Skin treatment before marriage: বিয়ের আগে স্কিন ট্রিটমেন্ট
Skin treatment before marriage: বিয়ের আগে স্কিন ট্রিটমেন্ট
বিয়ের আগে স্কিন ট্রিটমেন্ট:
ডার্মাপিলিং, মাইক্রোনিডলিং থেকে লেজ়ার, ফিলারস, এই ধরনের অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে কনেদের। কতটা কার্যকারী এবং নিরাপদ এই ধরনের ট্রিটমেন্ট? শহরের এক নামী বিউটি ক্লিনিক থেকে খোঁজ রইল।
শুভদিন আসতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তারপরই নতুন জীবনে পদার্পণ করতে চলেছেন। কারওর আবার সদ্যই দিনক্ষণ পাকা হয়েছে। যে যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, বিয়ের প্রস্তুতি ধীরে ধীরে শুরু করা দরকার এখন থেকেই। কেনাকাটা, ভেনু বুকিং, গেস্ট লিস্ট তৈরি, মেনু ঠিক করা এসব তো রয়েইছে, তার সঙ্গে সমানে চলুক কনে হিসেবে আপনার প্রস্তুতিও। জীবনের এই বিশেষ দিনটা ঘিরে কম স্বপ্নের জাল তো বোনেননি এতদিন! কীভাবে সাজবেন, কী রঙের শাড়ি পরবেন, কেমন গয়না হবে... সবই নিশ্চয়ই মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন? তবে এর সঙ্গে যে আর-একটা জিনিসও ভীষণ জরুরি। শাড়ি, গয়না, চন্দন আর লাল চেলির সাজে সালঙ্কারা হয়ে ওঠার আগে ত্বক আর চুলের প্রতিও তো একটু যত্নআত্তি করতে হবে! মেক-আপে ঢাকা মুখ তো স্রেফ অনুষ্ঠানের কয়েকঘণ্টা। তার আগে-পরেও তো ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হবে। ঘরোয়া যত্ন তো নেবেনই। তবে তার সঙ্গে বিশেষ কিছু যত্নও নিতে হবে এই ক’মাস। হাজার হোক, বিয়ের কনে বলে কথা।
অতিথিরা যাতে আপনার রূপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন, তার জন্য প্রফেশনাল কেয়ারও প্রয়োজন। শুধু সালঁর কথা বলছি না। এখন যুগ অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট এবং স্কিন টেকনোলজির। বছরখানেক আগেও ব্রাইডাল স্কিনকেয়ারে ফেশিয়াল, ম্যানিকিওর, পেডিকিওর বা ওয়্যাক্সিং এবং মাসাজের বাইরে তেমন অপশন থাকত না। তবে গত কয়েক বছরে সৌন্দর্যের জগতে অনেকটাই তফাৎ এসেছে। এখনকার কনেরা ত্বক এবং চুল নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। আর সেই কারণেই পার্মানেন্ট বা লংটার্ম সলিউশনের দিকে তাঁদের ঝোঁক বাড়ছে দিনদিন।
ওয়্যাক্সিং, থ্রেডিংয়ের জায়গায় যেমন এখন লেজ়ার হেয়ার রিডাকশন বেছে নিচ্ছেন অনেকে। তেমনই ত্বকের অন্যান্য সাধারণ সমস্যার জন্যও নানা ধরনের ট্রিটমেন্ট করাচ্ছেন। তবে এই ধরনের ট্রিটমেন্ট করানোর আগে গোটা বিষয়টা সম্পর্কে একটা বেসিক ধারণা থাকা দরকার। কোন ধরনের ট্রিটমেন্ট বাছবেন, কোনটার উপকারিতা কী, কবে থেকে শুরু করবেন, ইত্যাদি তথ্য জেনে রাখলে সিদ্ধান্ত নিতেও সুবিধা হবে।'
কনেদের বেসিক যত্ন:
টেকনোলজি বা মেশিন বেসড স্কিন ট্রিটমেন্টের অনেক ধরন হয়। ত্বকের ধরন, সমস্যা এবং চাহিদা অনুযায়ী তার মধ্যে থেকে সঠিক অপশনগুলো বেছে নিতে হবে। কারণ প্রত্যেকের সমস্যা তো এক নয়। তবে কিছু কিছু সমস্যা থাকে, যা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এগুলোর সমাধান হিসেবে কিছু বেসিক ট্রিটমেন্ট রয়েছে, যা বিয়ের আগে সকলেই করাতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে প্রথমেই আসে পিগমেন্টেশনের কথা। রোদে পোড়া ত্বক বা অযত্নের কারণেও স্কিনটোন আনইভন হয়ে যাওয়ার সমস্যা কনেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অনেকে হাইপারপিগমেন্টেশন, মেচেতার মতো সমস্যা নিয়েও আসেন। শুধু মুখে নয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে এই ধরনের দাগ-ছোপের সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যায় সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায় দু’টি ট্রিটমেন্টে—
অ্যালমা কিউ-সুইচ ফেশিয়াল টোনিং: মুখের পিগমেন্টেশনের সমস্যায় ট্রিটমেন্ট শুরু করা হয় এই টোনিং দিয়ে। মুখে যদি কোনও ধরনের দাগ-ছোপ বা মেচেতার সমস্যা থাকে, এই ট্রিটমেন্টে তা সহজেই দূর করা যায়। এমনকী খুব পুরনো জেদী ট্যান, যা প্রায় সকলেরই অন্যতম প্রধান সমস্যা, তাও মোটামুটি তিনটে সিটিংয়েই পুরোপুরি তুলে ফেলা যায়।
ফুল বডি পিল: এই ধরনের ট্রিটমেন্টও এখন খুব জনপ্রিয়। এতে শরীরের যে কোনও অংশের দাগছোপই তুলে ফেলা যায়। মূলত হায়ালুরনিক অ্যাসিডের কনসেনট্রেটেড সেরামের সাহায্যে ত্বকের একদম বাইরের ক্ষতিগ্রস্ত লেয়ার তুলে ফেলা হয় এতে। একদিকে তাতে সেল রিনিউয়াল প্রসেস ত্বরান্বিত হয়, পাশাপাশি ভিতরের নরম, উজ্জ্বল ত্বক বেরিয়ে আসে। ফলে চটজলদি ত্বক তরতাজা হয়ে ওঠে।
তবে ফুল বডি পিলিং ছাড়াও আরও নানা ধরনের কেমিক্যাল পিলের অপশন রয়েছে। ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী ইয়েলো পিল (ওভারঅল স্কিন টাইটেনিং এবং গ্লোয়ের জন্য), স্যালিসাইলিক অ্যাসিড পিল (ফুল বডি গ্লোয়ের জন্য), গ্লাইকোলিক পিল (অ্যাকনের জন্য) ইত্যাদি করাতে পারেন। প্রতিক্ষেত্রেই মোটামুটি ৪-৫টা সেশনের প্রয়োজন হয়। যে কোনও এক ধরনের পিলই যে করাতে পারবেন, এমন নয়। ত্বকের প্রয়োজন অনুসারে একাধিক পিল একসঙ্গেও করা যেতে পারে।
এছাড়া এমনও কিছু ট্রিটমেন্ট রয়েছে, যা এখন ভীষণ জনপ্রিয়। প্রতিটাই ত্বকের নির্দিষ্ট সমস্যায় কার্যকরী। আপাতদৃষ্টিতে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও, এই সমস্যা কিন্তু কম-বেশি সকলেরই থাকে। প্রি-ব্রাইডাল ট্রিটমেন্ট হিসেবে এগুলোর কথা ভেবে দেখতে পারেন।
ফিলারস এবং বোটক্স:
ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়া বা স্যাগিং স্কিনও এখনকার কনেদের মধ্যে খুব কমন। ত্বককে চটজলদি স্বাস্থ্যকর এবং প্লাম্পড দেখাতে চাইলে বেছে নিতে পারেন হাইড্রেটিং ফিলারস। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেকটা পরিবর্তন আনতে চাইলে বা যাঁদের হাতে বেশি সময় থাকে না, তাঁদের জন্য ফিলারস আদর্শ। কারণ লেজ়ারে অল্প সময়ের মধ্যে ফল পাওয়া যায় না। তবে ফিলারসের ক্ষেত্রে মোটামুটি দু’সপ্তাহের মধ্যেই তফাৎটা বোঝা যায়। আর একবার এই ট্রিটমেন্ট করালে প্রায় ন’মাস পর্যন্ত এর এফেক্ট থাকে ত্বকে। অনেকেই ভাবেন ফিলারস বা বোটক্সের মতো ট্রিটমেন্ট একটা বয়সের পরই করা যায়। তা কিন্তু নয়। আমরা সাধারণত ত্বকের ‘রিজুভিনেশন’-এর কথা বলে থাকি। তবে এখন রিজুভিনেশনের মতোই জরুরি ‘প্রি-জুভিনেশন’। এখন ফেশিয়াল এক্সপ্রেশনের যুগ। নিরন্তর সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স বা মোবাইল এক্সপোজ়ারের কারণে স্মাইল লাইনস, ফাইন লাইনসের সমস্যাও এখন অনেক আগে থেকে শুরু হয়। সঠিক সময়ে যদি এ বিষয়ে সচেতন না হন বা যত্ন না নেন, তাহলে এগুলোই পরবর্তীকালে বলিরেখার রূপ নিতে পারে। ফিলারস এই প্রতিটা সমস্যারই অব্যর্থ সমাধান।
ইন্সট্যান্ট গ্লো পেতে:
হাইড্রা ফেশিয়াল এর জন্য উপযুক্ত। ত্বকের ক্লগড পোরস, ব্ল্যাকহেডস বা মৃত কোষের মতো সমস্যা এতে খুব সহজেই সেরে যায়। সহজ করে বললে, এতকাল সালঁয় গিয়ে যে ধরনের ফেশিয়াল বা ক্লিন-আপ আমরা করাতাম, সেটাই এক্ষেত্রে করা হয় মেশিনের সাহায্যে। তার সঙ্গে দেওয়া হয় ওয়াটার থেরাপি। ভ্যাকুম মোশনের সাহায্যে ওয়াটার প্রেশার দিয়ে ত্বকে জমে থাকা ধুলো, ময়লা, তেল, ঘাম টেনে বের করে দেওয়া হয় এই ফেশিয়ালে। ত্বক কতটা পরিষ্কার হল, তাও চাইলে দেখতে পারেন। মোটামুটি ৪০ মিনিট সময় লাগে পুরো ফেশিয়ালে। তবে এর সবচেয়ে ভাল দিক হল, একবার এই ফেশিয়াল করলেই তৎক্ষণাৎ ফল পাওয়া যায়। তাই এই ধরনের ফেশিয়াল বিয়ের দিনদুয়েক আগে করানোই ভাল। এর প্রভাব প্রায় দু’মাস পর্যন্ত থাকে। ফেশিয়াল-পরবর্তী লাবণ্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য!
এই ফেশিয়ালের পর সাধারণত এক ধরনের এলইডি লাইট থেরাপি দেওয়া হয়। এতে ছ’রকমের লাইট ব্যবহার করা হয় যা, অ্যাকনের সমস্যা কমায়, ত্বক দৃঢ় করে এবং দাগছোপের ফুটে ওঠাও কমায়।
লেজ়ার হেয়ার রিডাকশন:
বিয়ের আগে প্রায় সকলেই এই ধরনের হেয়ার রিডাকশন করাতে চান। বিশেষ করে ফেশিয়াল হেয়ার, যেমন আপারলিপ, চিন, সাইডবার্ন এবং আন্ডারআর্ম হেয়ার রিডাকশন বিশেষ জনপ্রিয় কনেদের মধ্যে। আবার অনেকে ফুল বডি হেয়ার রিডাকশনও বেছে নেন। এই প্রতিটি ট্রিটমেন্টই বেশ সময়সাপেক্ষ। অন্ততপক্ষে ছ’টা সেশন লাগেই। তাই বিয়ের অন্তত এক বছর আগে থেকে শুরু না করলে, আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না।
ডার্ক সার্কলের সমস্যায়:
আধুনিক লাইফস্টাইলের কল্যাণে এই সমস্যাও এখন প্রায় প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কমন। তবে সকলের সমস্যার প্রাবল্য এক নয় অবশ্যই। চোখের চারদিকে হালকা ডার্ক সার্কল থাকলে, বিশেষ ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন নেই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই ডার্ক সার্কলের সমস্যা অত্যধিক থাকে। এতটাই বেশি যে মেক-আপের সাহায্যেও তা পুরোপুরি ঢেকে ফেলা কঠিন হয়। যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ডার্ক সার্কল রিমুভ্যাল করাতে পারেন। দু’ভাবে এই ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। প্রথমত আন্ডারআই পিলিং করানো যেতে পারে। অথবা কিউ-সুইচের সাহায্য নিতে পারেন। তবে এই সমস্যায় ট্রিটমেন্টের পর বিশেষ কিছু অয়েনমেন্টও ব্যবহার করা জরুরি। চোখের নীচের ত্বক যেহেতু খুব নরম এবং পাতলা হয়, তাই তা ভাল রাখতে অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া দরকার। নাহলে ডার্ক সার্কল ফিরে আসতে পারে।
এর বাইরেও বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্টের অপশন রয়েছে এখন। অনেক কনেই নির্দিষ্ট স্কিন কনসার্ন নিয়ে আসেন। কারওর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফেশিয়াল হেয়ারের সমস্যা দেখা যায়, কেউ আন্ডারআর্ম ডার্কেনিংয়ের সমস্যায় ভোগেন। এই ধরনের সমস্যার জন্য আলাদা ট্রিটমেন্ট রয়েছে। আন্ডারআর্ম, এলবো বা নি ডার্কেনিং কমাতে ফুল বডি পলিশিং করাতে পারেন। এটা কিন্তু ফিজ়িক্যাল পলিশিংয়ের চেয়ে আলাদা। এক্ষেত্রে পলিশ করার জন্য বিশেষ ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নেওয়া হয় এবং চটজলদি ভীষণ ভাল ফল পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে হাই ইনটেনসিটি বডি অ্যান্ড ফেশিয়াল টোনিং। ত্বক যৌবনোচ্ছ্বল দেখাতে এই ধরনের ট্রিটমেন্টের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া ডাবল চিন রিডাকশন, জ লাইন কারেকশনের জন্য রয়েছে মাইক্রোনিডলিং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। পাশাপাশি মুখে যদি কোনও ধরনের ক্ষতচিহ্ন থাকে, বা কেউ যদি ট্যাটু রিমুভ করাতে চান, তার জন্যও আলাদা ট্রিটমেন্টের সুযোগ রয়েছে।
অ্যাডভান্সড ফেশিয়াল:
শুধুমাত্র ত্বকের গুরুগম্ভীর সমস্যাতেই যে টেকনোলজির দ্বারস্থ হবেন, তা কিন্তু নয়। চিরাচরিত ফেশিয়াল বা স্পায়ের বাইরে গিয়ে যাঁরা বিশেষ কোনও যত্ন নিতে চাইছেন বিয়ের আগে, তাঁদের জন্য নানা ধরনের অ্যাডভান্সড ফেশিয়ালের অপশনও রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভ্যাম্পায়ার ফেশিয়াল এবং কার্বন পিল ফেশিয়াল।
ভ্যাম্পায়ার ফেশিয়াল: এটি মূলত এক ধরনের প্লেটলেট-রিচ প্লাজ়মা ফেশিয়াল। আমাদের রক্তে যে প্লেটলেট থাকে, তা ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধিয়ে নিরাময়ে সাহায্য করে। আর রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ক্ষতস্থানের আশেপাশে থাকা কোষ বেশিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই মেকানিজ়মই কাজে লাগানো হয় এই বিশেষ ফেশিয়ালে। এক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের শরীর থেকে সামান্য রক্ত (প্লেটলেট) সংগ্রহ করে, প্রথমে সেন্ট্রিফিউজ়ে ঘোরানো হয়। এতে প্লেটলেটস আলাদা হয়ে যায়, যা তারপর যথাযথ স্থানে ইনজেক্ট করা হয়। প্লেটলেট বিভিন্ন জরুরি নিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায়, ত্বকে খুব সুন্দর গ্লো আনে। ভাল ফল পেতে হলে বিয়ের তিন-চারমাস আগে (প্রতিমাসে একটা করে সেশন) এই ফেশিয়াল করানো প্রয়োজন।
সব ধরনের ত্বকেই এই ফেশিয়াল কার্যকরী। তবে শুধু ত্বকে লাবণ্য আনতেই নয়, কারওর যদি চুল নিয়ে সমস্যা থাকে, রুক্ষতা বেড়ে যায় বা চুল পড়ার প্রবণতা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্লেটলেট সংগ্রহ করে তা স্ক্যাল্পেও ইনজেক্ট করা যেতে পারে। এতে চুলের স্বাস্থ্যও ফেরে এবং নতুন চুলও ওঠে।
কার্বন পিল ফেশিয়াল: এক্ষেত্রে ত্বকে কার্বন পিলিং করা হয়। এই ফেশিয়াল ত্বক রিজুভিনেট করতে উপযোগী।
ফেশিয়াল স্ক্রিনিং:
শরীরের রোগ নির্ণয়ের জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিনিং করা হয়, তেমনই ত্বকের সমস্যা বুঝতে হলেও প্রথমে স্ক্রিনিং করে নিলে ভাল। এখন বিভিন্ন অ্যাডভান্সড বিউটি ক্লিনিকেই স্কিন স্ক্রিনিংয়ের সুবিধা রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে যা ধরা পড়ে না, এই ফেশিয়াল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ত্বকের সেই প্রবলেম-জ়োনগুলোও চিহ্নিত করা যায়। এতে ত্বকের ঠিক কী কী প্রয়োজন, সেটাও বোঝা যায় এবং সেইমতো ট্রিটমেন্টও করা যায়।
খরচ:
প্রত্যেক ট্রিটমেন্টের খরচ আলাদা। লেজ়ারের ক্ষেত্রে যেমন আপারলিপ হেয়ার রিডাকশনের খরচ শুরু ২০০০টাকা থেকে। ফুল বডি লেজ়ারের খরচ অবশ্যই বেশি। এছাড়া ফেশিয়াল, ফিলারস বা পিলিংয়ের খরচ অনেকটা নির্ভর করে ত্বকের অবস্থার উপর। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে খরচ ভিন্ন হতে পারে। যত বেশি সেশন প্রয়োজন হবে, খরচও তত বাড়বে।
কেন করাবেন এই ধরনের ট্রিটমেন্ট?
এই ধরনের ট্রিটমেন্ট ডার্মাটোলডিক্যালি টেস্টেড এবং সায়েন্টিফিক্যালি ব্যাকড। তাছাড়া এগুলো সবই ডার্মাটোলজিস্টদের তত্ত্বাবধানে করা হয় বলে, ত্বক আর চুলের পক্ষেও নিরাপদ।
এই ধরনের ট্রিটমেন্ট শুধুমাত্র ত্বকের উপরিভাগেই কাজ করে না, বরং ত্বকের গভীরে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে। তাই সাধারণ ফেশিয়াল বা স্পায়ের তুলনায় কার্যকারিতাও অনেক বেশি।
একই কারণে এই ধরনের ট্রিটমেন্টের প্রভাবও দীর্ঘস্থায়ী হয়।
পোস্ট ট্রিটমেন্ট কেয়ার:
প্রতিটিই যেহেতু মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট, তাই সেশনের পরে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
পোস্ট-ট্রিটমেন্ট কেয়ারে সবচেয়ে জরুরি হল সানস্ক্রিন। এই ধরনের ট্রিটমেন্ট করার পর ত্বক সাময়িকভাবে সেনসিটিভ হয়ে পড়ে। তাই এই সময় ত্বকের বাড়তি প্রোটেকশন জরুরি। তাই ঘরে থাকুন বা বাইরে বেরন, দিনের বেলা উচ্চ এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন। ঘণ্টাখানেক অন্তর সানস্ক্রিন রি-অ্যাপ্লাইও করুন।
নিয়মিত ত্বক ময়শ্চারাইজ় করাও দরকার। ত্বকের প্রপার হাইড্রেশন লেভেল বজায় না রাখলে কোনও ট্রিটমেন্টই কার্যকর হবে না।
লেজ়ার হেয়ার রিডাকশনের পর ঘাম হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই ওই সময় আরও অতিরিক্ত ঘাম হবে, এমন কোনও অ্যাক্টিভিটি না করাই ভাল।
লেজ়ার হেয়ার রিডাকশনের দু’টো সেশনের মাঝে বা শেষে শেভিং, থ্রেডিং বা ওয়্যাক্সিং করা উচিত নয়।
পোস্ট-সেশনে ত্বককে সব ধরনের তাপ থেকে দূরে রাখুন। এই সময় ত্বকে ভুলেও গরমজল ব্যবহার করবেন না।
ট্রিটমেন্টের বিশদ তো জেনেই গেলেন। এবার শুধু সশরীরে ক্লিনিকে যাওয়ার পালা। তবে শুধু ট্রিটমেন্ট করলেই হবে না, আগামী ক’মাস নিজের খেয়ালও রাখতে হবে। নতুন জীবনের সূচনা লগ্ন স্মরণীয় করে রাখতে এটুকু আর এমন কী!
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url