Republic Day: ২৬শে জানুয়ারি ভারতে কেন প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ?



What is Republic Day in India?

Republic Day of India is a national holiday in India that is celebrated on January 26th every year. It commemorates the day on which the Constitution of India came into effect, replacing the Government of India Act 1935 as the governing document of India, and making India a republic. On this day, a grand parade is held in the capital, New Delhi, which is attended by dignitaries from all over the world, as well as a large number of people from all parts of India. The parade includes floats depicting the cultural and historical heritage of the different states of India, as well as a display of India's military might.


২৬শে জানুয়ারি ভারতে কেন প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ?

স্বাধীনতা-উত্তর সময় গৌরবময় ভারতবর্ষে যে কয়েকটি দিনকে সবচেয়ে অধিক গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের 26 তারিখে সমগ্র দেশ জুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়।

 খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবস সম্বন্ধে আলোচনা সূচনালগ্নে প্রশ্ন আসে প্রজাতন্ত্র আসলে কি প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর ইতিহাসে রাজ্যশাসন পদ্ধতির বিবর্তনের আধুনিকতম দিক হলো গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো।

 একটি দেশের গণতান্ত্রিক পরীক্ষামূলক শাসন ব্যবস্থা বলতে বোঝায় জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য জনগণের শাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা শীর্ষ যিনি অধিষ্ঠান করেন আমাদের দেশে তার স্থান কিন্তু বংশপরম্পরায় নির্ধারিত হয় না বরং তিনি এই দেশের জনগণের মত অনুসারে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে থাকে গণতন্ত্রের শীর্ষস্থানীয় অধিষ্ঠান কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অর্থাৎ জনগণের এই বিশেষ ভূমিকা কে বলা হয় প্রজাতন্ত্র এই ক্ষেত্রে অর্থে ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ রাজতন্ত্র বলতে যে মনে হয় রাজার মত তেমনি প্রজাতন্ত্র বলতে বোঝানো হয়ে থাকে প্রজার মত অর্থাৎ ভারতবর্ষে প্রজাতন্ত্র বলতে বোঝানো হয় এই দেশী প্রজাতির শাসনের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলে।

 1947 সালে ভারত বর্ষ যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন স্বাধীন ভারতবর্ষে একটি সংবিধান তৈরীর উদ্দেশ্যে সর্বস্তরের নেতাদের নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয় এই গণপরিষদে সভাপতিত্ব করেছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং সংবিধানের খসড়া কমিটির সভাপতি করেন ডঃ বি আর আম্বেদকর অবশেষে 1949 সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সংবিধান তৈরির কাজ শেষ হয় এবং 26 শে ডিসেম্বর এই সংবিধানটি ভারতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় তা ঠিক এক মাস পরে 26 শে জানুয়ারি সমগ্র দেশে এই সংবিধান জারি হয়ে যায়।

 ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার শুরুতে স্থান পাওয়া আমরা ভারতের জনগণ এই তিনটি শব্দ ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর রচনা করে। প্রজাতন্ত্র দিবস হিসাবে 26 শে জানুয়ারি তারিখ টিকি গ্রহণের পিছনে একটি ইতিহাস আছে ভারতীয় সংবিধানে 21 বছর আগে 1929 সালে এই একই দিনে জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রথমবার ভারতের পূর্ণ স্বরাজের দাবি জানানো হয়।

 দিনটা ছিল 16 ডিসেম্বর 1929 লাহোর তখন ভারতের অন্তর্গত ভারতীয় মার জাতে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রবি নদীর তীরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সবাই উপস্থিত পন্ডিত জহরলাল নেহেরু সেই প্রথম পূর্ণ স্বরাজ অর্থাৎ কিনা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত ভারতের দাবি জানিয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন উপস্থিত জনতাকে পূর্ণ স্বরাজ পালনের সমর্থন দাবি করা হলেও বেশিরভাগ ওঠে সমর্থনের পক্ষে ঠিক করা হয় 26 শে জানুয়ারি দিনটি কি এবার থেকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হবে 1930 সালের 26 শে জানুয়ারি রবি নদীর তীরে আবার সবাই জড়ো হয়ে পূর্ণ স্বরাজের দাবি জানিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করেন।

 জাতীয় কংগ্রেস সদস্যরা এরপর অনেক রক্তপাত এবং আন্দোলনের ফলে ভারত বর্ষ কোন 1947 সালে স্বাধীনতা লাভ করে কিন্তু ব্রিটিশ অক্সি 26 শে জানুয়ারি সেই বিশেষ দিনটিকে কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেনি বরং লর্ড মাউন্টব্যাটেন তার ইচ্ছেমত 15 ই আগস্ট দিনটিকে বেছে নেন ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দিনে জাপান মিত্রশক্তির কাছে হার মানে সেজন্যই 15 ই আগস্ট দিনটি বেছে নেয় ব্রিটিশ সরকার।

 তাই ভারতীয় সংবিধান রচয়িতা ঠিক করেন যে ভারতবর্ষের প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠা কোন একটি বিশেষ দিনে উদযাপন করা উচিত সেই কারণেই বেছে নেয়া হয় 26 শে জানুয়ারি দিনটি কি 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি সেই কারণেই ভারতবর্ষে প্রথম গণতান্ত্রিক  ব্যবস্থা লবো হয় এবং 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস বা রিপাবলিক ডে হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে স্বাধীন ভারতবর্ষের জানুয়ারি মাসের 26 তারিখে প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের একটি বিশেষ ঐতিহ্য এবং রীতি প্রচলিত রয়েছে প্রতি বছর এই দিনে দিল্লির রাজপথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটি জাঁকজমকপূর্ণ মহড়ার আয়োজন করা হয়।

 সেই মহড়াটি ভারতীয় স্থল সেনা জলসেনা এবং বায়ুসেনা অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাষ্ট্রের কর্ণধার এবং দেশের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদ এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ এছাড়া প্রতি বছরই বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ।

Speech in Republic Day | প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তব্য

 1947 সালের 15 ই আগস্ট ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন কারণ এই দিনে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম এবং আন্দোলনের ফলে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে তার কাঙ্খিত স্বাধীনতা এই দিনেই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় । ভারতবর্ষের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর ভারতের সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছিল যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে দেশ পরিচালনা কিংবা শাসন করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন 15 ই আগস্ট 1947 সালে ভারত স্বাধীন হলেও দেশে নিজস্ব কোন অস্থায়ী সংবিধান বা নির্দিষ্ট কোনো আইন-কানুন ছিল না দেশের প্রধান হিসেবে তখন ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন এর গভর্নর জেনারেল এ বিষয়টি খেয়াল করে 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি কার্যকরী হয়েছিল ভারতের একটি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ পরিচালিত হয়ে আসছে।

 এখানে দুটি প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার একটি হচ্ছে 1947 সালের 15 ই আগস্ট এর পর থেকে 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি পর্যন্ত কিসের ভিত্তিতে আমাদের দেশ পরিচালিত হতো এবং আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের দেশের সংবিধান কার্যকরী হয় একটি নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি তাহলে কেন এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় আমাদের দেশ ভারত বর্ষ তখন বৃটিশ শাসনের অধীনে ছিল তখন একটি আইনের মাধ্যমে আমাদের দেশকে পরিচালনা করা হতো আর সেই আইনটি নাম হচ্ছে গভর্মেন্ট অফ ইন্ডিয়া এক অর্থাৎ ভারত সরকার আইন কিংবা ভারত শাসন আইন 1935 সালে গৃহীত হয়েছিল তারপর থেকে অর্থাৎ 1935 সালের পর থেকে 1950 সালের 26 জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতবর্ষে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত।

 পরের বিষয়টি হলো 26 শে জানুয়ারি দিনটিকে সংবিধান কার্যকর করার জন্য বেছে নেওয়া হল কেন নেওয়া হয়েছিল কারণ 1930 খ্রিস্টাব্দে ওই একই দিনে 26 শে জানুয়ারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজের দাবি তথা স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় সংকল্প ঘোষণা করে এবং সেই গল্পটি ওইদিনই গৃহীত হয়েছিল তাই স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যখন সংবিধান কার্যকরের বিষয়টি এলো তখন 1930 সালের সেই দিনটির গুরুত্ব দিয়ে 1950 সালের 26 শে জানুয়ারি সেই একই দিনে ভারত সরকার সংবিধান প্রণয়ন করে।

 সংবিধান কার্যকরী হওয়ার দুই মাস আগে অর্থাৎ 1949 খ্রিস্টাব্দে 26 শে নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয় 1947 খ্রিস্টাব্দে 28 শে আগস্ট অভিধান রচনার জন্য জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেদকর সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয় চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে 2 বছর 11 মাস 18 দিন ব্যাপী গণপরিষদের খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য 166 বার অধিবেশন থাকে।

এই সমস্ত অধিবেশনেই জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল সংবিধান কার্যকরী হওয়ার দুই মাস আগে 1949 খ্রিস্টাব্দে 26 শে নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয় বহু বিতর্ক এবং কিছু সংশোধনের পর 24 শে নভেম্বর 1950 এই গণপরিষদের 308 জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতের লেখা দুটি নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন এই দুইদিন পর সারাদেশ ব্যাপী এই সংবিধান কার্যকরী হয়।

 ভারতের সংবিধান ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এই সংবিধানে সরকারের গঠন কার্যপদ্ধতি ক্ষমতা কর্তব্য নির্ধারণ মৌলিক অধিকার রাষ্ট্রপরিচালনার সহ বিভিন্ন প্রকারের নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সংবিধানের ভারতকে একটি সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রূপে ঘোষণা করা হয়েছে এই দেশের নাগরিক বৃদ্ধির জন্য ন্যায়বিচার সাম্য ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাতীয় সংহতি রক্ষার জন্য নাগরিকদের পরস্পরের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জাগরিত করে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়েছে ভারতের সংবিধানের সার্বভৌম রাষ্ট্র গুলির মধ্যে বৃহত্তম লিখিত সংবিধান এই সংবিধানের মোট চব্বিশটি অংশে 448 টি ধারা 12 টি তপশিল এবং 113 টির সংশোধনী বিদ্যমান ভারতের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণের শব্দ সংখ্যা এক লক্ষ এই হচ্ছে ভারতের সংবিধান সংক্রান্ত কিছু কথা পরিচয় সেটাই বলার যে সংবিধান মেনে যদি আমরা ন্যায় সাম্য অধিকার সম্প্রীতি ভ্রাতৃত্ব বোধ ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলেই 26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সার্থকতা পাবে এই উদযাপন শুধুমাত্র লৌকিকতায় পর্যবসিত হবে সুতরাং আসুন সংবিধানকে সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে আমরা দেশকে আরো উন্নততর জায়গায় নিয়ে যেতে চাই জয় হিন্দ।


প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

আজ ২৬ শে জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস এই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সমস্ত ভারতবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ভারতের কিছু বিপ্লবী দেশপ্রেমিক এবং কঠিন লড়াইয়ের পরে আমরা স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি তাই আমরা আজ ভারতে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারছি আমাদের ভারতে নতুন সংবিধান তৈরি হয়েছে এবং জহরলাল নেহেরু হাত ধরে আমরা সারা ভারতবর্ষের একটি নতুন রূপ দেখতে পেয়েছি তাই আমরা সবাই আজকের এই প্রজাতন্ত্র দিবসে মেতে উঠবো এবং স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করব এবং ভারতবর্ষের বীর বিপ্লবীদের অনুসরণ করব আজকের দিনে এবং তার সঙ্গে সবাইকে প্রজাতন্ত্র দিবসে শুভেচ্ছা জানাবো। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের দেশভক্তি সম্পর্কিত গান করব এবং শুনবো। বি: আর আম্বেদকর প্রথম আমাদের ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন তাই আমরা সবাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ২৬ শে জানুয়ারি ১৯৫০ সালে এই সংবিধান সারা ভারতে কার্যকর হয়েছিল তখন থেকেই আমরা ভারতে নিজস্ব অধিকার নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছিলাম।


প্রজাতন্ত্র দিবস সম্পর্কিত কিছু ছবি বা ইমেজ














প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশ ভক্তি এবং মনকে  মুক্ত করার গান:






FAQ.

Q. ভারতে কবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়?
Ans. 26 January

Q. ভারতে কবে জনপরিষদ গঠিত হয়?
Ans. 1946 সালে

Q. কবে থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়?
Ans.  ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি

Q. সংবিধান প্রবর্তিত হওয়ার কয়টি ধারা ছিল?
Ans. ৩৯৫ টি

Q. ভারতের সংবিধানের কয়টি মৌলিক অধিকার আছে?
Ans. ছটি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url