Investing in Gold: একেবারে সাতান্ন হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে পাকা সোনার দাম। রইল লগ্নির দিশা

 Investing in Gold: একেবারে সাতান্ন হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে পাকা সোনার দাম। রইল লগ্নির দিশা


পঞ্চাশ, পঞ্চান্ন করতে করতে একেবারে সাতান্ন হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে পাকা সোনার দাম। রইল লগ্নির দিশা।

সোনায় লগ্নির খোঁজ ( Investing in Gold):

Today Gold Price: 58,340.00 Indian Rupee.

চোখ ধাঁধানো জৌলুস তো ছিলই। এ বার ছেঁকা লাগছে দামেও। তাই গয়না কেনার বদলে সাড়ে সাতান্ন পেরোনো সোনায় বিনিয়োগের দিশা খুঁজছেন মানুষ। এমনিতে ধাতব সোনা কেনার চল বেশি থাকলেও, এখন খেয়াল রাখতে হবে কাগুজে সোনার দিকেও। সে সব নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।

গয়না বা ধাতব সোনা:

চুরি যাওয়ার ভয় রয়েছে, দিতে হয় লকার ভাড়াও। অথচ পরিবারে বিয়ে, অন্নপ্রাশনের মতো অনুষ্ঠানে সোনা না-দিলেই নয়। যদি একান্ত তা কিনতেই হয়, তা হলে মাথায় রাখুন—

• ২ লক্ষ টাকার কম সোনা নগদে কেনা যায়। এ জন্য প্যান লাগে না। তবে নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি গয়নায় উৎসে কর বসে।

• ২ লক্ষের বেশি অঙ্কের গয়না বা বিস্কুট, কয়েন কিনতে টাকা দিতে হয় চেকে, কার্ডে বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ে।

• পাকা সোনা কেনা যায় ব্যাঙ্ক বা ট্রেডিং সংস্থা ও কিছু সোনা বিপণি থেকে।

• এখন গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক। তাই তা কেনার আগে অবশ্যই হলমার্ক দেখে নিন।

• বর্তমানে চড়া দামের জেরে অনেকে কেনার বদলে পুরনো গয়না ভাঙিয়ে নতুন তৈরি করছেন। তবে তাতে কিছুটা দাম বাদ যাবে।

গোল্ড বন্ড:

আগামী মাসে ফের বাজারে আসবে সোনা বন্ডের নতুন ইসু। এই প্রকল্পে—

• ইসু চলার সময়ে ইন্ডিয়ান বুলিয়ন জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষিত দাম গ্রাহ্য হয়। অন্য সময়ে বাজারের দরে লেনদেন করতে হয়।

• ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর, স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন, বড় এক্সচেঞ্জগুলির মাধ্যমে কেনা যায়।

• নথিভুক্তির পরে শেয়ার বাজারেও লেনদেন করা যায়।

• ন্যূনতম ১ গ্রাম সোনা কিনতে হয়। অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ সীমা ৪ কেজি। সংস্থা বা ট্রাস্ট হলে ২০ কেজি পর্যন্ত কেনা যায়।

• মেয়াদ আট বছর। পাঁচ বছর পরে ভাঙানো যায়। চাইলে তার আগে এক্সচেঞ্জে বেচা যায়।

• বছরে ২.৫০% সুদ মেলে। সঙ্গে ভাঙানোর সময়ে দাম বাড়লে বাড়তি লাভ।

• সুদ করযোগ্য।

• ব্যক্তির ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে পাওয়া মুনাফায় মূলধনী লাভকর নেই। তবে আগে বেচে লাভ হলে কর বসে।

• ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া যায়।

গোল্ড ফান্ড:

• এগুলি এক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড যারা গোল্ড ইটিএফে টাকা ঢালে।

• একলপ্তে এবং সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি) পদ্ধতিতে এতে লগ্নি করা যায়।

• এসআইপি-র ক্ষেত্রে মাসে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট অঙ্কের লগ্নির জন্য ব্যাঙ্কে নির্দেশ (ডেবিট ম্যান্ডেট) দিয়ে রাখলে সে দিন টাকা কাটবে ফান্ড সংস্থা।

• নির্দিষ্ট সময়ের আগে ইউনিট বেচতে চাইলে এগ্জ়িট লোড লাগতে পারে।

গোল্ড ইটিএফ:

প্রকল্পটির পুরো নাম গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। এটি—

• স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হয়। যার ইউনিটের দাম সোনার দামের সঙ্গে ওঠানামা করে।

• এর তহবিল খাটানো হয় সরাসরি সোনা এবং সোনা নির্ভর লগ্নি প্রকল্পে।

• প্রথম বার ফান্ড সংস্থা কাছ থেকেই ইটিএফ কিনতে হয়। পরে তা কেনাবেচা করা যায় শেয়ার বাজারে।

• এটি কিনতে স্টক ব্রোকারের কাছে ডিম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।

• কেনার পরে যে কোনও সময়ে বিক্রি করা যায়।

• সোনা কেনার ঊর্ধ্বসীমা নেই।

গোল্ড মনিটাইজেশন:

• ধাতব সোনা ব্যাঙ্কে রেখে সুদ আয়ের প্রকল্প।

• সুদের হার স্থির হয় মেয়াদের ভিত্তিতে।

• জমা দেওয়া সোনা ওই আকারেই ফেরত মেলে না। তা গলিয়ে খাঁটি সোনা (২৪ ক্যারাট বা ৯৯৫ ফাইননেস) বার করা হয়।

• সেই খাঁটি সোনার ওজনের ভিত্তিতেই হিসেব হবে জমা সোনার পরিমাণ। যার উপরে মিলবে সুদ।

• স্বল্প মেয়াদের প্রকল্পে সুদ-সহ সোনা বা তার সমমূল্যের টাকা ফেরত মেলে। মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদে হাতে আসে শুধু টাকাই।

• সার্টিফিকেট বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url