2022 এর ভাইফোঁটার শুভ সময় ও সময়সূচী - কোন সময় শুভ - ভাইফোঁটা দেওয়ার নিয়ম

 2022 এর ভাইফোঁটার শুভ সময় ও সময়সূচী - কোন সময় শুভ - ভাইফোঁটা দেওয়ার নিয়ম





ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা যমুনার ঘাটে জ্যাম হল অমর আমার হাতে ফোঁটাকে আমার ভাই হোক অমর. বন্ধুরা এই মন্ত্র উচ্চারণ এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক বছর পবিত্র ভাইফোঁটা উৎসব পালন করে থাকে.

 2022 সালে 429 বঙ্গাব্দে এই ভাইফোঁটার তিথি কবে এবং কখন পড়েছে ভাইফোঁটা দেওয়ার নিয়ম কি এবং কেন এই ভাইফোঁটা দেয়া হয় এর পেছনে কোন পৌরাণিক ঘটনা রয়েছে বন্ধুরা একটি বিষয় মনে রাখবেন যে ভাইফোঁটা কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে হয় না হলে ভাইফোঁটা দেওয়া না দেওয়া সমান .

পদ্ধতি এই ছেলের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু বন্ধুরা এবার বিস্তারিত আলোচনা থেকে প্রবেশ করে বন্ধুরা পরিবারে ভাই এবং বোনের সম্পর্ক মজবুত করতে এবং ভাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা উদ্দেশ্যে ভাইফোঁটা পালন করা হয়ে থাকে.

মূলত যৌনদেবীর উদ্দেশ্যে এই দিন অর্ঘ্য নিবেদন এর মাধ্যমে এই ভাইফোঁটা পালন করা হয়ে থাকে শাস্ত্র অনুসারে এই দিনই মৃত্যুর দেবতা জুম দেবকে ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তার বোন যমুনা মূলত ভাইয়ের মঙ্গল কামনা এবং নিজের আত্মরক্ষার্থেই ভাইফোঁটা নিবেদন করেছিলেন যমুনা এর পেছনে একটি স্বতন্ত্র কাহিনী রয়েছে অন্যদিকে এই ভাইফোঁটা বিধি চালু হওয়ার পেছনে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এইদিন নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর তার বউয়ের কাছে আসেন তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসব এর প্রচলন হয়.

প্রত্যেক বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে কালী পূজার পরে এই ভাইফোঁটা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় এই ভাইফোঁটা কে বলা হয়ে থাকে ভাতৃদ্বিতিয়া ভাই দুজ অথবা ভাই টিকা.

পৃথিবীর সমস্ত স্থানে এই উৎসবটি একটি পবিত্রতার উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে. আর এই পবিত্রতা হলো ভাই ও বোনের সম্পর্কের মধ্যে পবিত্রতার বন্ধন বন্ধুরা এই বছর 2022 সালে 1429 গোঙ্গাতে এই ভাতৃদ্বিতিয়া পড়েছে আগামী 27 শে অক্টোবর 9 কার্তিক বৃহস্পতিবার. ভাইফোঁটার পূর্বে যে প্রতিপদ তা থাকছে 25 শে অক্টোবর অপরাহ্ন চারটে বেজে সাতাশ মিনিট থেকে 26 শে অক্টোবর.

দুপুর তিনটে বেজে 29 মিনিট পর্যন্ত আর এই 26 শে অক্টোবর দুপুর 3:30 থেকে শুরু হচ্ছে এই ভাতৃদ্বিতিয়া যা থাকছে পরেরদিন 27 শে অক্টোবর 9 করতে বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো বেজে পাঁচ মিনিট 35 বছর ভাইফোঁটা প্রকৃত দিন পড়েছে 27 শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিন এবং ভাইফোঁটা সম্পন্ন করতে হবে দুপুর দুটো বেজে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এ বছর ভাইফোঁটা সবথেকে অমৃতযোগের সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা বেজে 18 মিনিট থেকে সকাল আটটা বেজে 33 মিনিট এবং দুপুর 1:00 বেজে 11 মিনিট থেকে দুটো বেজে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করুন উক্ত সময়ের মধ্যেই ভাইফোঁটা ক্রিয়া সম্পন্ন করতে.

এবার দর্শক বন্ধুরা আলোচনা করব ভাইফোঁটা দেওয়ার বিধি সম্পর্কে এই বিষয়টি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাইফোঁটা যেহেতু বোন এবং ভাই এর মধ্যে পবিত্রতার বন্ধন তাই এক্ষেত্রে উভয়কেই এই বিধি মেনে চলা প্রয়োজন ঘুম থেকে ওঠার পর যে বিষয়টি প্রথমেই সংগ্রহ করা প্রয়োজন তাহলো ভোরের শিশির এবং এর সঙ্গে প্রয়োজন চন্দন এবং মিষ্টি দই সামগ্রী গুলি একটি কাঁচা অথবা পিতলের থালায় রাখবেন রাখবেন পিছুটান একছড়া কলা একটি পান সুপারি এবং একটি খোসা ছাড়ানো নারকেল.

ভাইফোঁটার এই বিধিটি যদি উপর থেকে করতে পারেন সেক্ষেত্রে ভালো যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ফলাহার সাগু অথবা সেবন করা যেতে পারে এই দিন সকাল সকাল অবশ্যই স্নানপর্ব সেরে নেওয়া প্রয়োজন এবং পুনরায় ভোট কিভাবে দিতে হয় সেই প্রসঙ্গে অনেকেই যেমন তেমন ভাবে এই বিষয়টি করে থাকেন এটি করা কিন্তু একেবারেই উচিত নয়.


প্রথমত যে স্থানে ভাইফোঁটা ক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে সেই স্থানে অবশ্যই গঙ্গা জল ছিটিয়ে নিন এবং ভাইয়ের মুখ যাতে পূর্ব দিকে থাকে সেই রূপ বসার ব্যবস্থা করুন ভাই এবং বোনের মাঝখানে পূজার উপকরণ খুলে রাখুন উক্ত স্থানে একটি প্রদীপ এবং ধূপকাঠি প্রচলন করেন.

তারপর মনে মনে গণেশ জি কে স্মরণ করে বলুন ওম শ্রী গনেশায় নামা এরপর চন্দন এবং স্ত্রীর মিলন করে সেই মিশ্রণটি কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে ভাইয়ের কপালে স্পর্শ করিয়ে বলুন এই মন্ত্রটি ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যম দুয়ারে পড়লো কাঁটা যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা যমুনার হাতে ওটা খেয়ে যৌন চিরজীবী আমার হাতে ওটা পেয়ে আমার ভাই হোক দীর্ঘজীবী এই মন্ত্রটি তিনবার উচ্চারণ করে কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে তিনবার ফোটা দেবেন.

এবং ভুট্টা দেওয়ার সময় পাশ থেকে উলুর ধ্বনি ও শঙ্খধ্বনি প্রদান করবেন. ওটা দেওয়ার পর আপনি আপনার বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে প্রদীপের তাপ গ্রহণ করে ভাইয়ের মাথায় তিনবার স্পর্শ করাবেন এরপর ফুল ধান-দূর্বা ভাইয়ের মাথায় দেবেন.

এবং আপনার সাজানো তত্ত্বটি মাটি থেকে তিনবার তুলে ভাইয়ের কপালে স্পর্শ করাবেন এই সমস্ত পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর ভাইকে পান-সুপারি এবং গোটা নারকেল নিবেদন করবেন আর এই সমস্ত প্রক্রিয়া করার সময় অবশ্যই তিনবার শঙ্খধ্বনি এবং আরতি প্রদান করবেন.

এরপর ভাই এবং বোন পরস্পরকে মিষ্টিমুখ করাবে এবং ছোট-বড় হিসেবে প্রণাম নেবেন অথবা জানাবেন এবং সর্বশেষে যে বিষয়টি করতে হবে তা হলো ভাই বা বোন পরস্পর পরস্পরকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী উপহার প্রদান করবে যদি ভগিনীকে বস্ত্র প্রদান করে সেটি অত্যন্ত শুভ এইদিন ভগিনী হস্তে ভজন অর্থাৎ বোনের হাতে রান্না খাওয়া অবশ্যই কর্তব্য তাই ভাইয়ের পছন্দ অনুযায়ী কোনো এক প্রকার রান্না করে অবশ্যই খাওয়া বেন এই প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে রাখি যে ভাই যদি বড় হয় অর্থাৎ দাদাকে যদি ফোন দেন সে ক্ষেত্রে হাতের অনামিকা আঙ্গুল দিয়ে ফোটা দেবেন এবং উভয় ক্ষেত্রেই বাম হাত ব্যবহার করবেন কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে বাম হাত কে শুভ বলে গণ্য করা হয় .

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url