ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বিসিসিআই আইপিএল ২০২৫ স্থগিত করেছে, টুর্নামেন্টে আর মাত্র ১৬টি ম্যাচ বাকি আছে। ভারতের ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সফরের পর সেপ্টেম্বর মাস পুনরায় শুরু করার সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে ব্যবধানটি সমাপ্তির জন্য একটি সংকীর্ণ কিন্তু সম্ভাব্য সময়সূচী প্রদান করে। পরিস্থিতি আইপিএল ২০২১-এর প্রতিফলন, যা স্থগিতাদেশের পরে সফলভাবে পুনরায় শুরু হয়েছিল। ভক্তরা সক্রিয়ভাবে সংশোধিত সূচি সম্পর্কে আপডেট খুঁজছেন, অন্যদিকে স্টেকহোল্ডাররা বিলম্বকে সমর্থন করছেন। উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঝুঁকি জড়িত থাকার সাথে সাথে, বিসিসিআই শীঘ্রই একটি নতুন সময়সূচী চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যাঘাত এবং আইপিএল ২০২৫-এর শক্তিশালী সমাপ্তি নিশ্চিত করা যায়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৫-এর বাকি ম্যাচগুলি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, বর্তমানে এই স্থগিতাদেশ এক সপ্তাহের জন্য।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সম্ভাব্য ভেন্যু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
বিসিসিআই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে পরিস্থিতির ব্যাপক মূল্যায়নের পর টুর্নামেন্টের নতুন সময়সূচী এবং ভেন্যু সম্পর্কে আরও আপডেট যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।"
"বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে তাদের খেলোয়াড়দের উদ্বেগ এবং অনুভূতি এবং সম্প্রচারক, স্পনসর এবং ভক্তদের মতামত জানানোর পর সকল গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সাথে যথাযথ পরামর্শের পর আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে; বিসিসিআই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি এবং প্রস্তুতির উপর পূর্ণ আস্থা রাখে, বোর্ড সকল অংশীদারদের সম্মিলিত স্বার্থে কাজ করাকে বিচক্ষণতা বলে মনে করে," বিসিসিআই আরও বলেছে।
লিগ স্থগিত করার পদক্ষেপটি বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে স্থগিত ম্যাচের পর এবং বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে আসে। সমস্ত বিকল্প টেবিলে থাকা অবস্থায়, বিসিসিআই সমস্ত অংশীদারদের সুরক্ষা এবং স্বার্থ মাথায় রেখে একটি অস্থায়ী স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তাৎক্ষণিক উদ্বেগের মধ্যে একটি ছিল অংশীদারদের নিরাপদ চলাচল। দল, খেলোয়াড়, সম্প্রচার দল এবং অন্যান্য লিগ কর্মীদের ধর্মশালা থেকে নয়াদিল্লিতে আইপিএলে জড়িত সকলকে পরিবহনের প্রচেষ্টায়, সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। জড়িতদের ধর্মশালায় তাদের হোটেলে বাসে উঠতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তাদের বলা হয়নি যে তারা দিল্লি যাওয়ার ট্রেনে কোথা থেকে যাবেন। এই লেখার সময়, তারা বাসে ছিলেন এবং সঠিক গন্তব্য সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল আগে বলেছিলেন যে সরকারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। "আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। পরিস্থিতি বিকশিত হচ্ছে, এবং আমরা এখনও সরকারের কাছ থেকে কোনও নির্দেশনা পাইনি। সমস্ত লজিস্টিক বিবেচনা এবং স্টেকহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থ মাথায় রেখে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url