Ghost story new: 'বাঁশবাগানে ওরা তিন জন' নতুন রহস্যময় ভূতের গল্প

 'বাঁশবাগানে ওরা তিন জন' নতুন রহস্যময় ভূতের গল্প

বাঁশবাগানে ওরা তিন জন - পর্ব ১


ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে দেখল রৌদ্র, ওকে আটকানোর কথা মনেই এল না। কিন্তু এবার কোথায় খুঁজবে মেয়েটাকে? চার দিকে পিচ কালো অন্ধকার, কয়েকটা রাতচরা পাখি টুই-টুই করে উড়ে গেল। আরে, একটা চার ব্যাটারির টর্চ আছে না ব্যাগে?

টিফিন ব্রেকে রৌদ্রর ক্লাসে এসে গম্ভীর মুখে বৃষ্টি বলল, “স্কুল ছুটির পর অপেক্ষা করিস না আজ, আমি একা ফিরব।”

 

“কেন, ছুটির পর রাজকন্যের আজ কী মহাকাজ?” রৌদ্রও গম্ভীর।

   

“অর্ককে হাতেনাতে ধরতে হবে। ও রোজ শেষ বিকেলে বাঁশবাগানে ঢুকছে কেন?”

“ঢুকুক না। তোর কী? ছুটির পর সোজা বাড়ি যাবি বলে দিলাম। এটা আমার অর্ডার।”

  

“কী বললি? আবার বল?” বৃষ্টি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।


রৌদ্র ঢোক গিলল, “না, বারবার বলতে পারব না।”

 

কিন্তু মুখে যাই বলুক, রৌদ্র বুঝে গেছে তাকে আজ ওই বাঁশবাগান দিয়েই ফিরতে হবে। নইলে ওই খেপি একাই… না, না। অসম্ভব। জায়গাটা বড় শুনশান। 

কিন্তু ছুটির পর তড়িঘড়ি ওখানে পৌঁছেও বৃষ্টির দেখা নেই। ওর তো কখন এসে যাওয়ার কথা।

 

এদিকে বিকেল একটু-একটু করে ফুরিয়ে আসছে। আর এখানে তো আগেভাগেই সন্ধের ঝুঁঝকো আঁধার ঢুকে পড়ে। একটা বাদুড় গা ঘেঁষে উড়ে গেল।  উফ বাবা গো! বুকটা হিম-হিম লাগছে।


সে হনহন করে হাঁটা লাগায়। কিন্তু সামনে তাকিয়ে মনে হল দু’পাশের বাঁশগাছ যেন এগিয়ে এসে পথ বন্ধ করে রেখেছে। সেরেছে!

আরে, ওই তো বৃষ্টি। কিন্তু ওকে দেখেও দেখছে না কেন? রৌদ্র সামনে এসে হাত ধরে একটা রামঝাঁকুনি দেয়, “ডাকছি শুনছিস না যে!”


“চুপ,” বৃষ্টির ঠোঁটে আঙুল। চোখ দূরের দিকে, “ওই দেখ, অর্ক, আমাদের থার্ড বয়। পাশের জনকে, চিনতে পারছি না। কে বল তো? কী সব কাগজ দেওয়া-নেওয়া করছে।”

 

“করুক। চল, এবার আমরা বাড়ি ফিরি। রাতে বনবাদাড়ে থাকতে নেই, ঠাম্মা সব সময় বলেন।”


বৃষ্টির কটমট চাহনি। রৌদ্র চোখ সরিয়ে নিল। তার পর রীতিমতো অনুনয় করে বলল, “ওরে প্লিজ় চল। ঠিক আছে, দশটা ফুচকা খাওয়াব আজ তোকে।”

“দশটা, সত্যি!” বৃষ্টি ভ্রু বাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “পয়সা আছে?”


“পয়সা নেই, টাকা আছে। ফুলমামা বেড়াতে যাওয়ার সময় দিয়ে গেছে।”

   

ভুলিয়ে-ভালিয়ে কোনও ক্রমে বাঁশবাগান থেকে বেরিয়ে পড়তে পারলে তখন বাঁচে সে। অবশেষে সফল।

  

কিন্তু সেদিনের মতো রেহাই মিললেও সেই বাঁশবাগান অভিযান পরপর চলতেই লাগল এর পর। তবে আশ্চর্য! অর্ককে হাতেনাতে ধরা যাচ্ছে না। ওদের দেখলেই কী ভাবে যেন লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু কেন?

তবে এক দিন ক্যাচ কট-কট। আকাশে তখন সূর্য ডোবা আলো। কিন্তু ওদের দেখেই অর্কর মুখে ফ্যাকাসে ছাই রং। তুতলে বলে, “কী রে? তোরা?”


“যদি আমিও তোকে একই প্রশ্ন করি,” নাকের পাটা ফুলিয়ে বৃষ্টি বলে। ওর নীল নীল চোখ চক্রাকারে ঘুরছে। এক বার অর্ক, এক বার পাশের রোগা লিকপিকে ছেলেটাকে জরিপ করছে। ভাবসাব যেন আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পল।

  

“তোর হাতে ওটা কী রে?” বৃষ্টি এক টানে অর্কর হাত থেকে একটা কাগজ কেড়ে নেয়, “ওমা, কী সুন্দর ছবি। কে এঁকেছে?”

রোগা ছেলেটা এবার ছোপ-ছোপ দাঁত বের করে হাসছে, “আমি এঁকেছি। অর্কদাদার স্কুলের সব ছবি তো আমিই এঁকে দিই।”


বৃষ্টির চোখে বিস্ময়, “মানে ওর প্রজেক্টের এত-এত ছবি, সব তোমার করা? কী নাম তোমার?”


“লঙ্কা। হ্যাঁ, সব আমার হাতের। অর্কদাদা শুধু রং এনে দেয়,” বলেই ও ককিয়ে উঠল, ‘‘উফ!’’


অর্ক বোধ হয় পা মাড়িয়ে ওকে থামতে বলছে।

  

রৌদ্র হাসল, “কী ভাই, পিঁপড়ে কামড়াচ্ছে বুঝি?”

লঙ্কা চুপ। এর কিছু দিন পরের ঘটনা। ভালগ্রামে শুরু হল বিরাট অঙ্কন প্রতিযোগিতা, উদ্যোক্তা, বৃষ্টিদের পরিবার। গ্রামের যে কেউ অংশ নিতে পারবে, গরিব, বড়লোক, মাঝারি লোক, শুধু বয়স, আট থেকে চোদ্দো।

 

লঙ্কা হাজির প্রতিযোগিতায়। এমনকি অর্কও। এদিকে সে ছেলে একটা লাইনও সোজা আঁকতে পারে না। আঁকাজোকায় গোল্লা। কিন্তু প্রাইজ় জেতার নেশা আছে ষোলো আনা। তবে লেখাপড়ায় অর্ক দুর্দান্ত। প্রতি বার থার্ড বয়ের প্রাইজ়টা নিতে-নিতে আফসোস করে, কেন ফার্স্ট প্রাইজ়টা বৃষ্টির হাতে চলে যাচ্ছে? সব সময় একটা অস্থিরতায় ভোগে অতটুকু ছেলে।

  

প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশের দিন টানটান উত্তেজনা ভালগ্রামে। পাশাপাশি গ্রাম থেকেও লোকের ভিড়। ফল ঘোষণা করলেন বৃষ্টির ঠাকুরদা। লঙ্কা ফার্স্ট। উনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন রোগা ডিগডিগে ছেলেটাকে। রাশি-রাশি প্রাইজ় তুলে দিচ্ছেন ওর হাতে। রঙের বাক্স, ক্যানভাস, তুলি, কাগজ, বিদেশি সব ছবির বই। বুকের কাছে সব পুরস্কার জড়ো করে লঙ্কা হাসছে। হলদে ছোপ ধরা দাঁত। হাসতে-হাসতে এক বার বিড়বিড় করল, ‘‘এত রং! আমি কি এত আঁকা এঁকে শেষ করতে পারব? অর্কদাদা, তোমাকে আর রং কিনে দিতে হবে না গো।’’

কে অর্ক? সকলে ঘাড় ফেরাল। দেখে, একদম শেষ চেয়ারটায় বসে সে ছেলে তখন ফুঁসছে, চোখে মুখে রাগ থমথমে।


এর কিছু দিন পর এক মর্মান্তিক দুঃসংবাদ। করোনায় লঙ্কার পরিবার আক্রান্ত। এবং তিন দিনের প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে লঙ্কা হেরে গেল করোনার কাছে।ভালগ্রামের সবাই শোকে মুহ্যমান। হায়, এমন এক উজ্জ্বল প্রতিভা অঙ্কুরেই শেষ।


বৃষ্টির মনও ভেঙে চুরচুর। সারাক্ষণ শুধু লঙ্কার কথা বলে আর কাঁদে। এত কম দিনের চেনা, অথচ মনে হয় যেন আগের জন্মের কেউ। রৌদ্র কত সান্ত্বনা দেয়, ও তবু ভুলতে পারে না।

  

হঠাৎ আর-এক দিন মেয়ের বাই উঠল। বলে, “চল রৌদ্র, আজ আবার বাঁশবাগানের ভেতর দিয়ে বাড়ি ফিরব।”

“আবার কেন রে?”

 

বৃষ্টি চুপ, আজকাল ও বড্ড বেশি থমথমে থাকে। ঘাঁটায় না রৌদ্র, বলে, “চল, তা হলে।”


আজ সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি। চৈত্র মাস, অথচ অসময়ের শ্রাবণ নেমেছে যেন। তবে দুপুর থেকে একটু কম-কম। বন্ধুর জেদের কাছে রৌদ্র চির কাল হেরে ভূত, তাই এমন দিনে এরকম জায়গায় আসতে হচ্ছে।

  

বৃষ্টি চলতে-চলতে বলে, “জানিস, লঙ্কার চলে যাওয়ার পর অর্কটা কেমন  হয়ে গেছে। সারাক্ষণ বিড়বিড় করছে অথচ পাশে কেউ নেই।”

“স্বাভাবিক। খেপির পাশে বসে- বসে খ্যাপা হয়ে গেছে,” রৌদ্র হাসানোর চেষ্টা করল।

 

বৃষ্টি হাসল না, রাগলও না। মাথা ঝুঁকিয়ে অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটছে।

  

শনশনে বাতাস, ঠান্ডা-ঠান্ডা ভাব। আজ বিকেল আর হলই না, দুপুরের পর সোজা সন্ধে। ঝিঁঝি পোকা কোরাসে গান ধরেছে।

     

হঠাৎ রৌদ্র থমকে দাঁড়ায়, “দূরে ওরা কারা রে? এ কী!” খিমচে ধরে ও বৃষ্টির হাত, “লঙ্কার মতো আমি কাউকে দেখতে পাচ্ছি, পাশে অর্ক।”

    

বৃষ্টির মুখে ম্লান হাসি, “ঠিকই দেখছিস, ও লঙ্কা।”

“মানে? লঙ্কা তো …”


“নেই। তবু এসেছে। আমি জানতাম আসবে, এখানে ওরা দু’জন দেখা করবে।”


রৌদ্র থ, “অ্যাই, তুই কি আজকাল প্ল্যানচেট করছিস নাকি?”

 

“না। ওই যে বললাম, অর্ক আপন মনে বিড়বিড় করে, তখনই কানে গেছে।”

 

রৌদ্রর বুক কাঁপছে। মন বলছে, আজ কিছু ঘটবে। বৃষ্টি পা টিপে-টিপে এগিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে, বাধ্য হয়ে সে-ও এগোয়। কিন্তু আবার সেই চোর-পুলিশ খেলা, কাছে যেতেই ওরা ভ্যানিশ। তবে ফিসফিস কণ্ঠের আলাপ-সালাপ কানে আসছে।

বাঁশবাগানে ওরা তিন জন - পর্ব ২

লঙ্কার গলা, “ঠিক আছে অর্কদাদা, আমার সব প্রাইজ় আজ থেকে তোমার, খুশি?”

 

“ঠিক? ফেরত চাইবি না তো পরে?”

 

লঙ্কা হাসছে, “আরে বাবা, আমি যেখানে চলে গেছি, সেখানে আর রং-তুলির কাজ নেই। সব প্রাইজ় তোমার।”


“তা হলে দে। দেখ আমি কত বড় ব্যাগ এনেছি, সব এঁটে যাবে।”

“কিন্তু এখানে কী ভাবে দেব? তোমাকে যেতে হবে আমার সঙ্গে, আমার ঘরে। ওখানেই সব রাখা। চলো, আমার সঙ্গে।”

 

হঠাৎ রৌদ্রর হাত ছেড়ে ছুট দিল বৃষ্টি, “না, না, কিছুতেই না। অর্ক, তুই কোথাও যাবি না।”

 

ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে দেখল রৌদ্র, ওকে আটকানোর কথা মনেই এল না। কিন্তু এবার কোথায় খুঁজবে মেয়েটাকে? চার দিকে পিচ কালো অন্ধকার, কয়েকটা রাতচরা পাখি টুই-টুই করে উড়ে গেল। আরে, একটা চার ব্যাটারির টর্চ আছে না ব্যাগে? ইদানীং বাঁশবাগান অভিযানের জন্যই সঙ্গে রাখতে হয়।

  

আলো জ্বালতে যাবে, হঠাৎ পিঠে হালকা একটা স্পর্শ। কানের কাছেও ফিসফিস, “তোমাদের সবাইকে কত দিন পর দেখছি। চলো, সবাই মিলে যাই আমার ঘরে। ওখানে আমি বড্ড একা।”


রৌদ্র তাড়াতাড়ি টর্চের ফোকাস ফেলল। এ কী, এ তো একটা বাঁশগাছের ডাল, নুয়ে পড়েছে তার কাঁধে। ধুৎ! কিন্তু গলার স্বরটা যে বড্ড চেনা। হ্যাঁ, ওটা লঙ্কার! এবার বুকের লাব-ডুব শব্দ যেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। রৌদ্র তবু বৃষ্টির নাম ধরে ডাকতে-ডাকতে বাগানের আরও গভীরে এগিয়ে যায়। হঠাৎ কারও পায়ে পা লেগে সে হুমড়ি খেয়ে পড়ল সামনে। এ কী, বৃষ্টি যে! কী বিধ্বস্ত চেহারা! আপ্রাণ চেষ্টা করছে অর্ককে টেনে আনার। কিন্তু সে ছেলে এমনই তেরিয়া, নড়বে না। চোখ-মুখ কঠিন। পা দুটো যেন মাটিতে পুঁতে রাখা।

রৌদ্র এগিয়ে আসে, “বৃষ্টি, তুই সর। এ ভাবে হবে না,” বলেই খুব আলতো করে সে অর্কর পিঠে একটা হাত রাখল। তার পর মুখটা আকাশের দিকে তুলে বলতে শুরু করে, “লঙ্কা, তুই না শিল্পী! তোর রং-তুলিতে তো চার দিক আলো হয়ে উঠত। তোকে আমরা কত ভালবাসতাম। তুইও বাসতিস। সেই তুই আজ অর্ককে তোর অন্ধকার ঘরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিস! ওকে ছেড়ে দে, ছেড়ে দে বলছি , প্লিজ়।”

  

বৃষ্টি ধাক্কা দিচ্ছে, “অ্যাই, অ্যাই, তুই কার সঙ্গে কথা বলছিস?”


রৌদ্র থামে না, যেন ঘোর লেগেছে ওর। বলেই চলেছে, ‘‘লঙ্কা, দেখবি এবার তোর জন্ম হবে একটা আলোমাখা ঘরে। তুই রং-তুলি দিয়ে আবার আঁকা শুরু করবি। যে ছবি এ জীবনে অসমাপ্ত রয়ে গেছে, এবার শেষ করবি। তুই ফিরে আসবি আবার আমাদের কাছে। হয় বন্ধু হয়ে কিংবা ছোট ভাই হয়ে। আজ আমাদের সবাইকে ঘরে যেতে দে। লঙ্কা, শুনছিস?”

হঠাৎ একটা বাদুড় খুব কাছ দিয়ে ডানা ঝাপটাতে-ঝাপটাতে চলে গেল। রৌদ্র টর্চ ফেলে অর্কর মুখে, এ কী! বুকের কাছে নেমে এসেছে ওর মাথাটা, কেমন লটপট করছে। চোখ রক্তজবার মতো লাল, যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসবে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে সমানে।


টর্চটা বৃষ্টির হাতে ধরিয়ে সে ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করল। তার পর জলের ঝাপটা দিয়ে চলল ক্রমাগত। এক সময় অর্ক চোখ তুলে তাকায়, কী ক্লান্ত মুখ!


অনেকক্ষণ লেগে গেল ওকে সুস্থ করে তুলতে। এক সময় খেয়াল হল, রাত নেমেছে, এবার ঘরের দিকে যেতে হবে। রৌদ্র আর বৃষ্টির কাঁধে হাত রেখে অর্ক চলতে শুরু করে ধীরে-ধীরে। রৌদ্র নরম করে ডাকে, “হ্যাঁ রে অর্ক, প্রতি বছর তোর প্রাইজ়েই তো তোর ঘর ভর্তি হয়ে যায়। তাও লঙ্কার প্রাইজ়ে তোর এত নজর ছিল!”

অর্ক চুপ। ঘন-ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ কানে এল। “শোন,” আবার বলতে শুরু করেছে রৌদ্র, “আমার বাবা বলেন, যেটা নিজের ক্ষমতায় অর্জিত, তাতেই গৌরব। কারও প্রাইজ় জোর করে কেড়ে নিলে হয়তো জিনিসগুলো ঘরে ঢুকত, কিন্তু গৌরবটা নয়।”


অর্ক চলতে-চলতে থমকাল একটু, “হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ।”


বৃষ্টি হাঁ করে সব শুনছে। লুকিয়ে কুট করে একটা চিমটিও কাটল রৌদ্রর হাতে, “তুই সেই রৌদ্রই তো?”


“অ্যাই চুপ! ছ্যাবলামো করবি না খবরদার। আমি তোর থেকে পাক্কা দু’ বছরের সিনিয়র।”

  

ওরা আবার হাঁটা ধরে। আকাশে একটা ঝকঝকে রুপোলি চাঁদ কখন যেন ঠেলেঠুলে উঠে পড়েছে। বৃষ্টি অবাক! বলে,  “সকালের সেই ঝড় বাদলের মেঘগুলো কেমন ডাকাতের মতো পুরো আকাশটাকে দখল করে নিয়েছিল, এখন দ্যাখ, সব উধাও।”

    

সত্যিই এখন দুধ-সাদা আলোর ফোয়ারায় ভেসে যাচ্ছে বাঁশবাগান। তার মধ্যে দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে ওরা তিন জন, কাঁধে কাঁধ রেখে। একটা পাখি ডেকে উঠল বাঁশির মতো মিষ্টি সুরে। ওরা সেই ডাকে অল্প একটু থামে, তার পর আবার চলতে শুরু করে। বাঁশ বাগানের মাথায় এখন একথালা জ্যোৎস্না।

(সমাপ্ত)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url