Health Tips Female: মহিলাদের গর্ভাঅবস্থায় রক্তপাত হলে কি করবেন?

 মহিলাদের গর্ভাঅবস্থায় রক্তপাত হলে কি করবেন?


গর্ভবস্থায় হঠাৎ করেই যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত শুরু হল:


প্রেগনেন্সি বা গর্ভাবস্থা সাধারণত আমরা মনে করি পুরাটাই একটা মায়ের জন্য খুবই উদ্বেগ পূর্ণ একটা ব্যাপার। একটা নতুন মানুষ তার ভিতরে জন্ম নিচ্ছে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা গেল গর্ভবস্থায় হঠাৎ করেই যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত শুরু হল তখন ওই মা এর ভিতরে ভয় আরো বেড়ে যায়। এখন কি হবে পরবর্তী সময়ে গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হলে কি করব আজকে এই ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব  গর্ভ অবস্থায় হঠাৎ করে রক্তপাত হলে আমরা কি করব গর্ভাবস্থায় সাধারণত আমরা ডিস্টার্ব হয়ে থাকি । প্রথম 12 সপ্তাহ  থেকে শুরু করে 28 সপ্তাহ পর্যন্ত এবং 28 সপ্তাহ থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রসব করার আগের সময় পর্যন্ত রক্তপাতে আশংকা হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে রক্তপাত কেন হয়:


সাধারণত ফার্স্ট সেমিস্টার এ দেখা যায় প্রথম সময়টাতে থাকে প্রথম তিন চার মাস যেটা সে ক্ষেত্রে আপনার সাধারণত দেখা যায় যে অনেক সময় রক্তপাত হতে পারে প্রথমদিকে যদি ফাস্ট টাইম আপনার রক্তপাত হয় সেটা অনেক সময় যদি কম পরিমাণে হয় হালকা ব্রীডিং হয় এটাকে আমরা অনেক সময় বলে থাকি যে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং মানে। গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে আপনার পেটের ভিতর ভ্রুণ টি আস্তে আস্তে বড় হয় ব্যাপারটার হওয়ার কারণে ওখান থেকে কিছুটা পরিমাণ রক্তক্ষরণ হতে পারে এতে ভয়ের কিছু নেই যদি এটা অল্প মাত্রায় থাকে সাধারণত বিশ্রাম নিলে এটা সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যায়।

 আরও অনেক সময় দেখা যায় যে অন্য কোন কারণে ও রক্তপাত হতে পারে যদি একটা পিক প্রেগনেন্সি হয় অর্থাৎ আপনাদের মেয়েদের শরীরে সাধারণত জরায়ুতে ভ্রুণ বেড়ে ওঠার কথা ইম্প্লান্ট হওয়ার কথা কিন্তু যদি সেটা জরায়ুতে না হয়ে অন্য কোন জায়গা হয় সে ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে এক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি সিমটম দিবে কিন্তু আসলে সেটা জরায়ুতে গিয়ে ইম্প্লান্টেশন হচ্ছে না এই অবস্থাটা কিন্তু অনেক ভয়াবহ এটার ক্ষেত্রেও অনেক সময় আপনার রক্তক্ষরণ হতে পারে।

 বেবি প্রেগনেন্সি থেকে যত দ্রুত সম্ভব ডায়াগনোসিস করে আপনার হসপিটালে নিয়ে যেতে হয় কারণ এটা মায়ের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটা অবস্থান দিয়ে হালকা ধরনের রক্তপাত হতে পারে এগুলো চিকিৎসা নিলে সাধারণত ঠিক হয়ে যাবে।

গর্ভাবস্থায় কোন মিলন করা যাবেনা তাতে রক্তপাত হয়:

 অনেক সময় দেখা যায় যদি হাজবেন্ডের সাথে মিলনের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্লিডিং হতে পারে এজন্য আমরা ডাক্তাররা বলে থাকি যে ফার্স্ট টাইম প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস হাজবেন্ডের সাথে কোন ধরনের মিলন করা যাবে না কারণ এখান থেকে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। অথবা বিডিং হতে পারে যেটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেও নিয়ে যেতে পারে। 

 অনেক সময় ব্লিডিং হতে পারে কিন্তু এগুলো সাধারণত ডিপেন্ড করে যে জরায়ুতে প্লাসেন্টার কিভাবে পজিশনের উপর আছে যেমন প্লাসেন্টা প্রিভিয়া জরায়ু প্লাসেন্টা যদি জরায়ু থেকে অনেকটা নিচের দিকে থাকে তাহলে অনেক সময় দেখা যায় যে বিল্ডিং শুরু হয় একটাতেও ব্লিডিং হতে পারে । রাতে যেটা হয় প্লাসেন্টার প্লাসেন্টা জরায়ুর মুখের সাথে অনেকাংশেই লেগে থাকে এবং বাচ্চা প্রসব হয় যে অনেক সময় বের করা সম্ভব হয় না। এই ধরনের যদি কন্ডিশন থাকে সেখান থেকেও রক্তপাত হতে পারে অর্থাৎ  বাচ্চা অনেকটা দূরে গিয়ে লেগে থাকে এসব কন্ডিশনে ও আপনি অনেক সময় ব্লিডিং হয়।  

কি কি নিয়ম মেনে চললে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে:

অনেক সময় দেখা যায় অর্থাৎ 37 সপ্তাহের আগে যদি আপনার হঠাৎ অর্থাৎ আপনার সাদা স্রাব বের হয় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় মনে হচ্ছে এখনি মনে হয় বাচ্চা বের হয়ে যাবে এ ধরনের সিচুয়েশন তৈরি হয় এটা কিন্তু ব্লিডিং আসতে পারে। যখন আমরা গর্ভপাতে এরকম রক্তক্ষরণ দেখব সাধারণত প্রথম তিন মাস পেশেন্টকে বেড রেস্টে থাকতে হবে। উনি যদি প্রপার পরিমাণ রেস্ট নেয় এবং উনাকে দেখা যাবে প্যাড ব্যবহার করতে বলি যে দৈনিক কয়টা প্যাড খরচ হচ্ছে বা ব্যবহার করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যদি ওই প্যাডের

কোন ধরনের কোন টিস্যু বা অন্য কোন উপাদান বের হয়ে আসে আরো অনেক সময় বলি যে ওটা রেখে দিবেন অথবা উঠে ছবি তুলে রাখবে দেখানোর জন্য। যে ওটা কোন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কিছু কিনা বা আপনারা পরে ডাক্তারকে দেখাবে।


তোফাজ ট্রাইমিস্টারে সাধারণত রক্তক্ষরণ হলে অনেকাংশেই দেখা যায় যে  বাচ্চা সুন্দর মত আপনার ডেলিভারি করা সম্ভব যদি রক্তক্ষরণ হয় সেটা যদি প্লাসেন্টার পজিশন এর করানো হয় একটু দ্রুত সম্ভব আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।আর অনেকাংশেই দেখা যায় যদি প্লাসেন্টার অবস্থা খুব খারাপ হয় দেখা যায় যে ইমারজেন্সি কন্ডিশনে আপনাকে সিজার করে বাচ্চা বের করতে হয়।

যেটাই হোক গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কারণ একটি বাচ্চা ব্যক্তির মায়ের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়। আপনাদের জীবনের জন্য অনেক ঝুঁকি ডেকে নিয়ে আসতে পারেন সুতরাং কোনো অবস্থাতেই গর্ভ অবস্থার যে কোন চিহ্ন আপনারা অবহেলা করবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url