Ways to keep skin beautiful in summer: রোদের আগুনে ত্বক ঝলসে একাকার? গরমে ত্বক সুন্দর রাখার উপায়

 


Ways to keep skin beautiful in summer: রোদের আগুনে ত্বক ঝলসে একাকার? গরমে ত্বক সুন্দর রাখার উপায়


গ্রীষ্ম আসন্ন। এখনই সূর্যের কড়া শাসানিতে বাইরে বেরনো দায়! বাড়িতেও এক মুহূর্ত শান্তি নেই। গরমের দাপটে সর্বত্রই হাঁসফাঁস করার জোগাড়। এই গরমে সুন্দর থাকা? সে তো সোনার পাথরবাটি! রোদের আগুনে ত্বক ঝলসে একাকার। সেই সঙ্গে তেলতেলে ত্বক, ঘাম জমে অ্যাকনে, র‌্যাশেরও পোয়া বারো।

 বাড়িতে বসে আয়েশ করেও যে যত্ন নেবেন, সেখানেও সমস্যা। অত সময় আজকাল আর কারই বা থাকে! সুন্দর থাকতে এই সময় ত্বকের প্রয়োজন বিশেষ আদর। আজ সেই বিষয়েই কথা বলব। শরীর ঠান্ডা রাখতে যেমন জলের কোনও বিকল্প নেই, ঠিক তেমনই গরমে সুন্দর থাকতেও কাজে লাগাতে পারেন জল। না, সাধারণ জলের কথা মোটেও বলছি না। বলছি সমুদ্রের কথা। সমুদ্রের অতল গভীরে এমন অনেক উপাদান লুকিয়ে রয়েছে, যা আপনার নির্জীব ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে পারে। 

সমুদ্রের জল ছাড়াও সি-উইড, অ্যালগি, মেরিন ক্রিস্টাল, ক্যাভিয়ারের মতো এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যা আজকাল রূপচর্চার দরবারে বেশ সুপরিচিত। আর সেই উপকারিতার সূত্র ধরেই বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেরিন ফেশিয়াল। বলতে পারেন ত্বকের যাবতীয় সমস্যার অব্যর্থ সমাধান এই আধুনিক ফেশিয়াল রেঞ্জ। সামুদ্রিক উপাদানের গুণে সমৃদ্ধ এই ফেশিয়াল ত্বক ঠান্ডা রাখবে, পাশাপাশি নিষ্প্রভ ত্বকে ফুটিয়ে তুলবে লাবণ্য, যা এক কথায় গরমের জন্য আদর্শ। বৈশাখের দাবদাহ থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখার এর চেয়ে রিল্যাক্সিং উপায় আর নেই।

মেরিন ফেশিয়াল কী?

বিগত কয়েক বছরে রূপচর্চার জগতে সমুদ্রজাত বিভিন্ন উপাদান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জ্ন করেছে। ক্রিম, ফেসপ্যাক, স্ক্রাব তথা ফেসওয়াশে আজকাল সামুদ্রিক উপাদানের ছড়াছড়ি। আর সেই সূত্র ধরেই এসেছে মেরিন ফেশিয়াল। সাধারণ স্কিনকেয়ার প্রডাক্টের তুলনায় ফেশিয়াল ত্বকের অনেক গভীরে গিয়ে কাজ করে বলে ফলও অনেক দ্রুত পাওয়া যায়। তাছাড়া ফেশিয়াল যেহেতু বেশ সময়সাপেক্ষ, তাই এর উপকারিতাও সাধারণ স্কিনকেয়ার রেজিমের থেকে অনেকটাই বেশি। 

এই ফেশিয়ালের প্রতিটি ধাপেই সমুদ্রজাত বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়। এক কথায়, নির্জীব, রুক্ষ ত্বকের জিয়নকাঠি এই ফেশিয়াল। ত্বকের সব ধরনের সমস্যার জন্যই একাধিক মেরিন ফেশিয়ালের অপশন রয়েছে এখন। তবে প্রতিটি ফেশিয়ালেরই প্রধান কাজ ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণ সঠিক রাখা। মেরিন ওয়াটার, মাইক্রো অ্যালগি, সি-ক্রিস্টাল, সি-উইডের মতো একাধিক উপাদানের উপকারিতা পাওয়া যায় প্রতিটি ফেশিয়ালে। এই প্রতিটি উপাদানেই ত্বকের উপকারী একাধিক মিনারেল রয়েছে, যা ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। সমুদ্রের জল আমাদের স্কিন ব্যারিয়ার মজবুত করতে উপযোগী। 

এতে ত্বক সহজে আর্দ্রতা হারায় না। ফলস্বরূপ ত্বকের জেল্লা এবং কোমলতা বজায় থাকে। সামুদ্রিক অ্যালগি এবং সি-উইডে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন বর্তমান। সেই সঙ্গে রয়েছে জ়িঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ, যা ত্বকীয় কোষ সজীব রাখতে আবশ্যক। উপাদান ছাড়াও এই ফেশিয়ালের অন্যতম বিশেষত্ব এর মাসাজিং পদ্ধতি। সমুদ্রের ঢেউয়ের আন্দোলনের অনুকরণে  সৃষ্ট এই মাসাজ মাসল টেনশন কমিয়ে ত্বকের পেশি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। এতে ত্বক মসৃণ, তরতাজা এবং যৌবনোচ্ছ্বল থাকে। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের চাবিকাঠি এই মেরিন ফেশিয়াল। ত্বকের ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী চারটি ফেশিয়ালের পদ্ধতি আজ আপনাদের বলব। নতুন বছরে ট্রাই করে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না।



৩ অ্যালগি মেরিন ফেশিয়াল:

বিভিন্ন ধরনের মেরিন ফেশিয়ালের মধ্যে এটি সবথেকে জনপ্রিয়। সব ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী এই ফেশিয়ালটির বিশেষত্ব এর উপকরণ। এই ফেশিয়ালের প্রতিটি উপকরণেই রয়েছে সামুদ্রিক বিভিন্ন জীবের নির্যাস। তিন ধরনের সামুদ্রিক অ্যালগির মিশ্রণে তৈরি করা হয় এর প্রধান মাস্ক। পাশাপাশি এতে রয়েছে সি-উইড, যা ত্বকের প্রয়োজনীয় মিনারেলের ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং ত্বকের পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে। তবে সবথেকে প্রথমে ব্যবহার করা হয় সামুদ্রিক নির্যাসযুক্ত অ্যাকোয়াটিক এসেন্স এবং মেরিন মিস্ট।

 এতে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। এরপর বিশেষ মাসাজ পদ্ধতিতে ক্লেনজ়ারের সাহায্যে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার করে এক্সফোলিয়েট করে নেওয়া হয়। এরপর টোনার এবং ট্রিটমেন্ট জেল ব্যবহারের পর ব্যবহার করা হয় সি-উইডযুক্ত মাস্ক। মাস্ক ব্যবহার করার পর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের সাহায্যে মুখ ভালভাবে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে মাস্ক ভালভাবে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করার সুযোগ পায় এবং এতে মাস্কের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়। 

প্রায় ২০ মিনিট মুখে এই মাস্ক লাগিয়ে রাখার পর বিশেষ মাসাজ ক্রিমের সাহায্যে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ত্বক ভালভাবে মাসাজ করা হয়। এতে ফেশিয়াল মাসল টোনড এবং রিল্যাক্সড হয়। সবশেষে ব্যবহার করা হয় ময়শ্চারাইজ়ার। ত্বকের উপরিভাগে জমে থাকা মৃত কোষের আস্তরণ সরিয়ে ফুটিয়ে তোলে লাবণ্য। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়। এতে বিভিন্ন ক্রিম এবং লোশনও ত্বকের অনেক গভীরে প্রবেশ করতে পারে। ত্বক হয়ে ওঠে কোমল এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

সোর্স মেরিন ফেশিয়াল:

ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজ়ারের ব্যবহার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য! শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো ত্বকেরও জলের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ত্বক কোমল রাখতে, উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। আর এই প্রয়োজন শুধুমাত্র শুষ্ক বা স্বাভাবিক ত্বকের জন্যই নয়, তৈলাক্ত এবং মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের ক্ষেত্রেও একই। কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হওয়ায়, শীতকাল বাদে সারাবছর ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ে আমরা কেউই বিশেষ মাথা ঘামাই না। দিনের পর দিন আর্দ্রতার অভাবে ত্বকের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে, ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত জলের অভাবে ত্বকের নমনীয়তা কমতে থাকে, ত্বক রুক্ষ এবং নির্জীব হয়ে পড়ে। এতে বলিরেখা, ফাইন লাইনস, এজিং স্পট ইত্যাদিও দ্রুত দেখা দেয়। 

এই সবকিছু থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চাইলে ত্বকের হাইড্রেশন অর্থাৎ আর্দ্রতা বজায় রাখা একান্ত জরুরি। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে আদর্শ এই সোর্স মেরিন ফেশিয়াল। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেশিয়াল খুবই উপকারী। মূলত তিনভাবে এই ফেশিয়াল ত্বকের উপকার করে। এটি ত্বকের জল শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ত্বক পরিবেশ থেকে বেশিমাত্রায় আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে। পাশাপাশি এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে সহজে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে না। তাছাড়া এই ফেশিয়ালের প্রতিটি উপাদানই বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি, যা ত্বকে আর্দ্রতার সঠিক পরিমাণ বজায় রাখে। 

এই ফেশিয়ালের অন্যতম উপাদান মেরিন স্প্রিং ওয়াটার। ম্যাগনেশিয়াম, সিলিসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো জরুরি মিনারেলে সমৃদ্ধ এই জল ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করা হয় পিল-অফ মাস্ক। এই বিশেষ মাস্কটি ত্বকের অশুদ্ধি দূর করার পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করে। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহেও এটি ত্বককে নরম ও তরতাজা রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

সোর্স মেরিন ফেশিয়াল:

ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত ময়শ্চারাইজ়ারের ব্যবহার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য! শরীরের বিভিন্ন অংশের মতো ত্বকেরও জলের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ত্বক কোমল রাখতে, উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে জলের কোনও বিকল্প নেই। আর এই প্রয়োজন শুধুমাত্র শুষ্ক বা স্বাভাবিক ত্বকের জন্যই নয়, তৈলাক্ত এবং মিশ্র প্রকৃতির ত্বকের ক্ষেত্রেও একই। কিন্তু গ্রীষ্মপ্রধান দেশ হওয়ায়, শীতকাল বাদে সারাবছর ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ে আমরা কেউই বিশেষ মাথা ঘামাই না। দিনের পর দিন আর্দ্রতার অভাবে ত্বকের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে, ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত জলের অভাবে ত্বকের নমনীয়তা কমতে থাকে, ত্বক রুক্ষ এবং নির্জীব হয়ে পড়ে। এতে বলিরেখা, ফাইন লাইনস, এজিং স্পট ইত্যাদিও দ্রুত দেখা দেয়। এই সবকিছু থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চাইলে ত্বকের হাইড্রেশন অর্থাৎ আর্দ্রতা বজায় রাখা একান্ত জরুরি। 

ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে আদর্শ এই সোর্স মেরিন ফেশিয়াল। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেশিয়াল খুবই উপকারী। মূলত তিনভাবে এই ফেশিয়াল ত্বকের উপকার করে। এটি ত্বকের জল শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে ত্বক পরিবেশ থেকে বেশিমাত্রায় আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে। পাশাপাশি এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। ফলে সহজে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে না।

 তাছাড়া এই ফেশিয়ালের প্রতিটি উপাদানই বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি, যা ত্বকে আর্দ্রতার সঠিক পরিমাণ বজায় রাখে। এই ফেশিয়ালের অন্যতম উপাদান মেরিন স্প্রিং ওয়াটার। ম্যাগনেশিয়াম, সিলিসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো জরুরি মিনারেলে সমৃদ্ধ এই জল ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার করার পর ব্যবহার করা হয় পিল-অফ মাস্ক। এই বিশেষ মাস্কটি ত্বকের অশুদ্ধি দূর করার পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করে। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহেও এটি ত্বককে নরম ও তরতাজা রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।



কোকুনিং মেরিন ফেশিয়াল:

এই মেরিন ফেশিয়ালটি সেনসিটিভ ত্বকের জন্য আদর্শ। বিশেষত গরমকালের জন্য অত্যন্ত সুদিং এবং রিল্যাক্সিং এই ফেশিয়াল। রোদের তাপ থেকে হওয়া লালচেভাব, সানবার্ন, ট্যানিং, র‌্যাশের মতো নানা সমস্যার ক্ষেত্রেও এই ফেশিয়াল দারুণ উপযোগী। স্কিন অ্যালার্জি থেকেও উপশম দেবে এই কোকুনিং ফেশিয়াল। মাসাজ স্ট্রোক থেকে শুরু করে উপকরণ, এই ফেশিয়ালের প্রতিটি ধাপই অত্যন্ত মাইল্ড এবং জেন্টল, যা সেনসিটিভ ত্বকের জন্য আদর্শ। তাছাড়া এতে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা ত্বক দৃঢ় এবং টানটান রাখতে উপকারী। 

এই ফেশিয়ালের প্রথম ধাপে জেন্টল ক্লেনজ়ার এবং স্ক্রাবের সাহায্যে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। এরপর জেল মাস্ক লাগিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্রায় আধঘণ্টা এভাবে থাকার পর আঙুলের সাহায্যে খুব আলতোভাবে পুরো মুখ, গলা এবং ঘাড় বিশেষ পদ্ধতিতে মাসাজ করা হয়। ত্বক পরিষ্কার থাকায় খুব সহজেই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে। ত্বক ঠান্ডা থাকে, ইনফ্ল্যামেশন কমে এবং উজ্জ্বলতাও বাড়ে।

পিওর ফ্রেশনেস ফেশিয়াল:

যাঁদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত বা মিশ্র প্রকৃতির (মুখের টি-জ়োন তৈলাক্ত এবং বাকি অংশ স্বাভাবিক বা শুষ্ক), তাঁদের জন্য উপযোগী পিওর ফ্রেশনেস ফেশিয়াল। অ্যাকনে, ব্রন, র‌্যাশ, পিম্পল ইত্যাদি যাবতীয় সমস্যার ওয়ান স্টপ সলিউশন এই মেরিন ফেশিয়ালটি। এর বিশেষত্ব এর ডাবল মাস্ক যা ত্বকের ইনফ্ল্যামেশন কমানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত তৈলাক্তভাবও কমায়। ত্বকে আর্দ্রতা এবং তৈলাক্তভাবের ভারসাম্য বজায় থাকায়, ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে। এক্ষেত্রেও প্রথমে ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। 

এরপর ব্যবহার করা হয় মেল্ট-ইন স্ক্রাব। সামুদ্রিক ক্রিস্টালযুক্ত এই স্ক্রাব অত্যন্ত সহজে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায় এবং কোমলভাবে ত্বকের জমে থাকা মৃত কোষ এবং টক্সিনের পরত দূর করে। এই স্ক্রাব এক বিশেষ উপাদানে তৈরি, যা ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা সিবাম দূর করতে অব্যর্থ। রন্ধ্র পরিষ্কার থাকায় অতিরিক্ত তেল ত্বকে জমতে পারে না। ফলে অ্যাকনের সমস্যাও কমে। আবার বিভিন্ন উপাদানও ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এরপর ১৫ মিনিট ত্বক মাসাজ করা হয়। ফেশিয়ালের শেষধাপে ব্যবহার করা হয় বিশেষ ডাবল মাস্ক, যা ত্বককে লাবণ্যময় করে তোলে। ত্বকে জমে থাকা অশুদ্ধি দূর হওয়ায় ত্বক মসৃণ দেখায়। ত্বক সজীব হয়ে ওঠে।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ত্বকের হেন কোনও সমস্যা নেই, যার সমাধান এই ফেশিয়ালে পাবেন না। অনেকে হয়তো ইতিমধ্যে নিজের পছন্দের ফেশিয়ালটি বেছেও ফেলেছেন। তবে শুধু সমস্যা থাকলেই নয়, ত্বকে কোনও সমস্যা না থাকলেও একঘেয়ে ফেশিয়ালের পরিবর্তে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন মেরিন ফেশিয়াল।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url