Ghost story: 'মাটি চাপা কান্না' নতুন ভুতের ভয়ংকর রহস্যময় গল্প

'মাটি চাপা কান্না' নতুন ভুতের ভয়ংকর রহস্যময় গল্প


 মাটি চাপা কান্না - পর্ব ১

সকাল সাড়ে সাতটা। প্রতিদিনের অভ্যাস মতো সুতপা খবরের কাগজ পড়ছে। ফোনটা বেজে উঠতেই একটু বিরক্ত হয়ে টেবিলের ওপর পড়ে থাকা ফোনটার দিকে একবার তাকিয়ে বেশ বিরক্তি নিয়েই সোফা থেকে উঠে ফোনটা হাতে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ভাবে বলে উঠল, “আরে সায়ন্তনী, কী খবর? অনেক দিন বাদে...”

“হেনরি উইলিয়ামের ব্যাপারে কিছু ক্লু পেয়েছি। আজ দুপুরে কী করছিস?”

“কী পেলি বল না”, সুতপা বেশ উত্তেজিত।

“অত কথা ফোনে হয় না, দুপুরে সাউথ পার্ক স্ট্রিট সেমেট্রিতে চলে আয়, কথা- কাজ দুটোই এক সঙ্গে হবে।”

“ঠিক আছে। আমি দুটোতে পৌঁছে যাব।”

কোথাও পৌঁছনোর ব্যাপারে থাকলে সুতপা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যায়। আজও তার অন্যথা হল না। আজ আবার নতুন ক্লু হাতে আসার ব্যাপার!

সায়ন্তনীর ফোন আসার পর থেকেই সুতপার মনটা নাচতে আরম্ভ করেছে। দু’-আড়াইশো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানুষদের সমাধি নিয়ে গবেষণা করে দু’জনে দারুণ মজা পায়। এখন তো সেটা আবার নেশার পর্যায় চলে গেছে।

সময় পেলেই দু’জনে এই সমাধিক্ষেত্রে এসে ঝাপসা হয়ে যাওয়া, ভেঙে যাওয়া স্মৃতিফলক থেকে টেনে-হিঁচড়ে শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকা মানুষজনের নামগুলো উদ্ধার করে আনে। তারপর ইতিহাস ঘেঁটে জীবদ্দশায় তাদের পরিচয় ও কীর্তি খুঁজে বের করে। এটাই তাদের নেশা। 

পৌনে দুটোয় পৌঁছে সুতপা দেখল সায়ন্তনী দূর থেকে হেঁটে আসছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই কলকাতা থেকে পরিযায়ী শীত  বিদায় নিয়েছে। দুপুর দুটোতেই সূয্যি মামার হাসি বুঝিয়ে দিচ্ছে, বড় জোর এক সপ্তাহ, তার পর শুধুই তার অট্টহাসির দিন।

১৭৬৭-তে তৈরি হওয়া ব্রিটিশদের সমাধিক্ষেত্র, যেটা নাকি মাত্র তেইশ বছরেই মানে ১৭৯০-তেই ১৬০০ মৃতদেহ নিয়ে পরিপূর্ণ। তাই বাধ্য হয়ে নর্থ পার্ক স্ট্রিটে, বা রাস্তার অন্য পারে নতুন সমাধিক্ষেত্র তৈরি করতে হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে এই রাস্তার নাম ছিল বেরিয়াল গ্রাউন্ড রোড।

সমাধিক্ষেত্রে ঢোকার মুখের দেওয়ালে এই কথা লেখা থাকলেও আরও পঞ্চাশ বছর যে এখানে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত, তার প্রমাণ ভেতরের স্মৃতিফলকগুলো।

১৭৫৭ সালে সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ইংরেজরা বাংলা দখল করল। কলকাতাকে হল রাজধানী। ফলে প্রশাসনিক কাজে শত-শত ইংরেজ এখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করল। কিন্তু এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। তাই বেশির ভাগ ইংরেজ অকালেই প্রাণত্যাগ করতে বাধ্য হত।

মাত্র তেইশ বছর যে-সমাধিক্ষেত্র বেঁচে ছিল, সেখানে শিশু থেকে যুবকরাই যে বেশি পরিমাণে পাশপাশি শুয়ে থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও মতান্তরে আরও পঞ্চাশ বছর এই সমাধিক্ষেত্র চালু ছিল তাই বেশ কিছু বৃদ্ধও এখানে পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে।

বিশাল-বিশাল বৃক্ষ শ্রেণির উদ্ভিদ পুরো আট একর জায়গাটা এমন ভাবে সবুজ আকাশ দিয়ে ঢেকে রেখেছে, এটা যে তারুণ্যের রাজ্য সেটা বেশ বোঝাই যায়।

ঝোপ শ্রেণির উদ্ভিদগুলোতে রং-বেরঙের ফুলের কোলাহল বুঝিয়ে দিচ্ছে শিশু গাছও এখানে সংখ্যায় কম নয়।

শরীরগুলো যে কত দিন আগেই পচে-গলে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে বৃক্ষ হয়ে নিজেদের যৌবন মেলে ধরেছে, তার খবর কে রাখে!

নাম-না-জানা গাছের মতো স্মৃতিফলক থেকে মুছে যাওয়া মানুষের নাম খুঁজে বের করে সুতপা আর সায়ন্তনী। হারিয়ে যাওয়া মানুষের নামগুলো অন্তত বাঁচিয়ে তুলতে চায়।

শরীরগুলো যে কত দিন আগেই পচে-গলে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে বৃক্ষ হয়ে নিজেদের যৌবন মেলে ধরেছে, তার খবর কে রাখে!

স্বনামধন্য কিছু ব্যক্তি পরম শান্তিতে পাশাপাশি লাইন দিয়ে শুয়ে আছে, অথচ তাদের উত্তরপুরুষরা সেই সব মানুষদের সমাধির ওপর স্মৃতিফলক বানিয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করছে। উচ্চতম, বৃহত্তম, সুন্দরতম... কত সব বাহার এই স্মৃতিফলকগুলোর।

শিশুরা রং-বেরঙের ফুল হয়ে তাদের অগ্রজদের সমাধিগুলো সাজিয়ে তুলেছে, আর অগ্রজরা বৃক্ষ হয়ে অকালে ঝরে যাওয়া শিশুদের সমাধিগুলো পরম যত্নে ছায়া দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। ঝরে পড়া শুকনো গাছের পাতার নরম বিছানায় অকালে ঝরে পড়া ফুলগুলো কাঁদছে না হাসছে, কে জানে!

কাঠ ফাটা রোদে ৬৩৬ নম্বর স্মৃতিস্তম্ভে গাছের ছায়ায় নিরিবিলিতে বসে আরাম করে সায়ন্তনী। হেনরি উইলিয়াম সম্পর্কে যা-যা তথ্য সংগ্রহ করেছে তার সবটাই সুতপাকে বলছিল। ওরা খেয়ালই করেনি, সমাধির পেছনে আড়াল থেকে আরও এক জন ওদের কথা মন দিয়ে শুনছে।

সায়ন্তনীর কথা শেষ হতে সুতপা কিছু বলতে যাবে, ঠিক সেই সময় একজন বৃদ্ধ ব্রিটিশকে আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে কিছুটা বিস্মিত হয়েই সুতপা চুপ করে গেল।

বৃদ্ধ ভদ্রলোক পরিষ্কার বাংলায় বললেন, “তোমাদের পাশে একটু বসতে পারি?”

নির্জন দুপুরের জনমানবহীন সমাধিক্ষেত্রে এক জন ব্রিটিশ কে দেখে ওরা দু’জনেই ভেবেছিল হয়তো কোনও সমাধির উত্তরপুরুষ, তার পূর্বপুরুষকে সম্মান জানাতে এসেছেন। কথাটা ভেবে সুতপার চোখদুটো চকচক করে উঠল। হয়তো আরও এক জন মানুষের সন্ধান পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

সুতপা আগ্রহ নিয়েই জানতে চাইল, “আপনার কোনও পূর্বপুরুষের সমাধি এখানে আছে?”

বৃদ্ধ ভদ্রলোক করুণ মুখে বললেন, “বড়ই বিপদে পড়ে তোমাদের কাছে এলাম মা, তোমরাই পারবে আমার কষ্ট বুঝতে। আর আমি সহ্য করতে পারছি না।”

“হ্যাঁ-হ্যাঁ, বলুন না। আপনার কোথায় কষ্ট হচ্ছে? একটু জল খাবেন?” সুতপা বেশ উৎকণ্ঠা নিয়েই জানতে চাইল। হয়তো এখানে এসে হঠাৎই শরীর খারাপ হল।

“না মা, খাদ্য পানীয়র অনেক উর্ধে উঠে গেছি সেই কবেই!”

একটু অবাক হয়েই সুতপা, সায়ন্তনীর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নিল। তারপর বৃদ্ধ ভদ্রলোককে বলল, “মানে? ঠিক বুঝলাম না।”

ভদ্রলোক একটু দম নিয়ে জানতে চাইলেন, “আচ্ছা, গোবিন্দপুর এখন কোন রাজার অধীনে?”

সায়ন্তনী আর থাকতে না-পেরে বলল, “আপনি কী সব বলছেন! আমরা তো কোনও মাথামুন্ডুই খুঁজে পাচ্ছি না।”

বৃদ্ধ ভদ্রলোক একটু অপ্রস্তুত হয়েই খুব করুণ স্বরে বললেন, “আমি কি তোমাদের সামনে এসে ভুল করলাম? বিশ্বাস করো আমি তোমাদের কোনও ক্ষতি করতে আসিনি। আমি একান্ত ভাবেই তোমাদের দয়ার পাত্র।”

“না, না, ক্ষতির প্রশ্ন আসছে কেন! আসলে আমরা আপনার কথার মানে কিছুই বুঝতে পারছি না। যদি পরিষ্কার করে বলেন,” সুতপা বেশ নম্র ভাবেই কথাগুলো বলল।

মাটি চাপা কান্না - পর্ব ২

“আমি আমার সব কথা খুলে বলব বলেই তো তোমাদের কাছে এলাম। কিন্তু তোমরা ভয় পাবে না তো, আমার সব কথা শোনার পর?”

সায়ন্তনী হাসতে-হাসতেই জবাব দিল, “আপনাকে দেখে ভয় পাওয়ার মতো কিছু আছে বলেও মনে হচ্ছে না।”

“মানে জায়গাটার বদনাম আছে তো...”

সুতপা কথাটার ইঙ্গিত বুঝতে পেরে বেশ জোর গলাতেই বলল, “ভূতের ভয় থাকলে আমরা আর কবরখানা নিয়ে কাজ করতে আসতাম না। আপনি নিশ্চিন্তেই আপনার সব কথা খুলে বলুন। আমরা ভয় পাব না।”

“বেশ, তবে শোন...

“অনেক দিন আগের কথা। তখন ভারতের সম্রাট জাহাঙ্গীর। এ দিকে কলিকাতা শহরও পত্তন হয়নি। পথ দুর্গম এবং এখানকার অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার জন্য দিল্লির শাসকরা তাদের শাসন কার্য চালাত স্থানীয় সামন্ত রাজাদের সাহায্যে।

“গঙ্গার পশ্চিম তীরে এক শাখানদী ছিল, নাম সরস্বতী। এই সরস্বতী নদীর ভেতর বেশ কিছু পথ অতিক্রম করে বেতড় বন্দর বেশ সমৃদ্ধি লাভ করেছিল।

“ব্রিটিশরা এই সময় সেই বেতড় বন্দরে তাদের বাণিজ্যতরী নোঙর করত প্রধানত স্থানীয় কাপড় সংগ্রহ করতে। সঙ্গে নিজেদের পণ্য বিক্রয় তো ছিলই।

“সেই রকম এক বাণিজ্যতরীর মালিক রবার্ট লুই, বয়সে প্রৌঢ় হলেও শারীরিক শক্তিতে যে কোনও যুবককে হার মানাতে সক্ষম। একদিন বেতড় বন্দরে তার বাণিজ্যতরী নিয়ে বেশ কিছু দিন থাকার উদ্দেশ্যে নোঙর করল। জানত না, তার দিন শেষ হয়ে এসেছে। মাত্র তিন দিনের জ্বরেই জীবন-প্রদীপ নিভে গেল।

“এ দিকে স্থানীয় অধিবাসীরা দেহ সমাধি দিতে বাধা সৃষ্টি করায় বাধ্য হয়েই লুই-এর সঙ্গী-সাথীরা গঙ্গার পূর্ব তীরে গভীর জঙ্গলে দেহ-সমাধিস্থ করে সবাই রওনা দিল নিজের দেশের উদ্দেশে।

“এ দিকে রবার্ট লুই পরম শান্তিতে শেষ বিচারের দিনের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে রইল।

“কত বছর কেটে গেল, শতাব্দী কেটে গেল, দিল্লির বাদশাহ বদলে গেল, কলিকাতা শহরের পত্তন হল, কিন্ত রবার্ট লুইকে কেউ আর মনে রাখল না।

“এদিকে কলিকাতা এক দিন ব্রিটিশদের অধীনে রাজধানী শহরে পরিণত হল। শত-শত ব্রিটিশ ওদেশ থেকে এখানে বসতি স্থাপন করতে আরম্ভ করল। নিজেদের নিকট জনদের দেহ সমাধিস্থ করতে তারা এই অঞ্চলকেই বেছে নিল। কারণ দীর্ঘ দিন ধরেই এখানে অনেক ইংরেজ, যারা এখানকার প্রতিকূল পরিবেশে মানাতে না-পেরে মারা যেত, তাদের এখানেই সমাধি দেওয়া হত।

“কিন্তু বিপদ হল, যখন এই জায়গাটা সমাধির জন্য নির্দিষ্ট করা হল। পুরনো দিনের যারা এখানেই ঘুমিয়ে আছে, তাদের কথা কেউ ভাবল না। আর যা হওয়ার তাই হল। এক দিন রবার্ট লুই-এর সমাধির ওপর হেনরি উইলিয়ামের মৃতদেহ সমাধিস্থ করে তার ওপর স্মৃতিফলক স্থাপন করল হেনরির নিকট আত্মীয়রা।”

বৃদ্ধ ভদ্রলোক দম নেওয়ার জন্য একটু থামতে সায়ন্তনী বলল, “তার মানে, রবার্ট লুই মারা যাওয়ার পর প্রায় দুশো বছর কেটে গেছে তত দিনে।”

“হ্যাঁ তা গেছে, হয়তো আরও বেশি!”

“তা হলে ততদিনে রবার্ট লুইয়ের মৃতদেহের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। জায়গার অভাবে যদি সেখানে অন্য কাউকে সমাধিস্থ করা হয়, ক্ষতি কী?”

“হেনরি উইলিয়ামও তো দুশো বছর আগে মারা গেছে। তার স্মৃতিফলক কেন তোমরা বাঁচিয়ে রাখতে চাইছ?”

“হয়তো তিনি কোনও বিখ্যাত লোক ছিলেন সেই সময়ের। আমরা সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”

“আর চারশো বছর আগের যে-লোকটা সামান্য কাঠের তৈরি পাল-তোলা, দাঁড়-বাওয়া জাহাজ নিয়ে সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশকে প্রদক্ষিণ করে মাসের পর মাস সমুদ্র পথে পাড়ি দিয়ে সুদূর ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষের পূর্ব উপকূলে এসে পৌঁছল? সে কেউ না, কিছুই না?

“সমগ্র রাঢ় বাংলায় তখন পর্তুগিজ়দের আধিপত্য। তাদের চোখ এড়িয়ে বাংলায় এসে বাণিজ্য করতে এক জন ব্যবসায়ীকে ছোট যোদ্ধা বাহিনীর সেনা নায়কও হতে হত। দুর্ধর্ষ পর্তুগিজ়দের সঙ্গে লড়াই করতে বীরত্ব লাগে। ওরা ভাস্কো-দা-গামার উত্তরসূরি।

“মূলত পর্তুগিজ়রা চট্টগ্রাম, সপ্তগ্রাম থেকেই নিজেদের বাণিজ্য আর ক্ষমতা ভোগ করত। গৌড়ের নবাব হোসেন শাহকে নজরানা দিয়ে। তমলুক, বেতড় প্রভৃতি জায়গায় যে তাদের চর থাকত না তা নয়। তাদের খুশি করেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হত। কিন্ত কলেরা, ম্যালেরিয়া, প্রভৃতির ভয়ে তারা এদিকটা বেশি আসত না। এলেও চন্দননগরে ডেরা বেঁধে থাকত।

“আমি ছিলাম আমার জাহাজের সর্দার। দীর্ঘ সাত-আট মাস জাহাজে করে পাড়ি দিয়ে আমি চার-চার বার এসে পৌঁছেছিলাম এই বেতড় বন্দরে। যে মানুষটা দুর্ধর্ষ পর্তুগিজ়দের প্রতিহত করে এখানে বাণিজ্য করতে আসত, সেই মাত্র তিন দিনের জ্বরে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করতে বাধ্য হল। ভাগ্যের এমনই পরিহাস।

“তোমরা পার না, রবার্ট লুইয়ের, হ্যাঁ-হ্যাঁ, আমারও একটা স্মৃতিফলক এখানে রাখতে? কেন আমাকে হেনরি উইলিয়ামের স্মৃতিফলক বুকে নিয়ে শুয়ে থাকতে হবে চিরকাল?”

বৃদ্ধ ভদ্রলোক হাত জোড় করে পিছু হাঁটতে-হাঁটতে হেনরি উইলিয়ামের স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে মিলিয়ে গেলেন।

সুতপা আর সায়ন্তনী বিস্ফারিত নেত্রে সেই দিকে তাকিয়ে আছে।

একটা দমকা হাওয়া বসন্তে ঝরে পড়া শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে দিল সেই বাঁধানো বেদিটা।যেখানে হেনরি উইলিয়ামের নামটা একটু আগেও ঝাপসা হয়ে জেগে ছিল।

(সমাপ্ত)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url