How the earth is created: পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং পৃথিবীতে কিভাবে প্রাণী এবং গাছপালা সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে ছিলেন

 পৃথিবী কিভাবে সৃষ্টি হয় এবং পৃথিবীতে কিভাবে প্রাণী এবং গাছপালা সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে ছিলেন




আজ পৃথিবীর ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে প্রাণের স্পন্দন আছে কিন্তু আজ থেকে 460 কোটি বছর আগে যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল তখন পৃথিবী ছিল একটি জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড উষ্ণতা ছিল প্রায় 4000 ডিগ্রী সেলসিয়াস তখনকার সেই জ্বলন্ত অবস্থা থেকে হাজার হাজার বছর ধরে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব বাড়ে এবং ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে পৃথিবীর শীতল ও শান্ত হয়ে জীবের বসবাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল বিজ্ঞানীদের মতে বর্তমানে পৃথিবীতে মোটামুটি প্রায় তিন কোটি প্রজাতির জীব আছে যাদের মধ্যে মাত্র 16 লক্ষ প্রজাতিকে আবিষ্কার করা গেছে কিন্তু প্রশ্ন হল পৃথিবীতে জীবের সৃষ্টি কিভাবে হয়েছিল আর কেন শুধুমাত্র পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হলো কেন মঙ্গল গ্রহ বাচ্চাদের জীবন নেই বন্ধুরা আজ ইতিহাসের এমন এক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো.



আজ থেকে প্রায় 460 কোটি বছর আগে যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল তখন তা ছিল একটি উত্তপ্ত আগুনের গোলা মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছিল তখন পৃথিবীতে চারিদিকে ছিল শুধুই লাভা তখন কোন মাটি ছিল না এছাড়া তখন মহাকাশ থেকে অনবরত উল্কাপাত হতো এবং এই প্রক্রিয়া অনেক সময় ধরে চলেছিল অনেকদিন ধরে মহাজগতে ভেসে বেড়ানোর পর হাস বিন দুটি অর্থাৎ পৃথিবী একটি গোলাকার রূপ ধারণ করেছিল এবং তার একটি উপগ্রহ যার নাম চাঁদ সেটি সৃষ্টি হয়েছিল এই চাপ সৃষ্টির একটি আশ্চর্য ইতিহাস আছে   পৃথিবীর সৃষ্টির সময় থেকেই পৃথিবীর কেন্দ্র ভারি পদার্থ যেমন লোহা নিকেল প্রভৃতি দ্বারা গঠিত হয়েছিল এবং পৃথিবীতে মধ্যাকর্ষণ শক্তি ও ছিল যার প্রভাবে পৃথিবীর আকর্ষনে মহাকাশের অনেক ছোট ছোট বস্তুসমূহ পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করে এবং তাতে পৃথিবীর আয়তন আগের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পায় কিন্তু তখনো পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়নি এবং প্রাণের বসবাসযোগ্য. 


পরিবেশে তৈরি হয়নি কারণ তখনো পৃথিবী একটি জ্বলন্ত আগুনের গোলা ছিল সে সময় পৃথিবীতে অক্সিজেনের কোন অস্তিত্ব ছিলনা তাপমাত্রা অনেক বেশি হওয়ার কারণে জলছিল বাষ্প রূপে এরপর পৃথিবীর তাপমাত্রা কোটি কোটি বছর ধরে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে এর ফলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে সৃষ্টি করে জল কনা এবং এই জলকণা বৃষ্টি আমাদের পৃথিবীতে নেমে আসে যা পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টির প্রথম ধাপ ছিল এরপর ওই বৃষ্টির জল পৃথিবীর অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় জমা হয় এবং সৃষ্টি করে সমুদ্র মহাসমুদ্র প্রভৃতি এভাবে গত বৃষ্টিপাতের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা আরো তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করে এবং জ্বলন্ত লাভা দ্বারা গঠিত পৃথিবীর উপরিভাগ তাপ বিকিরণ করে কঠিন হয়ে যায় এবং পৃথিবীর উপরিভাগে লাভার একটি শক্ত আবরণে ঢেকে যায় তাপ বিকিরণ এর মাধ্যমে পৃথিবীর উষ্ণতা যখন অনেকটা কমে যায় তখন প্রায় 390 কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবারও উল্কাপাত হয় এবং সেই উল্কা থেকে নির্গত হয় নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য গ্যাস এছাড়াও আরো এক.


ব্লু সম্পদ নিয়ে এসেছিল এই উল্কা গুলো যা পৃথিবীর জন্য ভীষণ কার্যকরী ছিল আর এই অমূল্য সম্পদ কি হলো খনিজ পদার্থ এবং খনিজ পদার্থ গুলো সমুদ্রের লাভা মিশ্রিত উত্তপ্ত মিশতে শুরু করে এছাড়াও তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন হাইড্রোজেন প্রভৃতির সাথে কিছু বিষাক্ত গ্যাস উপস্থিত ছিল তবে এখনো পর্যন্ত বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন উপস্থিত ছিল না এবার প্রশ্ন হল অক্সিজেন কিভাবে বায়ুমণ্ডলের বায়ুমন্ডলে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন অণুগুলো পৃথিবীর তাপমাত্রা চুম্বকত্ব এর প্রভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কতগুলো সাধারণ রমন মিথেন অ্যামোনিয়া কার্বন-মনোক্সাইড এবং জল তৈরি করে এরপরেই অণুগুলো সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি বজ্রবিদ্যুৎ থেকে পাওয়া তড়িৎ শক্তি মহাজাগতিক কসমিক রে এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত শক্তি দ্বারা একে অপরের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে তুলনামূলক বড় জটিল অণু যেমন অ্যামাইনো এসিড ফ্যাটি এসিড নিউক্লিয় এসিড ইত্যাদি তৈরি করে.


 এবং কিভাবে তৈরি হয় তুলনামূলক বড় জটিল জৈব যৌগের পৃথিবীর উষ্ণতা এইসময় অনেকটা কম থাকলেও সমুদ্রের জল উত্তপ্ত লাভা সংস্পর্শে থাকার কারণে তার উষ্ণতা ছিল অত্যধিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তৈরি হওয়া বড় জটিল জৈব যৌগ গুলো উত্তপ্ত ঘনিষ্ঠজনের যুক্ত হতে থাকে ফলে তাদের ঘনত্ব আরো বাড়তে থাকে এবং একই রকম কোণগুলো পরস্পর পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বড় বড় শৃংখল তৈরি করে যা পলিমার নামে পরিচিত এই পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ার ফলে তৈরি হয় প্রোটিন ফ্যাট নিউক্লিওটাইড পলিস্যাকারাইড যা পৃথিবীতে প্রান সৃষ্টির জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল এরপর বড় জটিল জৈব যৌগ গুলো একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে জৈব যৌগের একেকটি বর্বরতা তৈরি হতে থাকে এই সময়ে নির্দলীয় থেকে তৈরি হয় আর এন এ এবং ওই জৈব যৌগ গলার মধ্যে আরএনএ প্রবেশ করার ফলে তৈরি হয় প্রোটোসেল এই প্রোটোসেল থেকেই তৈরি হয় পৃথিবীর প্রথম প্রাণী হল আদিকোষ.


বিউটি কোষ কোষগুলো বায়ুমন্ডলের একটি উপাদান শোষণ করে নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারত বায়ুমণ্ডলের উপাদান টি হল কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরেই শোষণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে আরো 21 গুলো থেকে একটি বর্জ্য পদার্থ নির্গত হতো এবং সেই বর্জ্য পদার্থ বর্তমানে পৃথিবীর মহা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ অক্সিজেন এই প্রক্রিয়ার প্রভাবে প্রায় 200 কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে অক্সিজেনের পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এই অবস্থায় অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে সূর্যের আলোর সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় পৃথিবীর চারিদিকে ওজোন স্তর নামে একটি পাতলা স্তর সৃষ্টি হয় যা সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসতে বাধা দিত এ সময় পৃথিবীতে আরও এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে পৃথিবীর অবস্থা কি আর গুঁজে দেয় আমরা জানি যে পৃথিবীর কতগুলো টেকটনিক প্লেট দ্বারা গঠিত এই সময় পৃথিবীর পাত গুলোর মুভমেন্ট এর ফলে ভূ আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং ভূপাতি ফাটল ধরে এরপর বরাবর. 


 জমে থাকা উত্তপ্ত লাভা উপরে আসতে শুরু করে আর অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ভীষণভাবে বেড়ে যায় এই বিপুল পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রভাবে পুরো পৃথিবী ঘন মেঘে ঢেকে যায় এবং এই মেঘ থেকে পৃথিবীতে ক্রমাগত অ্যাসিড বৃষ্টি হতে থাকে যা পাথরের উপরে একটা মোটা ও শক্ত আবরণ সৃষ্টি করে প্রচুর পরিমাণে আছে বৃষ্টির ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন রক্তের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় আমরা সকলেই জানি যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা বায়ুমন্ডলে সূর্যের তাপমাত্রা কে ধরে রাখতে পারে কিন্তু এখানে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ভীষণভাবে কমে যাওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডল সূর্যের তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতা হারায় এবং এর ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা আবারো দ্রুত কমে গিয়ে পুরো পৃথিবী বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে যায় সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আবারো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় আর পৃথিবীর তাপমাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে থাকে এর ফলে পৃথিবীতে জমে থাকা বড় হলে গিয়ে পৃথিবী আবার.


  স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো পৃথিবীর বড় হওয়ার পূর্বে যে আদি কোষ সৃষ্টি হয়েছিল তার কি হল আদৌ কি সেগুলো আগের অবস্থায় ছিল এখানে উত্তর হলো না পৃথিবী বড় হওয়ার পূর্বে সমুদ্রের উত্তপ্ত জলের তলায় যে আদি কোষের সৃষ্টি হয়েছিল তা আর আগের অবস্থায় পাওয়া যায়নি কারণ সেই আদি কোষ গুলো অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের এককোষী ও বহুকোষী জীব এ পরিণত হয়েছিল চারিদিকে সামুদ্রিক উদ্ভিদ বিভিন্ন ছোট বড় সামুদ্রিক জীব সৃষ্টি হয়েছিল তবে এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর পৃষ্ঠে ভূপৃষ্ঠে কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের আবির্ভাব হয়নি আর এর কারণ ছিলো সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি তবে সময়ের সাথে সাথে পৃথিবীর উপরিভাগে পূর্ণভাবে ওজোন স্তরে সৃষ্টি হয় যা সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি কে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয় ফলে এবার পৃথিবীতে ছোট ছোট শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ জন্মাতে শুরু করে এবং এরাই ছিল পৃথিবীর প্রথম স্থলজ উদ্ভিদ এর পর একদল মেরুদন্ড বিশিষ্ট সামুদ্রিক প্রাণী খাবারের সন্ধান করতে করতে.


আমাকে উঠে আসে তারাই স্থলভাগের চলাফেরা করার জন্য নিজেদের ডানাগুলো কে ব্যবহার করত এদের বলা হতো এই প্রথম স্থলভাগের উপর বসবাস করতে শুরু করে এবং পরবর্তীকালে বিবর্তনের মাধ্যমে এদের থেকেই বিভিন্ন পাখি ডাইনোসর স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং সরীসৃপের সৃষ্টি হয় এই সময় পৃথিবীর জীবজগতের বিস্তার খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল তবে এটা চিরস্থায়ী ছিলনা কারণ আজ থেকে প্রায় 100 মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়েছিল একটি বিশাল আকার উল্কা এই উল্কাপাতের ফলে পৃথিবীতে থাকা 90% উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির নষ্ট হয়ে যায় এবং পৃথিবী ঘন ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এরপর আজ থেকে প্রায় 70 মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে ধোয়া ধুলোর আস্তর সরে যায় কিন্তু এরপর পৃথিবীতে দেখা মেলে নতুন সব প্রজাতির জীবের নতুন ধরনের প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে কালক্রমে বিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ এছাড়াও সৃষ্টি হয়েছে হাজার হাজার নতুন.


জাতীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর যারা বর্তমানে পৃথিবীতে রাজ করে চলেছে এবার প্রশ্ন হল কেন শুধুমাত্র পৃথিবীতে জীবন আছে কেন মঙ্গল বাচাদে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়নি বন্ধুরা এর প্রধান কারণ হলো পৃথিবীর সৃষ্টির পর পৃথিবীর চারিদিকে যে বায়ুমন্ডলে সৃষ্টি হয়েছিল তা কিন্তু মঙ্গলবার চাঁদের ক্ষেত্রে হয়নি আর সঠিক বায়ুমণ্ডলের অভাবে প্রাণের সৃষ্টি সম্ভব হয়নি .

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url