নতুন ছোট ছোট মজাদার কবিতা সাহিত্য
অনেকগুলি একসঙ্গে ছোট ছোট কবিতা নিয়ে এসেছিস শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। এই কবিতাগুলো আপনারা কোথাও খুঁজে পাবেন না এই কবিতা সাহিত্য গুলো খুবই সুন্দর এবং মজাদার এগুলো করতে আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। আপনারা যারা কবিতা লিখতে ভালোবাসেন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আপনাদের কবিতাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন আজকে এই ছোট কবিতাগুলো খুবই ভালো এবং ছাত্রদের পক্ষে অনেক টাই নতুন কিছু কবিতা। আশা করছি এই কবিতা গুলো পড়ে আপনাদের খুবই ভালো লাগবে আরো যদি কবিতা পেতে চান আমাদেরকে নিজে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমরা আরো নতুন নতুন কবিতা আপনাদের জন্য দিয়ে দেব।
প্রথম কবিতা
কবিতার নাম: 'দেখা হবে'
লেখক: মেঘ বসু
এবারের শীতে, তার কাছে রেখে যাব গান।
হেমন্তের গন্ধমাখা ধানে রোদের পরাগ,
ভোরের স্বভাব কিছু।
মেঘ বসু
জানি, সে গভীর হবে একা হয়ে
আমাদের যৌথ খামারে বিপুল শস্য ও আলোর কলতান
নৌকোয় গোধূলি এসে হারাবে কুয়াশা
তখনই শব্দের মতো দেখা হবে আমাদের লেখার খাতায়
হে প্রণয়!
দ্বিতীয় কবিতা
কবিতার নাম: মনে পড়ে
লেখক: মেঘ বসু
নরম রোদের ডানা ভাঁজ করে রাখি
আলনায় ভাঁজ করে রাখি গৃহস্থ বিবাদ
রাতের মনখারাপগুলো জ্যোৎস্না হয়ে ওড়ে লেখার খাতায়...
পুরনো হারমোনিয়ামে কার যেন
নিখোঁজ কণ্ঠকে খুঁজে পাই
কেউ ভালবেসে কাছে ডাকলে
হারানো মাসির কথা মনে পড়ে!
তৃতীয় কবিতা
কবিতার নাম: ঋণ
লেখকের নাম: জয় গোস্বামী
বিরাট ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেছিলে পদব্রজে।
পায়ে হেঁটে দেখবার আনন্দ আলাদা।
কিন্তু তাতে কষ্ট আছে। আছে ক্ষুধা, তৃষ্ণা। পথশ্রম।
এখন সবার হাতে সময় তো কম, বড় কম।
জীবিকা-জীবন নিয়ে আজকে তো সবার হাত-পা বাঁধা
এখন তোমার মতো, হে সন্ন্যাসী, কে আর নিজের দেশকে
খোঁজে?
যেসব রাস্তায় তুমি হেঁটে ঘুরেছিলে একদিন
এখনও শীতের রাত্রে, আজও ধু ধু গ্রীষ্মের দুপুরে
বাতাস সেসব পথে কেবলই প্রণাম রাখে,
কেবলই স্বীকার করে ঋণ!
চতুর্থ কবিতা
কবিতার নাম : পিঠেভোজ
লেখকের নাম : শ্যামলকান্তি দাশ
ফুলমাসিদের বাড়ি নিবিবিলিপুর,
কলকাতা থেকে মোটে ষোলো কিমি দূর।
পৌঁছতে হবে ঠিক সন্ধের আগে,
নইলে পড়বে কম পিঠেপুলি ভাগে।
হাত খুলে রকমারি পিঠে খেতে চাই,
এই নিয়ে দিনভর ধানাই পানাই।
দারুণ বানায় পিঠে ফুলমাসি, আর,
বাতাসে গন্ধ ভাসে পাটিসাপটার।
সঙ্গে চিতই পিঠে, আরও সব কী যে,
বানিয়েছে ফুলমাসি একা-হাতে নিজে।
দুধপুলিটার স্বাদ মুখে লেগে আছে,
হুলো-মেনি লেজ নাড়ে দরজার কাছে।
বাটিভরা চুষি পিঠে মধুর, সরেস,
পিঠেভোজে জমে গেল পৌষের শেষ!
পঞ্চম কবিতা
কবিতার নাম: রাক্ষসের রঙে
লেখকের নাম: শ্যামলকান্তি দাশ
কী সব রাক্ষস তুমি পুষেছ ঘরের মধ্যে
বরবাদ হয়ে গেল কবির জীবন।
সামান্য লিখতে গিয়ে দশবার হোঁচট খাই,
লিখি, ভাঙি, ছিঁড়ি, কাটি, টুকরো করি, গুঁজি,
শুধু পঙ্ক্তি সরে যায়, লেখা আর কিছুতে আসে না।
ছন্দ, মিল, উপমা, রূপক খুঁজতে কোথায়-বা যাব,
পালাবার রাস্তাখানি কবেকার চন্দ্রালোকে ঢাকা,
হতচ্ছাড়া কবির জীবন ফেলে কোথায়-বা যাই!
পোষা রাক্ষসের রঙে বিয়েবাড়ি সরগরম,
মাথায় উঠেছে লেখা—
ওই শোনো বাজছে মৃদঙ্গ, বীণা, অপূর্ব সানাই!
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url