বেরিং প্রণালী কি এবং এটি পৃথিবী কে কি ভাবে দুটি ভাগে ভাগ করেছে
বেরিং প্রণালী কি এবং এটি পৃথিবী কে কি ভাবে দুটি ভাগে ভাগ করেছে
আমেরিকা যদি পৃথিবীর বাকি ছয় মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে কলম্বাসের আগে সেখানে মানুষ গেল কি করে রেড ইন্ডিয়ানরা কি তাহলে বিবর্তনের মাধ্যমে আমেরিকায় মানুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে বেরিং প্রণালী মধ্যে বেরিং প্রণালী এশিয়া ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দুটি কে পৃথককারী জলাশয় উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের বেরিং সাগর কে উত্তর মহাসাগর এর চুক্তি সাগরের সাথে যুক্ত করেছে 654 সালের রুশ বনে আলেক্সেইফ সাইবেরিয়ার কলিমা উপদ্বীপের পূর্বে কবিতা নদীর সন্ধানে রওনা দেন এই ভ্রমণে তার সহযোগী ছিলেন সিমিয়ান ইভানোভিচ ডিজনি ডিজনি অভিযানে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উত্তর মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের নৌপথে প্রবেশ করেন কিন্তু তার এই আবিষ্কারের কাহিনী রুশ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তখন পৌঁছেনি রুস্তম রাস্তায় জানতেননা সাইবেরিয়া উত্তর আমেরিকার সাথে যুক্ত কিনা পিতার মৃত্যুর কিছুদিন আগের সামরিক বাহিনীর একজন কমান্ডার ড্যানিশ বংশোদ্ভূত বেরিয়েছে এটা খুঁজে দেখার আদেশ দেন বেরিং পথে বেরিয়ে পড়েন এবং 1728 সালে বেরিং প্রণালী পুনরাবিষ্কার করেন কিন্তু ভারী.
কারণে তিনি সেবার উত্তর আমেরিকার স্থল ভাগ দেখতে পাননি এরপর 1741 সালের জুন মাসে বেরিং আবার সদলবলে অভিযানে বের হন এবং এবার তিনি আলাস্কার স্থল ভাগ দেখতে পান 16 জুন সেন্ড এলিয়াস দিবসে দূর থেকে তিনি আলাস্কা একটি পর্বতের চূড়া দেখতে পান তিনি এই পর্বতের নাম দেন সেন্ড এলিয়াস পর্বত অভিযানে থেকে ফেরার পথে ভিতোস মেরিন জাহাজ ভেঙ্গে একটি দ্বীপে আটকা পড়েন সেই দ্বীপে শীতকালে মারা যান এখন বেরই নামে পরিচিত এই অভিযানের ফলে উত্তর-পশ্চিম আমেরিকা অর্থাৎ বর্তমান আলাস্কা রাশিয়ান দখলে আসে এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম রাশিয়া ও আমেরিকার ভূখণ্ড মাত্র 85 কিলোমিটার প্রস্থের একটি জলভাগ দ্বারা আলাদা হয়েছে তার অর্থ আমেরিকা ও রাশিয়া অনেকটা প্রতিবেশী দেশ আমরা সাধারণত পৃথিবীর মানচিত্র চ্যাপ্টা কাগজে দেখি ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত আমেরিকা আর আক্রান্তের আসি আগে দেখা যায়.
পৃথিবীতে আর চ্যাপ্টা নয় হলে পৃথিবীর মানচিত্র দেখলে বিষয়টা পরিষ্কার হয় এবার আসা যাক কলম্বাসের পূর্বে আমেরিকায় মানুষের অস্তিত্বের বিষয়ে আমেরিকায় মানুষ দিয়েছিল মূলত এশিয়া থেকে এশিয়ার কিছু মানুষ ভাগ্যান্বেষণে বেরিং সাগর পাড়ি জমায় তারা একসময় সমুদ্রে ভাটা দেখা দিলে বেরিং প্রণালী অতিক্রম করে আমেরিকার আলাস্কা পৌঁছায় এই মানুষগুলো ছিল মূলত মঙ্গলয়েড আদি রেড ইন্ডিয়ানদের চেহারার সাথে মঙ্গলে চেহারার মিল রয়েছে এই মানুষগুলো পুরো আমেরিকা মহাদেশের ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সভ্যতার জন্ম দেয় সেগুলো হলো মায়া সভ্যতা অ্যাজটেক সভ্যতা ইনকা সভ্যতা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বেরিং প্রণালী 85 কিলোমিটার জলভাগ না থাকলে এশিয়া ও আমেরিকার ভূখণ্ড মিলিত থাকত সে ক্ষেত্রে এশিয়া থেকে স্থলপথে আমেরিকা যেতে কোনো বাধা থাকবে না.
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url