পেটের গ্যাস থেকে মুক্তির ঘরোয়া চিকিৎসা চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়

 পেটের গ্যাস থেকে মুক্তির ঘরোয়া চিকিৎসা চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়


কোন কোন খাবারগুলি খেলে অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়:

প্রত্যেক ঘরে এসিডিটির সমস্যা দেখা যায় এটা একটি কমন সমস্যা হয়ে গেছে একটি মানুষের কোন কিছু খাবার খেলে এসিডিটি বা বদ হজমের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খেলে এই সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু কোন মানুষের যদি এটা প্রতিদিন হয় তাহলে বড় সমস্যা দাঁড়াতে পারে এটা চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যেসব খাবারগুলি খেলে আপনার এসিডিটির সমস্যা হচ্ছে সেগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে না হলে আপনার পেটে বিভিন্ন দেখা দিতে পারে।

1) ক্রুসিফেরাস জাতীয় সবজি অর্থাৎ কপি জাতীয় সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি এইসব সবজিগুলি যেমন পুষ্টিকর তেমনি উচ্চ দ্রুত এসিডিটি সৃষ্টি করে এবং পেটকে ফুলিয়ে রাখে গ্যাসের মাধ্যমে।
2) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খেলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
4) শুকনো কাজু বাদাম যদি খায় এটা পেতে গ্যাসের সৃষ্টি করে।
5) গম থেকে তৈরি যেকোনো খাবার খেলে আপনার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।

খালি পেটে থাকলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়:

আপনি যদি সারাদিন কিছু খাবার না খান খালি পেটে থাকেন তাহলে আপনার পেটে এসিডিটি এবং গ্যাসে সমস্যা হতে পারে এই সমস্যা থেকে মাথা ঘোরা আরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিরতরে পেটের গ্যাস দূর করার উপায়:

সারা জীবনের মতো গ্যাস, এসিডিটি, অম্ল এইসব সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে সেগুলি হল 

1) অধিক তৈইল জাতীয় খাবার, অধিক মসলা জাতীয় খাবার, অধিক চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

2) শশা আমরা সবাই জানি এই শশা যদি আমরা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেতে পারি তাহলে গ্যাস এবং এসিডিটির সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
3) প্রতিদিন নিয়মিত অল্প করে টক দই খাওয়া যায় এই টক দই খেলে গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে শরীর থেকে এবং এই টক দই আপনার খাবার খেয়ে সুন্দরভাবে হজম করতে সাহায্য করে।
4) পাকা পেঁপে এবং কাঁচা পেঁপে যদি প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে পুরোপুরি ভাবে গ্যাস এবং এসিডিটি সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং এই পেঁপে হজম শক্তি বাড়ায় পাচনতন্ত্রে উন্নতি ঘটায়।
5) পাকা কলা এবং কমলা লেবু গ্যাস এবং এসিডিটি সমস্যাকে দূর করে এবং পাচনতন্ত্রে এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
6) অল্প এক টুকরো আদার সঙ্গে অল্প নুন মিশিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যা তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়।
7) প্রতিদিন একটা করে লবঙ্গ দীর্ঘ সময় ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন এর ফলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
8) অ্যালোভেরা শরবত এবং পুদিনা পাতার শরবত গ্যাস এবং কম্বলের সমস্যা দূর করে।
9) প্রতিদিন যদি নিয়ম করে একটি রোশনের কুয়া খাওয়া যায়, এই রসন পরিপাকতন্ত্রে উৎপন্ন গ্যাস কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

আমরা যদি নিয়মিত এই নটা পদ্ধতি মেনে চলি তাহলে আমাদের জীবন থেকে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে সারা জীবনের মতো।

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না:

প্রতিদিন সকালে আপনি অল্প কাঁচা চিরে, তিনটি লবঙ্গ, অল্প আদার টুকরো এবং বিট নুন একসঙ্গে মিক্সচার বানিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এছাড়া যদি অল্প করে খাবার পর টক দই খেতে পারেন তাতেও গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

হঠাৎ অতিরিক্ত গ্যাস হলে আপনি কি কি করবেন:

আপনার যদি হঠাৎ অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এই সমস্যা থেকে আপনি সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পেতে চাইছেন তাহলে আপনি বাজার থেকে একটি ENO প্যাকেট কিনে এনে খেয়ে নিতে পারেন তাহলে দ্রুত গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আর যদি গভীর রাতে বা অন্য কোন সময় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে বাড়িতে থাকা, অল্প আদার টুকরো এবং অল্প পরিমাণ বিট নুন মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নাও দেখবেন গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।

দ্রুত পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কি কি ঔষধ খাবেন:

ডাক্তারদের পরম অনুযায়ী হঠাৎ যদি আপনার দ্রুত গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনি যে কোন দোকান থেকে ENO  জাতীয় প্যাকেট কিনে এনে জলে গোলে খেয়ে নিতে পারেন সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এছাড়া গ্যাসের বিভিন্ন ট্যাবলেট পাওয়া যায় সেগুলো খেয়ে এই সমস্যা দূর করতে পারবেন।

খাবার পরে প্রতিদিন অল্প করে জোয়ান খাবেন এই জুয়ান অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন এর ফলেও গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।

অতিরিক্ত গ্যাস হলে কোন কোন রোগের সৃষ্টি হয় শরীরে:

আপনার শরীরে যদি প্রতিদিন গ্যাসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বা যে কোন খাবার খেলে গ্যাসের সৃষ্টি হচ্ছে পেটের মধ্যে তাহলে এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। এই গ্যাস থেকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের বড় রোগের সৃষ্টি হতে পারে, যেমন মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, গলা জ্বালা জ্বালা করা, বুক জ্বালা জ্বালা করা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো, হজম শক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া, পেটে প্রবল যন্ত্রণা হওয়া, মল ত্যাগে সমস্যা হওয়া, খিদে কমে যাওয়া, বারবার টক ঢেকুর ওঠা আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন:


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url