Recipes of Bangladesh: বাংলাদেশের সেরা ১০ টি রেসিপি বানানোর পদ্ধতি দেখে নিন

 


কোফতা-কালিয়া-কাবাব হোক, বা ভুনা-পোলাও-মালাইকারি... বাংলাদেশি বিয়েবাড়ির মৎস্যভোজ মনে রাখার মতো! সম্ভার সাজালেন শেফ এবং অন্ত্রপ্রনর শুভব্রত মৈত্র।

রুই কালিয়া:


উপকরণ: রুইমাছ বড় ৩ টুকরো (৫০০-৬০০ গ্রাম), নুন স্বাদমতো, হলুদগুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ (মাছে মাখানোর জন্য)+ ১/২ চা-চামচ (রান্নার জন্য), সরষের তেল ১/২ কাপ, ঘি ১ টেবলচামচ, শুকনোলঙ্কা ৩টে, তেজপাতা ২টো, ছোট এলাচ ৩টে, দারচিনি ২ টুকরো, গোটা জিরে ১/২ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ১/২ কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, কাশ্মীরি লাললঙ্কা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, জিরেভাজার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, কিউব করে কাটা টমেটো ১/২ কাপ, কিশমিশ ১ টেবলচামচ, চিনি সামান্য, টক দই ১/২ কাপ, গরম জল পরিমাণমতো, গরম মশলা ১/২চা-চামচ, কাঁচালঙ্কা ৫-৬টা, ধনে গুঁড়ো ১ চা-চামচ।

প্রণালী: টক দই ফেটিয়ে রাখুন। রুইমাছ পরিষ্কার করে, নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে, মাছগুলো যেন খুব বাদামি না হয়ে যায়। এর পর মাছভাজার তেলেই কুচনো পেঁয়াজ দিয়ে, বেরেস্তা ভেজে নিন। ছেঁকে, সরিয়ে রাখুন। এবার তেলে শুকনোলঙ্কা, গোটা জিরে আর গোটা গরম মশলা দিন। পেঁয়াজ বাটা দিয়ে, ভেজে নিন ৩-৪ মিনিট। তারপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে আর একটুক্ষণ ভাজুন। অল্প গরম জল দিন। এরপর একে একে দিন হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো আর জিরেভাজা গুঁড়ো। আর একটু গরম জল দিয়ে কষতে থাকুন, তেল ভেসে ওঠা অবধি। এবার দিন ফেটানো টক দই। গ্রেভিতে দই মিশে গেলে নুন, চিনি আর টমেটো দিন। আবার গরম জল দিন পরিমাণমতো। ঢেকে রাখুন, যত ক্ষণ না ঝোল ফুটে ওঠে। এবার ভেজে রাখা মাছগুলো ঝোলে দিয়ে, আবার ৫-৬ মিনিট ঢেকে রাখুন। ঝোল যখন একটু কমে আসবে, একে একে দিন গোটা কাঁচালঙ্কা, গরম মশলা গুঁড়ো, কিশমিশ, ঘি আর বেরেস্তা। ২ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে, আঁচ বন্ধ করে দিন। তারপর আবার ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রেখে, পরিবেশন করুন।

রূপচাঁদা দো-পেঁয়াজা:




উপকরণ: বড় রূপচাঁদা বা পমফ্রেট মাছ ২টো, নুন স্বাদমতো, হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ (ভাজার জন্য)+ ১/২ চা-চামচ (রান্নার জন্য), লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, ধনে গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ১/৪ কাপ, কিউব করে কাটা টমেটো ১/২ কাপ, আস্ত কাঁচালঙ্কা ৫টা, তেল ১/৪ কাপ, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, লেবুর রস ২ চা-চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা-চামচ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: রূপচাঁদা মাছের দু’পিঠ চিরে, ভাল করে ধুয়ে নিন। হলুদ, পরিমাণমতো নুন এবং লেবুর রস ভালভাবে মাখিয়ে নিন মাছের গায়ে। গরম তেলে মাছগুলো মুচমুচে করে ভেজে, তুলে রাখুন। আবার তেল গরম করে, কুচনো পেঁয়াজ নরম করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাটা আর রসুন বাটা মিশিয়ে, কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং সামান্য জল দিয়ে কষতে থাকুন, যতক্ষণ না তেল আর মশলা আলাদা হয়ে যায়। অল্প জল মেশান, জল ফুটে উঠলে মাছ দিন। ঢাকা দিয়ে, দু’তিন মিনিট রাখুন। তারপর টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা মেশান। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রূপচাঁদা দো-পেঁয়াজা।

চিংড়ি মালাইকারি:



উপকরণ: বড় গলদা চিংড়ি ৩টে, তেল ৩ টেবলচামচ, ঘি ১ টেবলচামচ, পেঁয়াজ বাটা ১/২ কাপ, আদা বাটা ১/২ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, দই ১/৪ কাপ, কাঁচালঙ্কা ৪-৫টা, নারকেলের দুধ ১ কাপ, নুন স্বাদমতো, চিনি ১/২ চা-চামচ, ছোট এলাচ ২টো, তেজপাতা ১টা, দারচিনি ১ টুকরো, গরমমশলা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ।

প্রণালী: টক দই ফেটিয়ে রাখুন। চিংড়ির রগ ফেলে, ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এখানে খোসা রেখে রান্না করা হয়েছে, চাইলে খোসা ফেলেও দেওয়া যাবে। সামান্য নুন আর হলুদ দিয়ে মাছগুলো ভেজে, তুলে রাখুন। ভাজার সময় শুধু তেল ব্যবহার করতে হবে এবং মাছের প্রত্যেক পাশ ৫০ সেকেন্ডের মতো ভাজতে হবে। মাছ ভাজার তেলেই ঘি মেশান, গরম হলে গোটা গরম মশলা দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পেঁয়াজ বাটা মেশান। পেঁয়াজ বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন, সঙ্গে চিনি ও নুনও মিশিয়ে নিন। এবার আদা ও রসুন বাটা মেশান। কিছুক্ষণ কষিয়ে হলুদ গুঁড়ো এবং কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিন। ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে, যেন তলায় লেগে না যায়। তেল ও মশলা আলাদা হয়ে গেলে ফেটিয়ে রাখা টক দই দিন। দই দেওয়ার সময় আঁচ কমিয়ে রাখুন, যাতে দই কেটে না যায়। কিছুক্ষণ কষিয়ে, নারকেলের দুধ দিন। ফুটে উঠলে, ভাজা চিংড়িগুলো দিন। পাঁচ-সাত মিনিট ফুটিয়ে, কাঁচালঙ্কা আর গরম মশলা ছিটিয়ে দিন। গরম গরম চিংড়ির মালাইকারি পরিবেশন করুন।

ইলিশ পোলাও:



উপকরণ: ইলিশের জন্য: ইলিশ মাছ বড় ৬ টুকরো, টক দই ১/২ কাপ, মিষ্টি দই ২ টেবলচামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচালঙ্কা ৭-৮টা, পেঁয়াজ বাটা ১/২ কাপ, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, জল পরিমাণমতো। পোলাওয়ের জন্য: পোলাওয়ের চাল ৩ কাপ, জল ৬ কাপ, আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, তেল ৪ টেবলচামচ, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ২ টেবলচামচ।

প্রণালী: ইলিশ রান্নার জন্য মাছ ধুয়ে, নুন মাখিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে, পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন ভাল করে। হালকা বাদামি রং ধরলে পেঁয়াজ বাটা মেশান। পেঁয়াজের কাঁচা গন্ধ কেটে গেলে তাতে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো আর নুন দিন। অল্প জল দিয়ে কষতে থাকুন, তেল ভেসে ওঠা পর্যন্ত। মিষ্টি দই আর টক দই একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন খুব ভাল করে। কষানো মশলায় দই দিয়ে, আবার কষিয়ে নিন তিন-চার মিনিট। এবার বেশ কিছুটা জল দিন। ফুটতে শুরু করলে ইলিশ মাছ দিয়ে দিন ঝোলে, সঙ্গে কাঁচালঙ্কা। ঢাকা দিয়ে ৭-৮ মিনিট রান্না করুন। তেল উপরে উঠে আসলেই বুঝবেন, ইলিশ তৈরি। একটি পাত্রে মাছ ও অল্প মশলা আলাদা করে তুলে রাখুন। কিছুটা মশলা আলাদা করে নিতে হবে পোলাওয়ের জন্য। এবার পোলাও রান্নার পালা। পাত্রে তেল গরম করে, পেঁয়াজ কুচি দিন। হালকা বাদামি হলে, আদা আর রসুন বাটা দিন। একটু ভেজে, চাল দিয়ে দিন। নুন আর গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে, চাল আবার ভাল করে ভাজতে হবে দু’মিনিট। ইলিশের যে মশলা তুলে রেখেছিলেন, সেটা দিন এবার। ভালভাবে মিশিয়ে, ফুটন্ত গরম জল দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে, পোলাও না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পোলাও প্রায় হয়ে এলে, মাছগুলো বিছিয়ে দিয়ে দমে রাখতে হবে ২০ মিনিট। গরম গরম ইলিশ পোলাও উপভোগ করুন।

আয়ের ভুনা:



উপকরণ: আয়ের বা আড়মাছ বড় ৩ টুকরো, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, নুন স্বাদ অনুযায়ী, আদা বাটা ১/২ চা-চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা-চামচ, টমেটো বাটা ১/৪ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১/৪ কাপ, বড় পেঁয়াজ ২টো (বাটা), ধনেপাতা কুচি ১/৪ কাপ, কাঁচালঙ্কা ৪-৫টা, তেল ১/৪ কাপ।

প্রণালী: আড়মাছ নুন মাখিয়ে আধঘণ্টা রেখে, ভাল করে ধুয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে, হালকা বাদামি করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। পেঁয়াজ বাটা আর আদা-রসুন বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। তারপর হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো এবং অল্প জল দিয়ে, কষিয়ে নিন। তেল আর মশলা আলাদা হয়ে গেলে, টোম্যাটো বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে আরও পাঁচ মিনিট। মাছ দিন তারপর। অল্প জল দিয়ে, আরও ছ’সাত মিনিট কষিয়ে নিন। তেল ভেসে উঠলে, সামান্য জল দিয়ে ঢেকে রাখুন পাঁচ মিনিট। তারপর কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে, কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। তেল ভেসে উঠলেই আয়ের ভুনা তৈরি!

ইলিশ কাবাব:



উপকরণ: আস্ত ইলিশ মাছ ১টা, বেরেস্তা ১/২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, কাঁচালঙ্কা কুচি ২ টেবলচামচ, ভাজা শুকনোলঙ্কা ৪টে, সরষের তেল ১/৪ কাপ, বিস্কিটের গুঁড়ো ১১/২ কাপ অথবা ব্রেডক্রাম (পাউরুটির গুঁড়ো) ১১/২ কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, নুন স্বাদমতো, লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা-চামচ, বড় সেদ্ধ আলু ১টা।

প্রণালী: মাছ ধুয়ে, টুকরো করে, মাথা আর লেজ আলাদা করে নিন। নুন, হলুদ আর লঙ্কা দিয়ে লেজ আর মাথা ভেজে, পরিবেশনের পাত্রে তুলে রাখুন। একটা পাত্রে বেরেস্তা আর শুকনো লঙ্কা একসঙ্গে মাখুন। তাতে আলু দিয়ে, ভাল করে মেখে রাখুন। এর পর আঁচে আন্দাজমতো জল চড়ান। তাতে হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো আর পরিমাণমতো নুন দিয়ে মাছ সেদ্ধ করতে বসান। জল শুকিয়ে, মাছ সেদ্ধ করে নিন। কাঁটা বেছে, আলাদা করে রাখুন। তেল গরম করে পেঁয়াজ আর কাঁচালঙ্কা কুচি ভেজে নিন। তারপর মাছ দিয়ে, ভাল করে ভাজুন। আলু-বেরেস্তার মিশ্রণটা মাছে দিয়ে, ভালভাবে মিশিয়ে নিন। দু’মিনিট পর নামিয়ে নিন। তৈরি কাবাব। মাছের মাথা আর লেজের মাঝে এই কাবাব মাছের আকৃতিতে সাজিয়ে নিন। উপরে বিস্কিট বা পাউরুটির গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে, নকশা করে নিতে হবে পছন্দমতো। ইলিশ কাবাব পরিবেশনের জন্য তৈরি!

কাটাগলা ইলিশ:




উপকরণ: ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের আস্ত ইলিশ ১টা, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, লেবুর রস ৪ টেবলচামচ, টক দই ৪ চা-চামচ, সরষের তেল ১/৪ কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, বড় টমেটো ১টা, আটা ২ কাপ, জল ১ লিটার, কাঁচা লঙ্কা ৭-৮টা, নুন স্বাদ অনুযায়ী।
প্রণালী: ইলিশের আঁশ ছাড়িয়ে নিন। পেটের দিকটা কেটে, ভাল করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। মাছের দু’পাশেই একটু দাগ কেটে নিতে হবে ছুরি দিয়ে। পেঁয়াজ কুচি, লেবুর রস, টক দই, সরষের তেল, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো আর প্রয়োজনমতো নুন আলাদা বাটিতে মিশিয়ে নিন একসঙ্গে। এই মিশ্রণ ইলিশের গায়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। একটা এত বড় প্যান নিন, যাতে আস্ত মাছ ধরবে। এই প্যানে মাছ নিয়ে, ১ লিটার জল দিন। আটার লেই বানিয়ে, মুখ এঁটে দিন পাত্রের। আঁচ একদম বাড়িয়ে, ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর একদম কমিয়ে, বসিয়ে রাখুন ছ’সাত ঘণ্টা। ঢাকনা খুলে, ফুটিয়ে নিন, যাতে জল শুকিয়ে মাখা-মাখা হয়ে যায়। নামানোর আগে কাঁচালঙ্কা দিয়ে ঢেকে, আবার ফুটিয়ে নিন। খুব সাবধানে সাজিয়ে নিন পাত্রে।

চিতল মাছের কোফতা:




উপকরণ: আস্ত চিতল মাছ ১টা, নুন স্বাদ অনুযায়ী, মিহি করে কুচনো ধনেপাতা ১/২ কাপ, মিহি করে কুচনো পুদিনাপাতা ১/৪ কাপ, মিহি করে কুচনো পেঁয়াজ ১/২ কাপ, মিহি করে কুচনো কাঁচালঙ্কা ১ টেবলচামচ, আদা কুচি ১ টেবলচামচ, জিরেভাজার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, তেল ১/২ কাপ (ভাজার জন্য)।

প্রণালী: চিতল মাছের আঁশ ছাড়িয়ে, মাথা কেটে, ধুয়ে নিন। জ়িপলক ব্যাগে মাছটা ভরে, শিল বা মিট হ্যামার দিয়ে ছেঁচে, মাছ আর ছাল আলাদা করে নিন। ছালটা পেটের দিক দিয়ে এমনভাবে কেটে নিতে হবে যাতে ছিঁড়ে না যায়। কাঁটাচামচ দিয়ে চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকা কাঁটাও আলাদা করে নিন। মাছের সঙ্গে সব মশলা ভাল করে মেখে নিন। চামড়ার ভিতরে এই পুর মাছের শেপে ভরে দিন। প্যানে ১/৪ কাপ তেল দিয়ে, কোফতা দিন। দু’পিঠই পাঁচ মিনিট করে ভেজে নিন। এর পর মাছের কোফতা ১/২ ইঞ্চি মোটা করে টুকরো করে নিন। মাছের অংশ লাল করে ভেজে, গরম গরম পরিবেশন করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url