23 January: Netaji’s Birthday | Netaji Jayanti | নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবস উদযাপন
23 January Netaji Birthday | 23 January Netaji Jayanti নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে কিছু কথা
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজও ভারতের মানুষের মনের ভিতর স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে তিনি ভারতকে স্বাধীন করার জন্য নিজের জীবন দিয়ে বিদ্রোহ চালিয়েছিলেন। তিনি ২৩ শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন তাই এই দিনটিকে আমরা নেতাজি জয়ন্তী হিসেবেও পালন করে থাকি। এই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বলেছিলেন তুমি আমাদের রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।
২৩শে জানুয়ারি দিনটিতে সারা ভারতবর্ষে মানুষ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে স্মরণ করে থাকে তিনি আমাদের দেশের জন্য যা যা কাজ করে গেছেন তার কথা আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না হয়তো তুমি আজও বেঁচে আছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মৃত্যু এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে একটি রহস্য ঘটনা হয়ে রয়েছে আমরা এখনো জানতে পারিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কিভাবে মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু তিনি আজও ভারতবাসীর কাছে অমর হয়ে আছে। এই ২৩ শে জানুয়ারিতে সারা ভারতবর্ষের মানুষ সরকারি ছুটি পালন করে থাকে সরকারিভাবেই দিনটিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন পালন করা হয়।
23rd January speech in Bengali || ২৩ শে জানুয়ারির বক্তব্য:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের চিরস্মরণীয় কিংবদন্তী নেতা কে নিয়ে আলোচনা করবো যার মৃত্যু আজও আমাদের কাছে রহস্য 1947 সালে স্বাধীনতা পাওয়া আমাদের পক্ষে হয়তো অসম্ভব ছিল। কিন্তু তিনি সম্ভব করেছিলেন জিনি আমাদের সবার জন্য এক শক্তি ও প্রেরণা যার কথা শুনে আজও আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম জেগে ওঠে তিনি হলেন ভারত মাতার বীর পুত্র সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত থেকে ভারতবর্ষকে বাঁচানোর জন্য যেসব মহানবীর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।
তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব:
অহিংসা উদারতা কিংবা ধৈর্য নয় বরং মাধ্যমিক ব্রিটিশদের এই দেশ থেকে তাড়াতে হবে এই মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন নেতাজি। তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব তেমন আত্ম উদ্ভাসিত উক্তি বিপ্লবী কার্যকলাপ ও অক্লান্ত সংগ্রামের প্রচেষ্ঠা ভারতের স্বাধীনতা কে এক ধাক্কায় কয়েক দশকে গিয়েছিলেন। তিনি জানুয়ারি মাসের বর্তমান উড়িষ্যার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু পিতার নাম জানকীনাথ বসু এবং মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। নেতাজির আত্মজীবনীর সূচনা হয় ছাত্র হিসেবে সুভাষচন্দ্র ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী 1911 সালে তিনি কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন পরীক্ষায় কলকাতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন সেখানে অধ্যাপকের ভারতবিদ্বেষী মন্তব্যব্রো প্রতিবাদ জানানোর জন্য সুভাষচন্দ্র কে কলেজ থেকে বহিস্কৃত করা হয়। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে। সামনে ছিল জীবনের হাতছানি কিন্তু তিনি বড় বড় সরকারি চাকরির প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করেন এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন এরপর থেকেই শুরু হয় নেতাজি রাজনৈতিক জীবন ও দেশ সেবার মহান ব্রত।
তিনি কলকাতার মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়:
স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তিনি কলকাতার মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয় কিন্তু তাকে পদত্যাগ করার জন্য বাধ্য করা হয় এর প্রধান কারণ ছিল গান্ধীজীর সাথে মতভেদ অর্থাৎ বিপরীত মনোভাবের ছিলেন তিনি তার মতে একটা থাপ্পর খেলে দুটো নিয়ে আসো অর্থাৎ সশস্ত্র আন্দোলনে বুঝেছিল নেতাজি তাদের জন্য বিপদজনক তানি বাধ্য হয়ে কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।ভারতকে স্বাধীন করার জন্য ব্রিটিশদের শত্রু জাপান ও জার্মানির সঙ্গে যোগ দেন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সুভাষচন্দ্র গৃহবন্দি ছিলেন ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সুভাষচন্দ্র বসু খুশি ছিলেন না তাই 1941 সালে ইংরেজ সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে নেতাজি ভারতকে স্বাধীন করার জন্য ব্রিটিশদের শত্রু জাপান ও জার্মানির সঙ্গে যোগ দেন বিপ্লবী রাসবিহারী বসু সমর্থনে প্রবাসী ভারতীয় জাপান ভারতীয়দের নিয়ে নেতাজি গড়ে তোলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় আজাদ হিন্দ বাহিনী কিন্তু বিভিন্ন প্রতিকূলতার আহত জাপানের আত্মসমর্পণের ফলে আজাধীন বাহিনী ব্রিটিশ শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল:
জাপানের বিমানবন্দর থেকে প্লেনে করে যাওয়ার সময় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান নেতাজি। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কিনা আজও তো আমাদের কাছে অজানা কিন্তু একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে তার মৃত্যুঞ্জয় উপস্থিতি যুগযুগান্তরে ভারতবর্ষের মনের চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের সাহসিক আঘাতে কম্পমান ব্রিটিশ শক্তি বুঝেছিল ভারত থেকে বিদায়ের কাল সমাগত ইংরেজদের বিরুদ্ধে নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের সাহসী নির্ভীক পরাক্রমের জন্যই এ বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125 তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামী 23 শে জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন টিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেমোরিয়াল স্মৃতিসৌধের পরাক্রম দিবসের উদ্বোধন করবেন এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তিনি গোটা দেশের নেতাজি নিঃস্বার্থ সেবা চেতনার শ্রদ্ধার কথা তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানাবেন নেতাজিকে দেশের স্বাধীনতার জন্য তাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই এই দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
FAQ.
Q.কোন দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে?
Ans. 23 January
Q. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন কবে পালন করা হয়?
Ans. 23 January
Q. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মা এবং বাবার নাম কি?
Ans. পিতার নাম জানকীনাথ বসু এবং মাতার নাম প্রভাবতী দেবী।
Q. তিনি কত সালে আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনী গঠন করেছিলেন?
Ans. 1941 সালে
Q. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
Ans. 23 January 1897

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url