Highlight Tricks: মুখের বিভিন্ন অংশ নিখুঁত বা শার্প করে তুলবেন কীভাবে?
Highlight Tricks: মুখের বিভিন্ন অংশ নিখুঁত বা শার্প করে তুলবেন কীভাবে?
চোখের সেই অনন্য আবেদনে তৈরি হয় এক নতুন সমীকরণ, হাসির রেখায় ফুটে ওঠে ঔজ্জ্বল্য, গালে লেগে থাকা গোলাপি আভায় ছড়িয়ে থাকে উষ্ণতা। আর এই উষ্ণ আবেদন আপনার ব্যক্তিত্বে যোগ করে এক নতুন মাত্রা। যে কোনও অনুষ্ঠানে নিজের অজান্তেই আপনি হয়ে ওঠেন সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন। না, এই সবকিছু শুধুমাত্র কথার কথা নয়। এই সব আপনার ক্ষেত্রেও সম্ভব। তবে তার জন্য আপনাকে জানতে হবে মেক-আপের কয়েকটি বেসিক জিনিস। মেক-আপের ম্যাজিক টাচে পলকেই বদলে যেতে পারে আপনার সম্পূর্ণ লুক। ছোটখাটো খুঁত অনায়াসেই ঢেকে যেতে পারে সঠিক মেক-আপ স্ট্রোকে। একদিনেই এই বিশেষ আর্ট নষ্ট করা সম্ভব হয়তো হয়ে ওঠে না। কিন্তু তা করতে ক্ষতি কী? এই যে কথায় বলে না, প্র্যাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট। আর আপনার এই সেই ট্রেনিংয়ে সাহায্য করার জন্য রইল কয়েকটি সহজ টিপস।
ফর দ্যাট পারফেক্ট লুক:
মানছি, টানা টানা বড় আবেদনপূর্ণ চোখ সবার হয় না। কিন্তু তা বলে হীনমন্যতায় ভোগারও কোনও প্রয়োজন নেই। ইন্টেলিজেন্ট মেক-আপ স্ট্রোক আপনার চোখে নিয়ে আসবে নতুন ভাষা। চোখের উপরের এবং নিচের পাতায় কাজলের ঘন প্রলেপ নিঃসন্দেহে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। তবে যাঁদের চোখ ছোট, তাঁরা যদি এভাবে কাজল লাগান, তা হলে চোখ দেখতে আরও ছোট লাগবে। চোখ বড় দেখানোর জন্য ট্রাই করে দেখতে পারেন এই টিপসটি। চোখের বাইরের কোণে কালো অথবা ব্রাউন কাজলের হালকা রেখা টেনে ভিতরের দিকে ব্লেন্ড করে দিন। এবার ব্রাও বোনে ও চোখের ভিতরের কোণে ট্রান্সলুসেন্ট শিমার লাগান। এই শিমার হাইলাইটার হিসেবে কাজ করে এবং চোখ বড় ও ব্রাইট দেখাতে সাহায্য করে।
ফর দ্যাট পারফেক্ট পাউট:
আমাদের কারও ঠোঁট খুবই পাতলা হয়, আবার কারও ফুলার লিপস হয়। যাঁদের ঠোঁট খুব পাতলা তাঁদের সমস্যা একটু বেশি। প্রথমেই একটা সিক্রেট জেনে নিন। ঠোঁট শুষ্ক থাকলে আরও পাতলা লাগে। তাই ঠোঁট সব সময়ে ময়শ্চারাইজ়ড রাখুন। এছাড়াও নিউট্রাল লাইনার দিয়ে ঠোঁটের ন্যাচারাল লাইনের সামান্য বাইয়ে দিয়ে লাইন করে নিন। এবার লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন লিপ লাইনার যেন বোঝা না যায়। সব শেষে নিচের ঠোঁটের ঠিক মাঝখানে শিমার শাইনি গ্লস লাগিয়ে নিন। পেয়ে যাবেন সেই পারফেক্ট পাউট।
ডিফাইন ইওর চিকবোনস:
আমাদের কারওর মুখের আকৃতি গোল, কারওর স্কোয়্যার, কারওর পানপাতার মতো, আবার কারওর ডিম্বাকৃতি। মুখের শেপ যাই হোক না কেন, সঠিক শেপিং এবং হাইলাইট করলেই পেয়ে যাবেন ওয়েল ডিফাইনড চিকবোনস। আপনার চিকবোন অনুযায়ী যে ফাউন্ডেশন লাগান, তার থেকে এক স্কিন শেড হালকা ফাউন্ডেশন চিকবোনের ঠিক নিচে লাগিয়ে উপরের দিকে ব্লেন্ড করুন। হালকা ব্লাশ অথবা শিমার হাইলাইটার চিকবোনে লাগিয়ে ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
‘শার্প নোজ়’ সিক্রেটস:
টিয়া পাখির মতো টিকোলো নাক সবার হয় না। এই নিয়ে দুঃখ করারও বিশেষ কোনও কারণ নেই। মেকআপের সাহায্যে আপনি অনায়াসেই এই খুঁত ঢেকে ফেলতে পারেন। নাকের দু’পাশে আপনার স্কিন টোন থেকে সামান্য গাঢ় ফাউন্ডেশন অথবা বেস লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। নাকের উপরে আপনার স্কিন টোনের থেকে এক শেড হালকা বেস অথবা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে ব্লেন্ড করুন। মনে রাখবেন সঠিকভাবে ব্লেন্ড করাটাই এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
ফর দ্যাট পারফেক্ট স্ট্রোক:
মেক-আপ ব্রাশ কিট যেন অবশ্যই থাকে আপনার মেক-আপ বক্সে। সঠিক মেক-আপ ব্রাশ ছাড়া আপনার মেক-আপ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। কয়েকটি বেসিক মেক-আপ বেস কিনে রাখুন। আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে বেস কেনার পাশাপাশি এক শেড হালকা এবং এক শেড গাঢ় শেডও কিনে রাখুন। গোল্ডেন শিমার, সিলভার শিমার আর নিউট্রাল লিপগ্লস যেন অবশ্যই থাকে।
বিশেষ টিপস:
মেক-আপ ব্রাশ ব্যবহার করার পর টিসু দিয়ে মুছে তুলে রাখুন। মাঝে মাঝে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এক বছর অন্তর অন্তর ব্রাশ সেট বদলে ফেলুন। বেস মেক-আপ, আই শ্যাডো, লিপস্টিক এমনি না রেখে একটা বক্স করে ফ্রিজে রেখে দিন। অনেকদিন ভাল থাকবে। এক বছরের বেশি কোনও মেক-আপ ব্যবহার না করাই ভাল। এতে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url