Global Warming in Bengali: গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কি বোঝায়

 Global Warming in Bengali: গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে কি বোঝায়




আজকের পর্বে আমাদের আলোচনার বিষয় বিশ্ব উষ্ণায়ন গ্লোবাল ওয়ার্মিং বর্তমান বিশ্বের পরিবেশগত সমস্যাগুলি মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন গ্লোবাল ওয়ার্মিং বন্ধুরা আঞ্চলিক ভূগোল, প্রাকৃতিক ভূগোল এই বিষয়ে আমাদের Website এ  আলাদা দেওয়া আছে অবশ্যই আপনারা যখন ভূগোল বিষয়ে পড়াশোনা করবেন তখন অনেক বিষয় জানতে সাহায্য হবে . বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বর্তমান বিশ্বের পরিবেশগত প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা এটি এমন এক পরিবর্তন আমাদের আসন্ন ভবিষ্যতে নিয়ে আসছে.

গ্রীন হাউজ প্রভাব এর সাথে তুলনীয়  সমস্যা :


 গ্রীন হাউজ প্রভাব এর সাথে তুলনীয়  সমস্যা থেকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি কারণ বর্তমান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এর রাসায়নিক গঠন টি 100 বছর আগে যে অবস্থায় ছিল তার থেকে সম্পূর্ণ এক ঘৃণ্য অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে.

পরিবেশবিদরা এবং বিজ্ঞানীরা বলছেন বর্তমান বিশ্বের গড় তাপমাত্রা তুলনায় 100 বছর আগের গড় তাপমাত্রা অনেক কম ছিল বর্তমান বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে 50.60 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যৎবাণী করছেন একুশ শতকের সমাপ্তি কালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে তা বৃদ্ধি পাবে অতিরিক্ত 2.5 ডিগ্রি থেকে 5.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ফলে ঘটে যাবে পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা যা আমাদের প্রাণিকুলের ধ্বংসের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে.

 বিশ্ব উষ্ণায়ন  গ্লোবাল ওয়ার্মিং হলো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি:


সুতরাং খুব সহজভাবে বলা যায় বিশ্ব উষ্ণায়ন  গ্লোবাল ওয়ার্মিং হলো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এটিকে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়ন বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্যাস কে দায়ী করা হয় এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড নাইট্রাস অক্সাইড ক্লোরোফ্লোরো কার্বন মিথেন ওজন জলীয়বাষ্প প্রকৃতি উল্লেখযোগ্য বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ কি আঠারশ সালের প্রথম এদিকে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই কয়লা তেল এবং গ্যাসোলিনের মত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে শুরু করল ফলে বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে.

বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি:


অনুস্মারক বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধি হয় বনায়ন জীব-বৈচিত্র ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে শুরু করে কলকারখানা যানবাহন থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া নগরায়ন অতিরিক্ত খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কারণে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি সেইসাথে সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি ও পৃথিবীপৃষ্ঠে বসবাসরত জীবজগতের জীবনধারণের পক্ষে ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করছে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব কি ব্লগিং এর ফলে কি প্রভাব পড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের উল্লেখযোগ্য প্রভাব গুলি মধ্যে অন্যতম হলো জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব হলেই জলবায়ু পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের যে ধর্ম.

তার পরিবর্তন দেখা যায় অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি অধিক বৃষ্টি অধিক গরম অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাসিড বৃষ্টি এবং খরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর একটি অন্যতম প্রধান কারন

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে:


এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠনের হার বহুগুণে বৃদ্ধি পায় বন্যা খরা বাড়ি বাড়ি ঘুনি ঝড়ের প্রভাব লবণাক্ততার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠনের হার বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব  আরো একটি বড় প্রভাব হলো মেরু অঞ্চলের বরফের গলন.

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে 0.3 ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মত পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পরিবর্তন ঘটছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিশর, ভিয়েতনাম, ফিজি.

প্রভৃতি দেশের উপকূলীয় অঞ্চল সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে এছাড়া কৃষি জমি লবণাক্ত হয় এর ফলে কৃষি জমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায় জীব-বৈচিত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি গুরুতর প্রভাব পৃথিবীর বহু প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণী হল আজ বিলুপ্ত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বসবাসের অনুকূল পরিবেশ থেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করছে এর ফলে সরাসরি আঘাত হানছে তাদের জীবনযাত্রা এবং তাদের মৃত্যু ঘটছে খুব সহজেই বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে রোগ ব্যাধির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় উষ্ণায়নের ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের পরিমাণ বাড়তে থাকে এছাড়া প্রভুর জটিল এবং নতুন নতুন রোগ আছে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের.

সৌরশক্তি বায়ুশক্তি জৈব গ্যাস ব্যবহার করা বিকল্প জ্বালানি হিসাবে:


প্রভৃতি রোগের বিস্তার ঘটছে খুব বেশি পরিমাণে এছাড়াও পৃথিবীর ভূমিক্ষয় সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ভূপৃষ্ঠে পানীয় জলের স্তর নিচে নেমে যাওয়া মাটির উর্বরতা হ্রাস পাওয়াঃ প্রাকৃতিক জলাশয়ে উৎস নষ্ট হচ্ছে খাদ্যনিরাপত্তা থাকছেনা বাস্তুসংস্থানের চক্র বিনষ্ট হচ্ছে ওজোন স্তরের কার্যক্রম নষ্ট হচ্ছে ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পৃথিবীবাসী বর্তমান সময়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায়ের পথ খুঁজছে বিজ্ঞানীরা জলবায়ু বিদ্যা এবং সাধারন মানুষেরা ও তাদের সাহায্য করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার সমাধানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং কার্বন উৎপাদনের হার কে কমিয়ে আনা যানবাহন কলকারখানার দূষিত

নির্গমন কে নিয়ন্ত্রন করা যথাযথ জ্বালানির ব্যবহার করা এবং বিকল্প জ্বালানির যেমন কয়লাখনির পারমাণবিক শক্তি এর পরিবর্তে সৌরশক্তি বায়ুশক্তি জৈব গ্যাস ব্যবহার করা বিকল্প জ্বালানি হিসাবে.

প্রকৃতির বন সংরক্ষণ এবং নতুন নতুন বনসৃজন পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন করে তোলা জনসচেতনতা বৃদ্ধি রাষ্ট্রীয় এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা বন্ধুরা আজকের পর্ব এই পর্যন্তই .

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url