তরাধিকারসূত্রে এ দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং সম্মানের সাথে আমি তো এটাই তো পালন করে থাকেন তবে কবে থেকে কাবা শরীফের তালাচাবির ব্যবহার শুরু হয় তা জানা যায় না এখন পর্যন্ত মোট 58 টি ছাবির সন্ধান পাওয়া গেছে যার 54 টি আছে তুরস্কের জাদুঘরে দুটি আছে প্যারিসে এবং একটি মিসরে কাবা শরীফের সর্বশেষ তালাচাবি পরিবর্তন করা হয় 2012 সালে কাবা শরীফের চাবি রাখার জন্য ঈশ্বর কাপড় দ্বারা তৈরি বিশেষ বক্স তৈরি করা হয় যার মধ্যে রাখা হয় পবিত্র কাবা শরীফের সাবি্বর কাপড় তৈরি করার জন্য একটি ফ্যাক্টরি আছে মক্কার অন্যতম দর্শনীয় স্থান 945 সালে আব্দুল আজিজ এর নির্দেশে ফ্যাক্টরি তৈরি হয় প্রতিবছর.
নতুন কিছু আর কাপড় প্রস্তুত করা হয় ইসলামী নানা স্মৃতি চিহ্ন এবং দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে একটি হচ্ছে জাবালে নূর পাহাড় এর হেরা গুহায় হযরত মুহাম্মদ সাঃ ধ্যানে মগ্ন হতে আর হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তাকে খাবার দিতে এখানে যাতায়াত করতেন এই পাহাড় ছিল একটি দুর্গম এলাকা এখানে ওঠা অত্যন্ত কঠিন তাই এটি নির্জনতায় পূর্ণ ছিল এখানেই কোরআন শরীফের প্রথম আয়াত নাযিল হয় এ কারণে একে জাবালে নূর বা আলোকিত পাহাড় বলে ডাকা হয় মক্কাশরিফ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরাফাতের ময়দান অবস্থিত এর উত্তরটি পর্বতশ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত পৃথিবীতে আলাদা আলাদাভাবে নামার পর আরাফাতের ময়দান এই হযরত আদম আলাইহিস সালাম.
হযরত হাওয়া আলাইহিস সালাম মিলিত হন পুরো ময়দানটি নিম গাছে থাকা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে রয়েছে একটি ছোট পাহাড় যার নাম জাবালে রহমত এখানে দাঁড়িয়ে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফা দিবসের শেষ প্রহর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন আরাফাতের ময়দানে আরেকটি দর্শনীয় জায়গা হচ্ছে মসজিদে নামিরা বিদায় হজের দিন রাসুল সাঃ এখানে দাঁড়িয়ে নামাজে ইমামতি করেছিলেন এবং ঐতিহাসিক মসজিদের শহর মক্কার আরেকটি বিখ্যাত মসজিদ হচ্ছে মসজিদে খায়েফ এখানে 70 জন নবী নামাজ আদায় করেন বলে জানা যায় এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি মসজিদ আরেকটি বিখ্যাত মসজিদ আছে মসজিদের এখানে ঝিনেদা.
সালালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কুরআন শিক্ষা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয় মক্কা থেকে একটু দূরে রয়েছে জাবালে সাওর বাল গুহা মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় এই হাতেই তিনদিন লুকিয়ে ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এখানে উত্তে সরকারিভাবে নিষেধ করা হয় এখানে একটি স্থান বোর্ডে লেখা আছে এখানে উঠলে কোন ছাপ নেই তবুও যারা মক্কা দর্শনে চান তারা এই পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা করেন আরো একটি পবিত্র স্থান হচ্ছে জমজম কূপ মূলত জমজম কূপের পানি কে কেন্দ্র করে মক্কা নগরীর জন্ম 21 ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম জমজম কূপের পানি হাজার হাজার বছর ধরে একই রকম বিশুদ্ধ আছে বিজ্ঞানী জমজমের পানি.
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url