Legal advice: অবাঞ্ছিত আচরণ, কটূক্তি, শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ এসবের বিরুদ্ধে সাহস করে রুখে দাঁড়ানো পদ্ধতি

 

অবাঞ্ছিত আচরণ, কটূক্তি, শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ এসবের বিরুদ্ধে সাহস করে রুখে দাঁড়ানো পদ্ধতি


প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সতর্কতা:

অবাঞ্ছিত আচরণ, কটূক্তি, শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ...এসবের বিরুদ্ধে সাহস করে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সবসময় পরিস্থিতির চাপে তা সম্ভব না হলেও, নিজের মত-চাহিদা-ইচ্ছেগুলোর সঙ্গে আপোস করবেন না। ‘না’ বলতে পারা জরুরি, জানাচ্ছেন সাইকো অ্যানালিস্ট ঝুমা বসাক।

পরিস্থিতি ১: রাস্তায় আচমকা এক মহিলা দেখলেন অন্য এক পথচারী মহিলার দিকে রীতিমতো আঙুল তুলে শাসাচ্ছেন এক যুবক। দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা পূর্বপরিচিত, হয়তো কোনও সম্পর্কও আছে। কিন্তু মহিলা যেন ক্রমশই কুঁকড়ে যাচ্ছেন ভয়ে। যিনি দেখছিলেন তিনি এগিয়ে এলেন প্রতিবাদ করতে। কটূ কথা শুনতে হলেও সে যাত্রায় আঙুল তুলে শাসানি আপাতত বন্ধ হল।

পরিস্থিতি ২: দাম্পত্য-কলহ সহ্য করতে করতে গা সওয়া হয়ে গিয়েছে হয়তো। কিন্তু একদিন হঠাৎই মনে করলেন, আর নয়! এবার রুখে দাঁড়াতেই হবে, মুখের উপর প্রতিবাদ করতেই হবে। যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, সব সাহসটুকু জোগাড় করে স্বামী বা শাশুড়ির কটূক্তির বিরুদ্ধে ‘না’ বলতে পারার মধ্যেও আত্মতৃপ্তি রয়েছে বই কী!

পরিস্থিতি ৩: অফিসে উর্ধ্বতন সহকর্মী অশালীন প্রস্তাব দিয়েছেন। চাকরি রক্ষা করার ভয়ে কিছুতেই তাঁর মুখের উপর প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কিন্তু যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলছেন।

এসবগুলো পরিস্থিতিই আমাদের নিত্যদিনের চেনা। হয় আমরা নিজেরাই এধরনের অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, বা অন্য কাউকে যেতে দেখেছি। কেউ হয়তো প্রতিবাদ করতে পেরেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অন্যায়কারীর মুখের উপর ‘না’ বলতে পেরেছি, কেউ হয়তো পারিনি। আসলে, ‘না’ বলতে পারার মধ্যে নিহিত আছে এক অসীম ক্ষমতায়ন। যা কিছু আপনার রুচিবোধ, আপনার ‘কমফর্ট জ়োন’-এর বাইরে, যে ধরনের আচরণে বা ব্যবহারে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাকে নেগেট করার সাহস থাকা জরুরি।

নিজের দাবি স্পষ্ট করে বলুন:

কী ধরনের অ্যাবিউজ়ের কথা বলছি, তা বোঝা জরুরি। অনেকক্ষেত্রে পরিবারেই সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ় হয়, তার সঙ্গে হিংসা জড়িয়ে থাকতে পারে নাও থাকতে পারে। যেমন ধরুন, ছোটদের ক্ষেত্রে পরিবার বা পরিচিত মানুষরাই অনেকসময় যৌন হেনস্থা করে থাকেন। হয়তো সেই আত্মীয় বা পরিচিত মানুষটি পরিবারের সব আনন্দ-উদযাপনের মুহূর্তের সঙ্গী, হয়তো খুদে সদস্যটিকে উপহারও এনে দেন। কিন্তু এসবের পরে যখন যৌন-শালীনতার সীমা পেরিয়ে যান তিনি, তখন আমরা মানুষটাকে চিনতেই পারি না। অ্যাবিউজ়ের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই আমরা বুঝতে পারি না, সত্যিই কখন নিগ্রহ হচ্ছে। বাচ্চারা তো আরওই বুঝতে পারে না। বড়রাও পারেন না। কোনও সম্পর্কে মারধোর বা অফারড ভায়োলেন্সকে চেনা সহজ। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই, বিশেষত শহরে, শারীরিক নিগ্রহের চেয়েও বেশি দেখতে পাই ইমোশনাল টর্চার। যেমন, অনেক মেয়েরাই অভ্যস্ত শুনে যে সে বেশি ডিমান্ডিং, অল্পেতেই ভেঙে পড়ে, অন্যের উপর নির্ভরশীলতা বেশি ইত্যাদি। এধরনের সম্পর্কে প্রেমের অভাব থাকে, খুবই সূক্ষ্মভাবে। সেই অভাবের জায়গাটা চিনেই উঠতে পারেন না তাঁরা। পরিচিত মহলে বা ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে অবাঞ্ছিত ব্যবহার পেলে বা নিগৃহীত হলে যেভাবে রিঅ্যাক্ট করবেন, বাইরের পরিবেশে কারওর দ্বারা নিগৃহীত হলে আপনার প্রতিক্রিয়া হবে আলাদা। পাবলিক ভায়োলেন্সের ক্ষেত্রে যেমন গায়ে হাত দেওয়া, টিটকিরি দেওয়া, কটূক্তি করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে একধরনের সেলফ এজেন্সি কাজ করে। এই সেলফ এজেন্সি ভয় পেলে কাজ করবে না। মনে রাখতে হবে, এধরনের পরিস্থিতিতে ভয় পেলে, সেই ভয়ের উৎস কিন্তু ছোটবেলাতেই রয়েছে। একদম পারিবারিক স্তরে ছোট থেকে অবাঞ্ছিত ব্যবহারে ‘না’ বলতে শেখা জরুরি। যেমন ধরুন, বাড়ির মেয়ে সন্তানকে সবসময় পরে খেতে দেওয়া হয়, চিকেনের লেগ পিস খেতে ভাল লাগলেও তা পুরুষ সন্তান পায়। এসব ক্ষেত্রে সেই মেয়েটি তার সেলফ-এজেন্সিকে অভিব্যক্ত করতে পারে না। যখন নিজের চেনা চৌহদ্দির মধ্যেই এই অভিব্যক্তি আসে না, তখন তা যে বাইরের জগতে করা সম্ভব তা অনেকসময় বুঝেই উঠতে পারে না সে। ফলে, ‘আমার এটা চাই’, বা ‘এই ব্যবহারটা করবেন না’...এধরনের অ্যাফার্মেটিভ কোনও কথা বলার সাহসটুকুই তৈরি হয় না। এই অভিব্যক্তিগুলো ছোট থেকে বড়, যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি, চাহিদার ক্ষেত্রে হতে পারে। যেমন, কোনও স্ত্রী স্বামীকে বলতেই পারেন ‘আমার এখন এসি চালাতে ভাল লাগছে না’ বা তিনি এও বলতে পারেন যে তাঁর যৌনতৃপ্তি হচ্ছে না...মানে ঘটনা যেরকমই হোক না কেন, নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারার সাহস জরুরি।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই আমরা দেখি যে এমন অনেক সূক্ষ্ম ইঙ্গিত রয়েছে যা থেকে বোঝা যায় একজন অবদমিত। কিন্তু তিনি মুখ ফুটে তার প্রতিবাদ করতে পারেন না, বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়েও আসেন না। একটা বিষয় হল, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কেউই একটা সম্পর্ক শুরু করি না। তাই, সেটা সবসময় সমাধান নয়। সম্পর্কে থেকে নিজের দাবিদাওয়াগুলোর কথা বলতে পারাই বেশি জরুরি। সম্পর্কের শুরুতে একধরনের ফ্যান্টাসি এলিমেন্ট কাজ করে, আমরা ধরে নিই এই সম্পর্ক চিরন্তন। হানিমুন পিরিয়ড পেরিয়ে গেলে, একে অপরের যে বিষয়গুলো খারাপ লাগে সেগুলো প্রকাশ্যে আসতে থাকে। কিন্তু সেগুলোর সঙ্গে বসবাস করা, বা অন্তত নেগোশিয়েট করার চেষ্টা করতে থাকি আমরা। হয়তো একজন তাঁর সঙ্গীকে বারবার ‘ওভাররাইট’ করেন। সঙ্গীর যে কোনও কথাবার্তাই তাঁর অবান্তর মনে হতে পারে, মনে হয় তিনি নিজেই বেশি জানেন! এক্ষেত্রে অনেকেই ভাবেন, ‘আমি কি সত্যিই কম জানি?’ কিন্তু আপনি কোনও বিষয়ে কম জানলে বা ভুল জানলেও তো নিজের মতামত ব্যক্ত করতেই পারেন। এই বলার অধিকার, নিজের মত ব্যক্ত করার অধিকার নিজের বুঝে নেওয়া জরুরি। ‘আই ক্যান সে নো’, ‘আই ক্যান সে ইয়েস’...এই দুটো হোক আপনার জীবনের আপ্তবাক্য।

কাজের জায়গায় প্রতিবাদ:

এবার আসি কাজের জায়গার প্রসঙ্গে। কাজের জায়গায় উর্ধ্বতন সহকর্মী বা বসের কাছ থেকে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বা সূক্ষ্ম কোনও অ্যাবিউজ়ের উদাহরণ প্রচুর। কিন্তু এসবক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই ‘না’ বলতে না পারার বা প্রতিবাদ করতে না পারার কারণ হল, চাকরি বাঁচানোর দায়। তার মানে সংস্থা আপনার প্রতিবাদের সেই ভিতটা তৈরি করে দিতে পারছে না। এমন অনেক নামী সংস্থায় এ বিষয়ে খাতায়-কলমে হয়তো অনেক নিয়ম আছে, কিন্তু বাস্তবে তার পুরো প্রতিফলন ঘটে না। যদি ধরে নিই, মহিলারাই কাজের জায়গায় এধরনের হেনস্থার শিকার হন বেশি, তাহলে তাদের মধ্যেও একতার প্রয়োজন। সলিডারিটির প্রয়োজন। কোনও একজন বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ করলে কিন্তু হবে না। মহিলাদের একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, এধরনের ‘স্ট্রাকচারাল ল্যাপস’ নিয়েই আপনাকে চলতে হতে পারে। সে আপনার কোনও সহকর্মীর উক্তি, বা চটুল গান বা কোনও আচরণ যা আপনার ভাল লাগছে না...যা-ই হোক না কেন আপনাকে ‘নেগোশিয়েট’ করতে হবে। সবসময় প্রতিবাদ করা সম্ভব নয়, বিশেষত যাঁদের সঙ্গে আপনি সবসময় কাজ করছেন, আড্ডা মারছেন। তবে হ্যাঁ, যদি পরিস্থিতি বা মন্তব্য নেগোশিয়েশনের উর্ধ্বে হয়, তখন প্রতিবাদ করতেই হবে। যে আচরণ ‘আনঅ্যাকসেপ্টেবল’ তার বিরুদ্ধে নেগোশিয়েট করতে হবে কেন? বা মহিলাদেরই মূলত এই নেগোশিয়েশন করতে হবে কেন? এটাও ভেবে দেখা জরুরি। অনেকসময় মহিলারা মহিলাদের পাশে দাঁড়ান না, কারণ ‘অমুকের চাকরিটা চলে গেলে আমারই লাভ’—এরকম মানসিকতাও রয়েছে। এধরনের ক্ষুদ্র মনোভাব থেকে আমাদের বেরতে হবে। কর্মীরা যদি সমষ্টিগতভাবে দাবি করেন, তাহলে অবাঞ্ছিত আচরণের বিরুদ্ধে সংস্থাও ব্যবস্থা নেবে আশা করা যায়। আবার ভিক্টিম যদি একজন পুরুষ হন, আর বস যদি মহিলা হন, তাহলে তা আরও অনেকগুণ কমপ্লিকেটেড ও সূক্ষ্ম। যেসব সংস্থায় নারী-পুরুষরা একসঙ্গে মূলত কাজ করেন, সেখানে সংস্থাগুলো যদি কোনও কনসালট্যান্ট নিয়োগ করে বা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে এধরনের সেশন করে, তাহলে কর্মীরাই উপকৃত হবেন।

প্রান্তিক মানুষদের লড়াই:

এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির মানুষদের পক্ষে লড়াইটা কিন্তু আরও কঠিন। পরিবার থেকে, স্কুল-কলেজ-চাকরির ক্ষেত্র থেকে ও সমাজ থেকে তাঁরা নিয়মিত ‘বুলি’র শিকার। এমনকি, প্রতিবাদ করলে পাশে দাঁড়ানোর, সমর্থন করার মানুষজনেরও বড্ড অভাব। এঁদের ক্ষেত্রে পুরো লড়াইটা একপ্রকার ইনডিভিজুয়াল জার্নি। সমাজ বারবার তাঁকে বুঝিয়ে দেয় তিনি ‘প্রান্তিক’। আর একটা বিষয় হল, অনেকেই ভাবেন চুপ করে থাকলেও একধরনের সমর্থনই করা হয়। একেবারেই না! অ্যাক্টিভলি পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন, চুপ করে থাকলে তা মোটেও পাশে দাঁড়ানো হয় না।

কখন ‘না’ বলবেন?

একটা সময় পর্যন্ত ইগনোর করতে হয়। যেমন ধরুন, কর্মক্ষেত্রে এমন কোনও পরিস্থিতি যেখানে প্রতিবাদ করলে চাকরি নিয়ে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। বা রাস্তায় এমন কোনও ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে বা সামাজিক অপমান আছে...এসব ক্ষেত্রে খানিকটা বাধ্য হয়েই নেগোশিয়েট করতে হবে। তবে যে মুহূর্তে আপনার মনে হবে যে অমুক আচরণ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, আপনি বুঝবেন এটি আপনার সেন্স অফ ডিগনিটির পরিপন্থী, তার সঙ্গে বোঝাপড়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ, যে মুহূর্তে আপনার মনে হবে, ‘এটা আমার পোষাচ্ছে না’, তখন নিজের মনের কথা শোনা জরুরি। কার কীসে পোষাবে, এটাও কিন্তু আপেক্ষিক। কেউ হয়তো নিগ্রহ সহ্য করেই সম্পর্কে টিকে থাকতে চান, তার মানে এই নয় যে অন্য একজনকেও তাই করতে হবে। আর হ্যাঁ, প্রতিবাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নও জড়িয়ে আছে। যেমন চাকরির ক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করতে পারার একটি কারণ হল, চাকরি ছেড়ে দিলে বা চলে গেলে তিনি কোথায় যাবেন? আবার মানুষটি যদি তথাকথিত প্রান্তিক হন, তাহলে তো তাঁর যাওয়ার জায়গার আরওই অভাব। এই পরিস্থিতিরই সুযোগ নেওয়া হয়। শিক্ষিত, মার্জিত মানুষরা, সমাজ, বা সংস্থা এই ‘ভালনারেবিলিটি’গুলোরই অ্যাডভান্টেজ নেন। আর্থিক স্বাধীনতার অভাবেই অনেকে জোর করে দাম্পত্য সম্পর্কেও থেকে যেতে বাধ্য হন। তাঁরা ভাবেন, এই সংসার ছেড়ে কোথায় যাবেন, কে তাঁর দায়িত্ব নেবে? সত্যি বলতে কম্প্রোমাইজ় করে কেউ থাকতেই পারেন, তাতে অন্যায় নেই। কিন্তু তিনি কেন আপস করছেন, কেন তিনি নেগোশিয়েট করছেন, সেই সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। কম্প্রোমাইজ় করা যদি ‘ইনফরমড চয়েস’ হয়, তাহলে তিনি থাকতেই পারেন।

ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে:

রাস্তাঘাটে কোনও বিপদ বা এমন কোনও পরিস্থিতি যেখানে শারীরিক আক্রমণের ভয় আছে, সেখানে প্রতিবাদী হওয়ার আগে সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রথমেই দেখতে হবে, সেখান থেকে আপনি কীভাবে বেরতে পারবেন। প্রতিরোধ নয়, আত্মরক্ষা জরুরি। চেনা পরিচিত বন্ধুদের মধ্যেও অনেকসময় তর্ক-বিতর্ক হয়। হয়তো কেউ এমনভাবে ভয়ঙ্করভাবে রিঅ্যাক্ট করেন, যাঁকে আপনি আগে ওভাবে দেখেননি। এসব পরিস্থিতিতেও নিজেকে একটু আলাদা করে নেওয়া ভাল। পাবলিক বুলি-র ক্ষেত্রেও যদি দেখেন প্রতিরোধ করলে বিপদ বেড়ে যাবে, আত্মরক্ষা করুন। সেই জায়গা, সেই সঙ্গ ছেড়ে চলে আসুন।

ক্রমাগত শেমিংও ‘বুলি’:

‘তুমি খুব মোটা হয়ে গিয়েছ’ বা ‘খুব রোগা হয়ে গিয়েছ’—এধরনের মন্তব্য কাছের মানুষরা অনেকসময় কনসার্ন থেকে করেন। তাতে কোনও দোষ নেই। কিন্তু ক্রমাগত যদি কেউ চেহারা, ওজন বা গায়ের রং নিয়ে মম্তব্য করতে থাকেন, তাহলে তাও একধরনের ‘বুলি’। গায়ের রং বা পোশাকের মাপ নিয়ে মন্তব্য, যা আপনার ভাল লাগছে না, তা একধরনের সূক্ষ্ম অ্যাবিউজ়। এক্ষেত্রেও ওই সেলফ এজেন্সি দিয়েই বুঝতে হবে যে আপনার ‘ভাল লাগছে না’ এধরনের মন্তব্য বা ব্যবহার। চেনাশোনা মানুষরা অনেকেই ঠাট্টা করেও বলতে পারেন। কিন্তু তা আপনার কতটা ভাল লাগছে বা লাগছে না, সেটা বোঝা জরুরি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকসময়ই অচেনা লোক এসে বাচ্চাদের আদর করে দেন। তার হয়তো সেটা ভাল নাও লাগতে পারে, কিন্তু বাড়ির লোকেরা বাচ্চার মতামতকে গুরুত্ব দেন না। এটাও বদলানো প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url