Sheser Kobita ঠাকুরের লেখা শেষের কবিতা সম্পূর্ণ পড়ুন
Sheser Kobita ঠাকুরের লেখা শেষের কবিতা সম্পূর্ণ পড়ুন
কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও নিত্যই উধাও জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন ওগো বন্ধু সেই ধাবমান কাল জড়ায়ে ধরিল মোরে ফেলি তার জাল তুলে নিল দ্রুতরথে দু'সাহসী ভ্রমনের তোমা হতে বহু দূরে মনে হয় অজস্র মৃত্যুরে.
আসিলাম আজি নব প্রভাতের শিখরচুড়ায় রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায় উড়ায় আমার পুরানো নাম ফিরিবার পথ নাহি দূর হতে যদি দেখ চাহি পারিবে না চিনিতে আমায় সেই বন্ধু বিদায় কোনোদিন কর্মহীন পূর্ণ অবকাশে বসন্তবাতাসে অতীতের তীর হতে যে রাত্রে বহিবে দীর্ঘশ্বাস ঝরা বকুলের কান্না ব্যাথিবে আকাশ খুঁজে দেখো কিছু মোর পিছে রহিল সে.
ক্রান্তি বিস্মৃতি প্রাদোষে হয়তো দিবে সে জ্যোতি হয়তো ধরিবে কভু নামহারা স্বপ্নে রুটি ভূষিত স্বপ্ন নয় সবচেয়ে সত্য মোর সেই মৃত্যুঞ্জয় সে আমার প্রেম তারে আমি রাখিয়া এলেম অপরিবর্তন অর্ঘ্য তোমার উদ্দেশ্যে পরিবর্তনের স্রোতে আমি যাই ভেসে কালের যাত্রায় হে বন্ধু বিদায় তোমার হয়নি কোন ক্ষতি মর্তের মৃত্তিকা মোর তাই দিয়ে অমৃতমুরতি যদি সৃষ্টি করে থাক তাহারি আরতি.
পূজার সে খেলা দেখা পাবে না মোর প্রত্যহের ম্লানস্পর্শ তৃষার্ত আবেগবেগে দুষ্টু নাহি হবে তার কোনো ফুল নৈবেদ্যের থালে তোমার মানুষ ভজে সযত্নে সাজালে যে ভাবরসের পাত্র বাণীর তৃষায় তার সাথে দিব না মিশায়ে যা মোর ধূলির ধন যা মোর চক্ষের জলে ভিজে আজো তুমি নিজে হয়তো বা করিবে রচন মোর স্মৃতিটুকু দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন ভার তার না রহিবে না রহিবে দায় হে বন্ধু.
বিদ্রোহী মোর লাগি করিয়ো না শোক আমার রয়েছে কর্ম আমার রয়েছে বিশ্বলোক মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই শূন্যের পূর্ণ এই ব্রত বহিব সদাই উৎকণ্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে সেই ধন্য করিবে আমাকে শুক্লপক্ষ হতে আনি রজনীগন্ধার বৃন্তখানি কৃষ্ণপক্ষ রাতে যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি.
তোমারে যা দিয়েছিনু তার 2019 অধিকার প্রদান করুন মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম ওগো তুমি নিরুপমাকে ঐশ্বর্যবান তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায় হে বন্ধু বিদায়.

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url