বড়দিনে কেন সরকারি ছুটি থাকে এবং কেন কেক খাওয়া হয় ২৫শে ডিসেম্বর

 বড়দিনে কেন সরকারি ছুটি থাকে এবং কেন কেক খাওয়া হয় ২৫শে ডিসেম্বর



বড়দিনে কেন সরকারি ছুটি থাকে:


আমরা সারা পৃথিবীর লোক এটাই জানি ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিনে এই দিনে প্রভু যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই আমরা এই দিনটিকে সারা পৃথিবীর লোক মেনে থাকে এবং এই দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়ে থাকে।


 প্রভু যীশু কে ছিলেন কেন তার জন্মদিনের সারা পৃথিবীর লোক ছুটি পালন করে:


প্রভু যীশুর সম্পর্কে বাইবেলে বলা আছে তিনি একজন মহান শক্তিশালী ঈশ্বর যিনি পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন একজন কুমারী মেয়ের দ্বারা। এই প্রভু যীশু তিনি খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে বিভিন্ন অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছিলেন তার মধ্যে অসীম শক্তি ছিল তিনি অন্ধ লোককে যোগদান করেছিলেন মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করেছিলেন এবং আরো বিভিন্ন অসম্ভব কাজ তিনি পৃথিবীতে করেছিলেন এই কথাগুলোই বাইবেলে লেখা আছে এবং সারা পৃথিবীর লোক এটাকে সত্যি বলে মনে করে এই প্রভু যীশুর জীবন কাহিনীর জন্য সারা পৃথিবীর লোক ২৫শে ডিসেম্বর তার জন্মদিন পালন করেন এবং তার জন্মদিনে সারা পৃথিবীর লোক কে খায় এবং বড়দিন হিসাবে পালন করে। এবং সরকারিভাবেও প্রত্যেকটা স্কুল কলেজ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই পঁচিশে ডিসেম্বর প্রভু যীশুর জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

স্যান্টাক্লজ কে ছিলেন এবং তিনি কেন সবাইকে গিফট দিতেন:

আজকে আমরা বলব সান্টাক্লজ সম্পর্কে সমস্ত কথা এশিয়া মহাদেশের তুর্কি নামক অঞ্চলে সেন্ট নিকলাস নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন তার পিতা ছিল খুব ধনী ব্যক্তি এজন্য তার পিতার মৃত্যুর পর নিকোলাস সমস্ত সম্পত্তির অধিকার পায়। একসঙ্গে অনেক সম্পত্তি সে পেয়েছিল সেজন্য তার মনে একটা ভাব না আসল যে সে কি করে এই সম্পত্তি গুলোর মাধ্যমে মানুষের উপকার করবে। একদিন ওই অঞ্চলে এক গরিব পরিবার ছিল তার তিনটি সন্তান ছিল টাকার অভাবে তার তিনটি কন্যা সন্তানের বিবাহ দিতে পারছিলেন না এই কথাটা নিকোলাস এর কাছে যায় তখন সে এই গরিব পরিবারকে উপকার করার কথা ভাবে। একদিন রাতে সে ওই গরিব পরিবারের বাড়িতে আসে এবং কিছুদিনের মধ্যেই সেই গরিব পরিবারের একটি কন্যা সন্তানের বিবাহ ছিল সেই জন্য নিখলাস ওই রাতে তাদের বাড়িতে এসে অনেক সোনা দানা এবং টাকা পয়সা রেখে চলে যায় এরপর খুব ভালোভাবে ওই গরিব  ঘরের কন্যা সন্তানের বিয়ে হয়ে যায় ।

 এরপর আর কিছুদিন পর অন্য একটি কন্যা সন্তানের বিয়ে ছিল তখন তার বাবা চুপিচুপি রাত্রিবেলা ঘরের বাইরে বসে দেখে যে কে এত জিনিসপত্র দিয়ে গেছে। তখন সে একদিন রাতে নিকোলাস কে দেখে অনেক সোনাদানা ও টাকা পয়সা রাখতে। তখন নিকোলাস বলে আমারই সাহায্যের কথা তুমি এই অঞ্চলের কাউকে জানাবে না। এরপর নিকলা প্রায় দিন অঞ্চলের আরো অনেক লোকের উপকার করে এবং তার কথা কেউ জানতো না এবং সে ছোট বাচ্চাদেরকে রাত্তিরে এসে অনেক গিফট দিত এরপর ছোট বাচ্চারা এবং অঞ্চলের লোকজন তাকে সান্টাক্লজ বলে নাম দিয়েছিল।

পঁচিশে ডিসেম্বর কেন কেক খাওয়া হয়:


পঁচিশে ডিসেম্বর হল প্রভু যীশুর জন্মদিন এই দিনে প্রভু যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অনেকদিন ধরে মানুষের মনে প্রচলিত আছে কোন মানুষ তার জন্মদিনে মোমবাতি জ্বালায় এবং বড় কেক কাটে কারণ জন্মদিন হলো একটি শুভ দিন যে দিনে কেউ জন্ম গ্রহণ করে তাই এই খুশির দিনকে আমরা কেক কাটি এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে উদযাপন করি সেই ভাবনা থেকে প্রভু যীশু ২৫শে ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই এই দিনে সারা পৃথিবীর লোক কেক কাটে মোমবাতি জ্বালায় বড়দিন উদযাপন করে.

খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে কোথাও লেখা নেই প্রভু যীশ ও ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন বহু যিশু ঠিক কোন সময় এবং কোন তারিখে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেটা বাইবেলের কোথাও লেখা নেই বাইবেলের বিভিন্ন কাহিনী দেখে প্রভুজিশন জন্মের তারিখ আনুমানিক গণনা করে ২৫শে ডিসেম্বর কে ধরা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url