Jesus Biography: প্রভু যীশুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জীবন কাহিনী বাংলাতে
Jesus Biography: প্রভু যীশুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জীবন কাহিনী বাংলাতে
প্রভু যীশু কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
প্রভু যীশু গোয়াল ঘরে একটি কুমারী মহিলার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি পবিত্র আত্মা এসে এই মহিলার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন তারই নাম প্রভু যীশু হয়েছিল বহু যিশু জন্মানোর পরে চারি পাশে প্রচুর লোক দেখতে এসেছিল।
যীশু যিহূদিয়া প্রদেশের (বর্তমান ফিলিস্তিনের) বাইতুল লাহাম (বেথেলহেম) এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার মা মরিয়মের বিয়ে হয়েছিল ইউসুফ (জোসেফ) নামে একজন ব্যক্তির সাথে.
প্রভু যীশুর পরিবার এবং মাতা পিতার নাম?
গালিল প্রদেশের নাসরাত নগরে প্রভু যীশুর জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তার মাতার নাম ছিল মরিয়ম প্রভু যীশু একজন কুমারী মহিলার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মেস পালনকারী এক ছোট্ট পরিবারে প্রভু যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই মরিয়ম খুবই ঈশ্বর ভক্ত ছিলেন এবং খুব দয়ালু ছিলেন মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সাহায্য করতেন এই মরিয়মের সঙ্গে থাকতো জোসেফ নামে এক ব্যক্তি এই জোসেফ ছিলেন ইসরাইলের রাজা দাউদের বংশধর এরপর ঈশ্বরের ইচ্ছাতে জোসেফ মরিয়মকে স্ত্রি হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
খ্রিস্ট ধর্মে পরমেশ্বর পিতা হিসাবে কাকে মানা হয়?
বাইবেল অনুসারে পরমেশ্বর পিতা হল যিনি এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছিলেন তাকে পরমেশ্বর পিতা বলা হচ্ছে এই পরমেশ্বর পিতা তার একমাত্র সন্তানকে প্রভু যীশ রূপে আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন।
প্রভু যীশুর মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম কিভাবে ঘটেছিল?
প্রভু যীশু খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের চোখে একজন বড় ব্যক্তি হয়ে ওঠে কারণ তিনি মরা মানুষের মধ্যে জীবন দিয়েছেন বহু মানুষের কঠিন রোগ সারিয়ে তুলেছিলেন এই দেখে সাধারণ মানুষ প্রভু যীশুর পথে চলতে শুরু করে। তখন ওই শহরে থাকা বড় বড় ধর্ম গুরুরা এগুলো সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন কূটনীতি এবং চক্রান্তের মাধ্যমে প্রভু যীশুর উপর প্রবল অত্যাচার চালায় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয় প্রভু যীশুকে একটি টানে নিয়ে গিয়ে ক্রুশের উপর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং মৃত্যু হওয়ার পর প্রভু যীশুর মৃতদেহকে একটি গুহার মধ্যে কবর দেয়া হয় প্রভু যীশু আগেই তার ভক্তদের বলেছিলেন যে আমার মৃত্যু ঘটবে এবং তার ঠিক তিনদিন পরে আমি আবার জীবিত হবো ঠিক এই কথাটাই সত্যি হলো। যে গুহার মধ্যে প্রভু যীশুর দেহ টিকে রাখা হয়েছিল প্রভু যীশুর মৃত্যুর পরের দিন সকালে তিনি জীবিত হয়ে ওঠেন এবং তার অনুগামীদের কাছে গিয়ে দেখা দিয়েছিলেন।
প্রভু যীশুকে কেন ক্রসের উপর মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল?
জগতের মানুষের মধ্যে পাপ হিংসা ইত্যাদিতে ভরে গেছিল এগুলো থেকে বা পাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরমেশ্বর পিতা তার একমাত্র পুত্র প্রভু যীশুকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। পরমেশ্বর পিতা তার একমাত্র পুত্রের মৃত্যুর মাধ্যমে জগতের মানুষের পাপ মুক্ত করতে চেয়েছিলেন সেই হিসেবে প্রভু যীশু আমাদের পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং কিছু ধর্মগুরুদের চক্রান্তের মাধ্যমে প্রভু যীশুকে ক্রুশের উপর মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল কিন্তু প্রভু যীশু ছিলেন একজন ঈশ্বর তাই তিনি আবার পুনর্জন্ম নিয়েছিলেন। প্রভু যীশু ইচ্ছা করলে তা মেয়েদের শক্তি দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পার ত কিন্তু তিনি তা করেন তিনি তার পিতা পরিচালিত পথে হেঁটেছিলেন। এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন.
প্রভু যীশু কেন এই পৃথিবীতে এসেছিলেন?
প্রভু যীশুকে পরমেশ্বর পিতা আমাদের জগতে পাঠিয়েছিলাম তার কারণ হলো পৃথিবীর মানুষের মধ্যে লোভ হিংসা পাপ এগুলি এতই বেড়ে গেছিল গুলো থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং মানুষকে পাপ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রভু যীশু এই পৃথিবীতে এসেছিলেন।
প্রভু যীশু কিভাবে প্রার্থনা করতেন?
প্রভু যীশু যখন প্রার্থনা করতেন তখন তিনি পাহাড়ের একটি উঁচু জায়গায় কোন একটি বড় পাথরের সামনে বসে একটি সাদা চাদর মাথা থেকে গা পর্যন্ত জড়িয়ে পরমেশ্বর পিতার কাছে তিনি প্রার্থনা করতেন। এবং এই প্রার্থনার সময় স্বর্গের বিভিন্ন দূত আকাশ থেকে নেমে এসে প্রভু যীশুর সঙ্গে কথা বলতেন.
প্রভু যীশু একজন মানুষ না ঈশ্বর ছিলেন?
আমরা সবাই জানতে চাই যে প্রভু যীশু মানুষ ছিলেন না ঈশ্বর। পরমেশ্বর পিতা আমাদের এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছিলেন সৃষ্টি করার পরে পৃথিবীতে মানুষের মধ্যে হিংসা মারামারি লোভী এবং মানুষ অত্যন্ত পাপী হয়ে উঠেছিল এইসব খারাপ জিনিসগুলো থেকে মানুষকে ভালো পথে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন পরমেশ্বর পিতা, তাই তিনি তার নিজের পুত্রকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন মানুষকে ভালো পথ দেখানোর জন্য প্রভু যীশু মধ্যে ছিল পবিত্র আত্মা পরমেশ্বর পিতা তার নিজের একমাত্র পুত্রের পবিত্র আত্মাকে একটি মানব দেহের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীতে বহু যীশু আকারে পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ প্রভু যীশু মৃত্যু হয়নি। প্রভু যীশুর পবিত্র আত্মা প্রভু যীশুর মৃত্যুর পরে স্বর্গে চলে গেছে পরমেশ্বর পিতার কাছে। প্রভু যীশুর মধ্যে যে পবিত্র আত্মাটি ছিল তার অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন সেই আত্মাটির মধ্যে মৃত মানুষকে জীবিত করার শক্তি ছিল। এই পবিত্র আত্মা যখন প্রভু যীশুর ক্রুসে মৃত্যু ঘটে তারপরে পবিত্র আত্মা ওই মৃত দেহত্যাগ করে আবার তিমিটার নিজের পুরানো জায়গায় ফিরে চলে গিয়েছিলেন অর্থাৎ প্রভু যীশু ছিল পরমেশ্ব পিতার একমাত্র সন্তানের প্রবৃত্ত আত্মা.
বাইবেল কে লিখেছিলেন?
বাইবেলে প্রভু যীশুর জীবন কাহিনী লেখা আছে প্রভু যীশু পৃথিবীতে এসে কি কি কাজ করে গেছেন তার লেখা আছে। বাইবেলে যা লেখা আছে সেগুলো ঈশ্বরের নির্দেশ। বাইবেল মোট ৪০ জন লেখক মিলে লিখেছিলেন ঈশ্বর যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই ভাবেই বাইবেল লেখা হয়েছিল.
আসুন আমরা জেনে নিই পবিএ বাইবেল সম্পকে কিছু তথ্য –
বাইবেলে পুস্তক আছে – ৬৬ টি অধ্যায় আছে – ১,১৮৯ টি পদ আছে – ৩১,১০১ টি শব্দ আছে – ৭,৮৩,১৩৭
বাইবেলে সবথেকে লম্বা পদ – ইষ্টের ৮:৯ পদ (৭৮টি শব্দ)
বাইবেলে সবথেকে ছোট পদ – যোহন ১১:৩৫ পদ (যীশু কাদিঁলেন)
সবচেয়ে ছোট অধ্যায় – গীতসংহিতা ১১৭ অধ্যায়
সবচেয়ে বড় অধ্যায় – গীতসংহিতা ১১৯ অধ্যায়
সবচেয়ে বড় পুস্তক – গীতসংহিতা (১৫০ অধ্যায়)
সবচেয়ে ছোট পুস্তক – ৩ যোহন
বাইবেল ২৮৮৩ এর বেশী ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে
বাইবেল মোট ৪০ জন লেখক লিখেছেন ১৬০০ বছর ধরে বাইবেল লেখা হয়েছে পৃথিবীতে বাইবেল সবথেকে বেশী লোক পড়েছেন শুধু গত ৫০ বছরে ৩৯০ কোটি বাইবেল বিক্রি হয়েছে বাইবেলের শেষ শব্দ ‘আমেন” পুরো বাইবেলের কপি ভ্যাটিকান লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে বাইবেলের ১ম পাচঁটি পুস্তক মোশি লিখেছেন.
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url