Pakistani Awakened Kali Maa Temple: পাকিস্তানে অবস্থিত দু হাজার বছরের পুরনো মা কালীর মন্দির কোথায় অবস্থিত এবং মন্দির সম্পর্কে ধারণা
পাকিস্তানে অবস্থিত দু হাজার বছরের পুরনো মা কালীর মন্দির কোথায় অবস্থিত এবং মন্দির সম্পর্কে ধারণা
পাকিস্তানি জাগ্রত কালী মায়ের মন্দির অনেকটা চাঁদে মানুষের বসতি থাকার মতই অবাস্তব লাগতে পারে শুনতে কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি পাকিস্তানের খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ প্রদেশ বালুচিস্তানের বুকে কালার শহরেই আছে এই কালী মন্দির যেখানে আজও মহাসমারোহে মা কালীর পুজো হয় কালার শহরের সেই রণচণ্ডী উগ্র মূর্তি দেবী কে সমীহ করে পুরো পাকিস্তান সদা ক্রোধান্বিত রণরঙ্গিনী করালবদনা দেবীর নাম কালীমাতা কেউ ডাকে মা কালাটেশ্বরী বলে পাকিস্থানে থাকা বেশিরভাগ হিন্দু মন্দিরের আজ আর কোনো অস্তিত্ব নেই.
কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রয়ে গিয়েছে এক প্রাচীন কালীমন্দির প্রায় 2 হাজার বছর ধরে সেই ভূখণ্ডে বিরাজ করছে মহাকালেশ্বর মন্দির এর উর্দু ভাষায় প্রতিষ্ঠা সাল লেখা আছে 74 খ্রিস্টাব্দ মন্দিরের ভেতরে আছে মা কালীর প্রায় কুড়ি ফুট উঁচু বিগ্রহ ভক্তদের আতিশয্য থেকে বিগ্রহকে আলাদা রাখার জন্য বিগ্রহটি কাজ দিয়ে ঘিরে রাখা আছে মা কালী এখানে দশোভূজা দশটি হাতে তিনি ধরে রয়েছেন গদা তরবারি ঢাল সংসর্গ ত্রিশূল চক্র ধনুক নরমুণ্ড খঞ্জর কালীমাতা এখানে নীল বর্ণ গলায় ঝুলছে নরক রুটির মালাকালা কেশরী দাঁড়িয়ে আছেন মহাদেবের বুকে পাকিস্তানের.
সংস্কারি হিন্দুরা কালার কালিমাতার দর্শনে আসেন নিয়মিত যোগ দেন ষোড়শোপচারে পুজো করেন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় চলে ভীষণ জাগ্রতা এই দেবীর মৃত্যু পূজা এছাড়াও কালাটেশ্বরী কালী মন্দিরে কালী পূজা দশহরা হোলি গুরু পূর্ণিমা উৎসব জাঁকজমক সহকারে পালন করা হয়ে থাকে মন্দিরের সমস্ত অনুষ্ঠানে যথাসম্ভব সাহায্য করেন স্থানীয় বালোচ আদিবাসী মুসলিমরা এমনকি মন্দিরের দেখভাল করেন তারা কালিমাতার বিগ্রহটি সামনে আজো রাখা আছে সেই কর্মের প্রবর্তক গুরু নানক দেবের ছবি বালুচিস্তানে বসবাসরত শিখদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তীর্থ এই কালাটেশ্বরী স্থানীয় লোক কোথা থেকে জানা যায় গুরু নানক সহ অন্যান্য শিব দুর্গা ও বিভিন্ন সময়ে এই মন্দিরে এসেছিলেন বিভিন্ন সময়ে এই মন্দিরে পুজো দিতে.
প্রাচীন ভারতের অনেক রাজা মহারাজা এসেছেন অনেক বিদেশি পরিব্রাজক হাজার 947 সালে ভারত বর্ষ স্বাধীন হবার পর দলে দলে হিন্দুরা বালুচিস্থান ছেড়েছিলেন অথচ বালুচিস্তানের অর্থনীতিতে হিন্দুদের অবদান কোনদিনই অস্বীকার করা যাবে না কারণ বালুচিস্তানের অর্থনীতি গড়ে উঠেছিল স্থানীয় হিন্দুদের হাতে হাজার 941 সালে ওকালতনামা স্বাধীন রাজ্য টি প্রায় 56 হাজার হিন্দু বাস করতেন যদিও রাজ্যটি তখন ছিল খান যুবরাজদের অধীনে হাজার 947 সালে দেশ স্বাধীন হবার সময় খান যুবরাজের আদালাট রাজ্যটিকে ভারতভুক্তির দাবি জানিয়ে জহরলাল নেহেরু কে চিঠি লিখেছিলেন কিন্তু অজ্ঞাত কারণে নেহেরু নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রস্তাবটি.
এসেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মৌলানা আবুল কালাম আজাদ কিন্তু তিনিও কাল আটকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করতে সফল হননি অবশেষে হাজার 948 সালে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল স্বাধীন রাজ্য কাল 860 রাজ্যটি পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের ভেতর ঢুকে গেলেও মৌলবাদীদের দাপটে পাকিস্তানি হিন্দুর সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমলেও কমেনি কালাটেশ্বরী কালিমাতার মহিমা বরং বেড়েছে পাকিস্তানের নেতা মন্ত্রী ও আমরাও যেতে শুরু করেছিলেন বাকালা টির শরীর মন্দিরে পুজো দিতে নয় মন্দিরে রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা জানতে মন্দির কতৃপক্ষকে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা জিজ্ঞাসা করতে পাকিস্তানের বুকে বারবার সেই কালীমন্দির ঘিরে ঝড় উঠেছে 2010 সালে মৌলবাদীরা অপহরণ করেছিল মন্দিরের প্রধান পুরোহিত.
ওমা কালাটেশ্বরী 27 কিন্তু কয়েকদিন পরে জীবিত অবস্থায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল যা ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর ব্যাপার এখনো নিয়মিত মন্দির ভাঙ্গার হুজুক ওঠে কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মন্দিরটি ভাঙ্গা সম্ভব হয়না শোনা যায় মন্দির ভাংতে চেষ্টা করা অনেক মানুষের নাকি অপঘাতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকদিনের মধ্যেই এটা হয়তো নিছকই রটর আসলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলি জানে এই মন্দিরটি ভাঙলে বালুচিস্তানের মুসলিমরা পাকিস্তানকে ছেড়ে কথা বলবেনা যেকোনো কারণেই হোক বা কালাটেশ্বরী কে কোনভাবেই স্থান চ্যুত করা সম্ভব হয়নি ভবিষ্যতেও হবে না .
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url