সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কলকাতা (সময়, ইতিহাস, প্রবেশ ফি, ছবি, নির্মিত এবং তথ্য)

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কলকাতা (সময়, ইতিহাস, প্রবেশ ফি, ছবি, নির্মিত এবং তথ্য)

 কলকাতা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) দুর্গাপূজা কীভাবে আসবেন

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ভারতের কলকাতার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশিষ্ট পাবলিক স্কোয়ার। এটি শহরের একটি সুপরিচিত ল্যান্ডমার্ক এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি জনপ্রিয় সমাবেশস্থল হিসেবে কাজ করে। এই স্কোয়ারের নামকরণ করা হয়েছে একজন বিখ্যাত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজকর্মী সন্তোষ মিত্রের নামে।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কোথায় অবস্থিত?

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারটি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বউবাজারের লেবুতোলায়, নটবর দত্ত রোডে অবস্থিত।

এটি একটি সুপরিচিত পার্ক যেখানে খেলার মাঠ ও সুইমিং পুল রয়েছে এবং প্রতি বছর এখানে জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

আপনি মানচিত্রে এর অবস্থান দেখতে পারেন:

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের অবস্থান

ঠিকানা: Natabar Dutta Row, Lebutala, Bowbazar, Kolkata, West Bengal 700014

রেটিং: ৪.৪ (অনেক ব্যবহারকারীর রিভিউ সহ)

ফোন নম্বর: +91 80172 02005

খোলার সময় (স্থায়ীভাবে):

  • সোমবার থেকে শনিবার: সকাল ১১:৩০টা থেকে রাত ১১:৩০টা

  • রবিবার: বন্ধ

(নোট: এই সময়সূচী পার্ক বা মাঠের স্বাভাবিক খোলার সময় হতে পারে, তবে দুর্গাপূজার সময় পরিবর্তিত হতে পারে।)

সন্তোষ মিত্র কে ছিলেন?

সন্তোষ কুমার মিত্র (Santosh Kumar Mitra) ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট কর্মী ও শহীদ।

তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

  • জন্ম ও শিক্ষা: তিনি ১৯০০ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

    • তিনি ১৯১৫ সালে কলকাতার হিন্দু স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

    • ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

    • পরে তিনি দর্শন শাস্ত্রে এম.এ. (M.A.) এবং আইন (LL.B.) পাশ করেন।

  • স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা:

    • তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে (Non-Co-operation Movement) যুক্ত হয়ে কারাবরণ করেন।

    • ১৯২২ সালে তিনি 'স্বরাজ সেবক সঙ্ঘ' (Swaraj Sevak Sangha) নামে নিজের দল গঠন করেন।

    • তিনি শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

    • তিনি কলকাতায় জওহরলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে একটি সোশ্যালিস্ট সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।

    • অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত হওয়ার পর তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের চরমপন্থী ধারার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং গুপ্ত বিপ্লবী দলের কাজে সক্রিয় হন।

    • চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের সময় তিনি বিপ্লবীদের কাছে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করতেন।

    • ১৯২৩ সালে শাঁখারিটোলা হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন, তবে পরে মুক্তি পান।

  • মৃত্যু: ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে ও তাঁর সহযোদ্ধা তারকেশ্বর সেনগুপ্তকে হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পে (Hijli Detention Camp) গুলি করে হত্যা করে।

কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার তাঁর স্মৃতিরক্ষার্থে নামকরণ করা হয়েছে।

সন্তোষ মিত্র পুজা মন্ডপ এর কাছে কোন মেট্রো স্টেশন অবস্থিত?

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) সবথেকে কাছের মেট্রো স্টেশনগুলি হলো:

১. সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন (Central Metro Station):

* এটি স্কোয়ারের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।

* এখান থেকে হেঁটে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মণ্ডপে পৌঁছানো যায়।

২. মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন (Mahatma Gandhi Road Metro Station - MG Road):

* এই স্টেশনটিও কাছাকাছি অবস্থিত।

* এখান থেকে হেঁটে বা স্বল্প দূরত্বের টোটো/ট্যাক্সিতে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে যাওয়া যায়।

৩. শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন (Sealdah Metro Station):

* যদিও এটি ব্লু লাইনের স্টেশনগুলির মতো একেবারে কাছে নয়, তবে এটি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (গ্রিন লাইন) এবং রেল স্টেশনের সংগে যুক্ত হওয়ায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প। এখান থেকে হেঁটে বা রিকশা নিয়ে সহজেই পৌঁছানো যায়।

পূজার ভিড়ের সময় সাধারণত সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করা সবচেয়ে সুবিধাজনক।

শিয়ালদা স্টেশন থেকে কি ভাবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এ যাওয়া যাবে 

শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) যাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়গুলি নিচে দেওয়া হলো। যেহেতু দূরত্ব খুবই কম, তাই হেঁটে যাওয়াই সবচেয়ে সুবিধাজনক।

১. হেঁটে (Walking)

এই দূরত্বটি হেঁটে যাওয়ার জন্য আদর্শ।

  • সময়: প্রায় ১০ মিনিট

  • দূরত্ব: প্রায় ৭৫০ মিটার

  • পথনির্দেশ: স্টেশন থেকে বেরিয়ে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট (Bepin Behari Ganguly St) ধরে হাঁটুন। অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পৌঁছে যাবেন।

২. অটো বা ট্যাক্সিতে (By Auto or Taxi/Cab)

যদি আপনি হেঁটে যেতে না চান বা দ্রুত পৌঁছাতে চান:

  • সময়: প্রায় ৩-৫ মিনিট (ট্র্যাফিক অনুযায়ী)

  • শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে থেকে আপনি সহজেই একটি লোকাল ট্যাক্সি বা অ্যাপ-ক্যাব (Uber/Ola) নিতে পারেন। এছাড়া, নিকটবর্তী গন্তব্যের জন্য চলা অটোও পেয়ে যেতে পারেন।

৩. মেট্রো দ্বারা (By Metro)

যদিও দূরত্ব কম, তবে হেঁটে যাওয়ার বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

  • শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন (গ্রিন লাইন) থেকে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে (ব্লু লাইন) যাওয়ার জন্য আপনাকে মেট্রো পরিবর্তন করতে হবে।

  • সবচেয়ে সহজ উপায় হলো শিয়ালদহ থেকে সরাসরি সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন বা মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশনে (MG Road) পৌঁছানো। এই স্টেশনগুলি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত।

সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজ উপায় হলো হেঁটে যাওয়া বা রিকশা/ট্যাক্সি নেওয়া, যেহেতু স্থানটি ১ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত।

সন্তোষ মিত্র স্কয়ার কলকাতার অবস্থান মানচিত্র

ব্যবহারকারী, আমি সরাসরি HTML ভিউ কোড প্রদান করতে পারি না। আমার সিস্টেমটি ম্যাপ ডেটা ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ইন্টারেক্টিভ মানচিত্র তৈরি করে যা নীচে প্রদর্শিত হচ্ছে।

এই ম্যাপ ভিউ-তে আপনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের অবস্থান দেখতে পারবেন।


সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের অবস্থান 📍

তথ্যবিবরণ
স্থানের নামসন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (লেবুতোলা পার্ক)
ঠিকানানাটবর দত্ত রো, লেবুতোলা, বৌবাজার, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০০১৪
গুরুত্বএটি একটি পাবলিক পার্ক এবং বিখ্যাত দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য পরিচিত।
সময়সূচীসোমবার - শনিবার: ১১:৩০ AM - ১১:৩০ PM (রবিবার বন্ধ)

স্থানটিতে পৌঁছানোর উপায় 🚇

  • নিকটতম মেট্রো স্টেশন: সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন বা শোভাবাজার সুতানুটি মেট্রো স্টেশন

  • নিকটতম রেল স্টেশন: শিয়ালদহ রেল স্টেশন

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার প্যান্ডেল কিছু ফটো গ্যালারী



আগের দেওয়া তথ্যের পাশাপাশি, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবং এর দুর্গাপূজা সম্পর্কিত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

১. লেবুতোলা পার্ক নামেও পরিচিত

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার স্থানীয়ভাবে লেবুতোলা পার্কের পুজো নামেও পরিচিত। এটি কলকাতার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত এবং দীর্ঘকাল ধরে মধ্য কলকাতার একটি প্রধান পুজো হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

২. নামকরণ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

  • আসল নাম পরিবর্তন: এই স্কোয়ারটির আসল নাম ছিল সেন্ট জেমস স্কোয়ার (St. James Square)

  • নামকরণের কারণ: ১৯৩১ সালে হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বিপ্লবী সন্তোষ কুমার মিত্র। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সরব হয়েছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই কলকাতার সেন্ট জেমস স্কোয়ারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার

  • বিপ্লবী জীবনের অংশ: সন্তোষ মিত্র ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসুর সহপাঠী এবং তিনি 'স্বরাজ সেবক সঙ্ঘ' নামে নিজের একটি দলও গঠন করেছিলেন।

৩. দুর্গাপূজার প্রধান আকর্ষণ: থিম ও চমক

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো কমিটি প্রতি বছর তাদের অভিনব থিম এবং বিশাল আকারের মণ্ডপ সজ্জার জন্য দেশজুড়ে পরিচিত।1 তারা এমন কিছু থিম বেছে নেয় যা সামাজিক, রাজনৈতিক বা জাতীয় গুরুত্ব বহন করে।

বছরথিমআকর্ষণ/বিবরণ
২০২৫ (সাম্প্রতিক)অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা অভিযান 'অপারেশন সিঁদুর'-এর বীরত্বকে সম্মান জানানো। মণ্ডপে নারীশক্তি ও সেনাবাহিনীর শৌর্য তুলে ধরা হয় এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missile), এস-৪০০ (S-400) ব্যবস্থার মডেল ব্যবহার করা হয়।
২০২৩রাম মন্দির (Ram Mandir)অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের আদলে তৈরি বিশাল মণ্ডপ যা সে বছর ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়েছিল।
২০২৪লাস ভেগাসের স্ফিয়ার (Las Vegas Sphere)লাস ভেগাসের বিখ্যাত স্ফিয়ারের মতো দেখতে একটি বিশাল গোলাকার মণ্ডপ তৈরি করে দর্শনার্থীদের তাক লাগিয়ে দেয়।
অন্যান্যলালকেল্লা (Red Fort)মণ্ডপটিকে দিল্লির লালকেল্লার আদলে তৈরি করা হয়েছিল।

৪. বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি

এই পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন প্রায়শই রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।2 উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মণ্ডপের উদ্বোধন করেছেন, যা এই পুজোর রাজনৈতিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

  • নিকটতম মেট্রো: সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন (সবচেয়ে কাছে) এবং মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশন (MG Road)

  • শিয়ালদহ থেকে: শিয়ালদহ স্টেশন থেকে হাঁটা পথে মাত্র ১০-১৫ মিনিটের দূরত্ব।

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:


১. শহীদ সন্তোষ মিত্রের ঐতিহাসিক পটভূমি

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামী সন্তোষ কুমার মিত্রের (Santosh Kumar Mitra) নামে, যিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী এবং শহীদ।

  • জন্ম ও শিক্ষা: তিনি ১৯০০ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।1 তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. এবং এলএল.বি. ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং যুগান্তর দলের মতো বিপ্লবী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হন।

  • বিপ্লবী কর্মকাণ্ড: তিনি স্বরাজ সেবক সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন এবং জওহরলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে কলকাতায় একটি সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।2 অসহযোগ আন্দোলন বন্ধ হওয়ার পর তিনি চরমপন্থী কার্যকলাপে মনোনিবেশ করেন এবং ১৯২৩ সালে শঙ্করিতোলা হত্যা মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন।3

  • হিজলি গুলি চালানোর ঘটনা (Hijli Firing): ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের (Chittagong Armoury Raid) অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পে (বর্তমানে IIT খড়গপুর প্রাঙ্গণ) পাঠানো হয়।4 সেখানে ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পুলিশ নিরস্ত্র বন্দীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালে সন্তোষ কুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত শহীদ হন।5

  • প্রতিবাদ: এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস সহ বহু জাতীয় নেতা সোচ্চার হন। সুভাষ চন্দ্র বসু শহীদদের মরদেহ কলকাতায় নিয়ে আসেন এবং রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর তাঁর 'প্রশ্ন' (Proshno) কবিতার মাধ্যমে সরকারের নিন্দা করেন।


২. পার্কের সুযোগ-সুবিধা ও স্থানীয় গুরুত্ব 🌳

দুর্গাপূজা ছাড়াও, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার স্থানীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনমূলক স্থান হিসাবে পরিচিত, যা লেবুতোলা পার্ক (Lebutala Park) নামেও পরিচিত।6

  • অবকাঠামো: এই পার্কে একটি সুইমিং পুল (Swimming Pool) এবং একটি যোগালয় (Yogalaya) রয়েছে।7 এটি শিশুদের খেলার জায়গা (Children's Park) সহ সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা এবং এখানে হাঁটার জন্য সুন্দর পথ রয়েছে।8

  • অন্যান্য অনুষ্ঠান: পার্কটি সারাবছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশের পাশাপাশি ফ্লাওয়ার শো (Flower Show) এবং ফুড ফেস্টিভ্যাল (Food Festival) সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।9

  • প্রবেশাধিকার: স্কোয়ারটি প্রতিদিন (রবিবার ব্যতীত) সকাল ১১:৩০ টা থেকে রাত ১১:৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং প্রবেশের জন্য কোনো ফি লাগে না। এটি মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিট এবং বৌবাজার এলাকার কাছাকাছি একটি কেন্দ্রবিন্দু।


৩. দুর্গাপূজা পরিচালনা ও সাম্প্রতিক বিতর্ক 🚧

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপূজা কমিটির আনুষ্ঠানিক নাম হলো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি (Santosh Mitra Square Sarbojanin Durgotsab Samity)10

  • আয়োজক ও রাজনীতি: এই পূজার প্রধান সংগঠক হলেন বিজেপি নেতা ও কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলর সজল ঘোষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দ্বারা উদ্বোধিত হওয়ার কারণে এবং দেশাত্মবোধক থিম (যেমন 'অপারেশন সিঁদুর') নেওয়ার কারণে আলোচনায় এসেছে।

  • সাম্প্রতিক বিতর্ক (২০২৫): 'অপারেশন সিঁদুর' থিমের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই পূজার ভিড় বেড়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ, প্যান্ডেলের ডিজাইন এবং থিমের জন্য ব্যবহৃত অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী নিয়ে পুজা কমিটি ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দেখা গিয়েছিল, যেখানে পুলিশ জননিরাপত্তা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছিল। এই ধরনের উচ্চ-প্রোফাইল থিমগুলি প্রায়শই বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করে, যা ভিড় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।


Mrintyunjayee Santosh Kumar Mitra - An activist of Indian Independance Movement & an Martyr এই ডকুমেন্টারিটি স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ সন্তোষ কুমার মিত্রের জীবন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও আলোকপাত করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url