নতুন বছরের শুরুতে যে উপদেশগুলো আপনাদেরকে মেনে চলতে হবে

 নতুন বছরের শুরুতে যে উপদেশগুলো আপনাদেরকে মেনে চলতে হবে



আমার প্রায়ই মনে হয় ভালো কথা এবং বাস্তবতার কথা, সব বলা হয়ে গেছে। ধর্মের বাণীও টানতে চাইছি না এখন। কিছু কথা মনে পরছে, কনফুসিয়াস যেমন বলেছেন, ‘সতর্ক ব্যক্তিরা ভুল করে না।’ আর মারকাস সিসারোর উপদেশ হলো, ‘তোমার নিজের চাইতে ভালো উপদেশ কেউ দিতে পারে না।’ তাই নিজের মধ্যে থাকলেই সবচেয়ে সুন্দর হয়ে ওঠা সম্ভব।

এবার আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য কিছু উপদেশ হলো—

● সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন এবং তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন।

● কোনো কাজ করতে গিয়ে গড়িমসি করবেন না, কারণ একবার এই অভ্যাস হলে আর বেরিয়ে আসা যায় না।

● মানসিক স্থিতি এবং কাজে মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি, আপনি তাই করবেন আজ থেকেই।

● নতুন কারো সাথে দেখা হলে লজ্জা পরিহার করে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করবেন সবসময়। বিশেষ করে, যদি কোনো ভালো এবং জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে দেখা হয়।

● সব সময় কর্মক্ষম থাকার জন্য নতুন কারোর সাথে দেখা হলে তার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা উচিত। আপনি এই চেষ্টা অব্যহত রাখবেন।প্রয়োজন হলে অজ্ঞাত বিষয়েও চেষ্টা করবেন।

● সৎ উপার্জন বৃদ্ধির চেষ্টা সব সময় করবেন।মার্জিত ও ভদ্র থাকার চেষ্টা করবেন, যেন সবাই জানে- আপনি ভালো মানুষ। সব দেশেই ভদ্রতা-সভ্যতা সমাজের অঙ্গ।

● সব সময় চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন।জীবনে যে অবস্থায় আছেন, তা নিয়ে সুখী থাকার চেষ্টা করবেন। এতে কিছু সময় নেবে। তবে অবশেষে শান্তি আসবে। একটি উপায় হলো ছোট ছোট বিষয়েই আনন্দিত হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

● ভালো ঘুমের চেষ্টা করবেন। দিনে অন্তত চার থেকে আট ঘণ্টা ভালো ঘুমালে স্বাস্থ্য ও মন, দুটোই ভালো থাকে।

● কখনো ধুমপান করবেন অথবা ধীরে ধীরে তা ত্যাগ করবেন। এর জন্য মনকে শক্ত করতে হবে।

● কম টিভি দেখবেন এতে দিনে আরো বেশি কাজ করা সম্ভব।
১৫. বেশি পড়বেন। বছরে অন্তত ২০টি বই পড়বেন। এক দিকে যেমন এটা ব্রেনের সুস্থতা দেয়, অপর দিকে একে সমৃদ্ধ করে; ভালো এবং জ্ঞানীদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। তাদের জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার এবং উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে।

● পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন সবসময়; সুন্দর, সহজ ও সরল জীবনযাপনের চেষ্টা করবেন। এতে শুধু মনই ভালো থাকে না, তার সাথে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনাও সম্ভব।

● ঋণমুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন, ঋণ করাও একটা নেশা। আত্মসংযম শেখার চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য খরচ করতে হবে সাবধানে।

● দান করবেন এবং স্বেচ্ছাসেবক হবেন তাতে নতুন মানুষের দেখা পাওয়া যাবে এবং নতুন কিছু শেখা যাবে।

● কারো বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ পুষে রাখার ছেয়ে বরং শখের ছোট্ট কিছু, যেমন বিড়াল বা এমন কোনো পশু পোষতে পারেন, তাতে দায়িত্ববোধ শক্ত হয়, ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।

● যতটা পারা যায় ভ্রমণ করবেন, এতে অভিজ্ঞতার সাথে মানসিক বিস্তৃতি ঘটে।

● রান্না করতে না পারলে শিখে ফেলুন এবং সংসারকে সুন্দর-শান্তিময় রাখার চেষ্টা করোন।

● প্রতিদিন নিজেকে আবিষ্কার করোন, এটা জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আসে। নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

● নিজের সংস্কৃতি ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোকে জানার এবং তার সাথে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন। নিজেকে রক্ষার চেষ্টায় থাকবেন, যাতে কেউ আপনার জীবনে হস্তক্ষেপ না করে।রোমান্সকে পরিত্যাগ করবেন না। এটা জীবনকে একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।

● স্মরণীয় দিনগুলোকে ভোলা উচিত নয়। কারণ, এগুলো সামনের দিনগুলোর পথ নির্মাণ করতে সাহায্য করে। নিজের স্মরণীয় দিনগুলো এর মধ্যে প্রধান। সামাজিক হওয়ার চেষ্টা রাখবেন অব্যাহত।

● সৃষ্টিশীল হওয়ার চেষ্টা করবেন নিরবচ্ছিন্ন।কখনো রূঢ় হবে না। নিজেকে শিল্পসম্পন্ন ও রুচিমতভাবে প্রকাশ করবেন।

● নিজের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাকে জয় করবেন। ভয়কে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন ভালোভাবে চলতে হলে।

● নিজের ভাবনাগুলোকে লিখার চেষ্টা করবেন। পারলে ব্লগ লিখেন নইলে কোরায় প্রশ্নোত্তর। একসময় দেখা যাবে, এই ভাবনাগুলোই অমূল্য সম্পদ।

● স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে রপ্ত করতে হবে। প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে এবং পেট সুস্থ রাখতে হবে।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ‘বাস্তবতা একটি মোহ, অবশ্যই তা নিরবচ্ছিন্ন।’ আর চীনা ধর্মীয় গুরু তাওজি খ্রিষ্টের তিন শ’ বছর আগে বলেছেন, ‘নীরবতাই বড় শক্তির উৎস।’ সুতরাং সবচেয়ে জরুরী হলো আপনাকে বাস্তব সম্মত হতে হবে এবং সবসময় উত্তেজিত না হয়ে নিরবতা পালন করা শিখতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url