New Joke's in Bengali | নতুন মজাদার হাসির জোক

 


১। রোগী: ডাক্তার, এই রোগে আমার বাঁচার সম্ভাবনা কত পার্সেন্ট?

চিকিৎসক: সাধারণত এ রোগে প্রতি দশ জনে এক জন বাঁচে।

রোগী (কাঁদো-কাঁদো): বলেন কী! তা হলে আমার বাঁচার ভরসা কোথায়?

চিকিৎসক: রিল্যাক্স! আপনি আমার দশম রোগী। এর আগের নয় জনই মারা গেছেন। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।


২। বুলি: আন্টি, মা এক কাপ চিনি দিতে বলেছে! দেবে কি তুমি?

আন্টি: দাঁড়াও মা, দিচ্ছি। আর কিছু বলেছে?

বুলি: হ্যাঁ, আরও বলেছে। বলল, ওই কৃপণ মহিলা যদি না দেয়, তা হলে সীমা আন্টির কাছে গিয়ে নিয়ে আসিস!


৩। গভীর রাত। স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে। হঠাৎ দরজায় দুম দুম আওয়াজ। ভদ্রলোক ঘুম-ঘুম চোখে এসে দরজা খুললেন। দেখলেন, এক জন দাঁড়িয়ে। ভদ্রলোককে দেখে বললেন, ‘‘আসুন ঠেলতে হবে।’’

লোকটার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে ভদ্রলোক ফিরে এলেন। স্ত্রী জানতে চাইলে সব বললেন। তখন ভদ্রমহিলা বললেন, ‘‘মনে আছে, এক বার মাঝ রাতে আমাদের গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তখন এক লোকের বাড়িতে গিয়ে আমরা এ ভাবেই দরজায় ধাক্কা দিয়েছিলাম...’’

অগত্যা ভদ্রলোক ফের এসে দরজা খুললেন। হাঁক দিয়ে বললেন, ‘‘আপনি আছেন? এখনও ঠেলতে হবে?’’

অন্ধকারে আওয়াজ এল, ‘‘হবে। বেরিয়ে আসুন।’’

ভদ্রলোক বেরোলেন। বললেন, ‘‘আপনি কোথায়?’’

অন্ধকার থেকে ফের জবাব এল, ‘‘এই তো পাশের পার্কের দোলনায় বসে।’’



৪। এক ভদ্রমহিলা প্রবল বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন হাইওয়ে দিয়ে। পুলিশের নজরে পড়ায় তিনি গাড়ি থামালেন।

সার্জেন্ট : আপনার লাইসেন্স দেখি?

খানিক ইতস্তত করে ভদ্রমহিলা বললেন, ‘‘নেই। আমি তো ঠিক জানতাম না, হাতের কাছে এমন গাড়ি পেয়ে যাব!’’

সার্জেন্টের কেমন সন্দেহ হল। তিনি ফের বললেন, ‘‘গাড়ির কাগজ দেখান?’’

ভদ্রমহিলা আবার একই ভাবে বললেন, ‘‘আসলে আমি এই গাড়িটা চুরি করেছি। আর গাড়ির মালিকের লাশ ওই ডিকিতে!’’

সার্জেন্ট আর সময় নষ্ট করলেন না। মোবাইলে খবর পাঠালেন ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশের বড় গাড়ি এসে থামল। সেখান থেকে এক জন বড় অফিসার নামলেন। পুলিশ কনস্টেবলরা ঘিরে ধরল গাড়িটাকে।

অফিসার এ বার ভদ্রমহিলাকে বললেন, ‘‘সরি। আপনাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’’

ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে বললেন, ‘‘কেন? এই তো লাইসেন্স। এই যে গাড়ির কাগজ!’’

অফিসার থতমত খেয়ে বললেন, ‘‘এই সার্জেন্ট যে বলল, আপনি এক জনকে খুন করে গাড়ি চুরি করেছেন!’’

ভদ্রমহিলা বিস্মিত হয়ে বললেন, চুরি! খুন! কী বলছেন আপনি?’’

অফিসার তখন গাড়ির ডিকি খুলে দেখলেন। ডিকি ফাঁকা। 

ভদ্রমহিলা সঙ্গে-সঙ্গে বললেন, ‘‘এর পর তো উনি এ-ও বলবেন যে, আমি জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।’’


৫। শিক্ষক: দেব আর অসুর সন্ধি করো।

ছাত্র: সন্ধি হবে না স্যর।

শিক্ষক: কেন?

ছাত্র: স্বয়ং ব্রহ্মাও পারেননি!



৬। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে এক জন রোগী দৌড়ে বেরিয়ে এলেন চেঁচাতে-চেঁচাতে, ‘‘বাঁচাও-বাঁচাও!’’

এক জন সেই রোগীকে চেপে ধরলেন। বললেন, ‘‘কী হয়েছে?’’

রোগী বললেন, ‘‘আমি শুয়ে-শুয়ে শুনলাম, নার্স বলছেন, ‘একদম ভয় পাবেন না। ভয় পেলেই সব ভেস্তে যাবে। মনে সাহস আনুন। আপনাকে এই অপারেশনের পর বাঁচতে হবে...’’’

এ বার ভদ্রলোক বললেন, ‘‘এ তো ভাল কথা। তাতে এত ভয় পাচ্ছেন কেন?’’

রোগী আতঙ্কিত গলায় বললেন, ‘‘নার্স আমাকে নয়, ডাক্তারবাবুকে বলছিলেন।’’



৭। ছোট্ট মিনু বাবাকে খুব ভালবাসে। 

বাবা: মিনু দ্যাখ, আমি তোর জন্য কী দারুণ একটা চাইনিজ় রেডিয়ো কিনেছি।

মিনু: বাবা, কবে তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি হবে? আমরা তো চাইনিজ় ভাষাটাই জানি না। তা হলে কী করব এই রেডিয়ো দিয়ে?


৮। এক ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনলেন বিল্টুবাবু। বাসায় গিয়ে দেখলেন, ওষুধের মেয়াদ কবেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই আবার দোকানে এলেন। এসে দোকানদারের সঙ্গে কথা হল নিম্নরূপ–

বিল্টুবাবু: আমাকে মারার জন্য ওষুধ দিয়েছেন? ওষুধের এক্সপায়ারি ডেট কবে পেরিয়ে গিয়েছে!

দোকানদার: আজ দশ বছর হল, আমি ওষুধ বিক্রি করছি। কেউ কোনও দিন অভিযোগ করেনি। আপনার মুখেই এই প্রথম অভিযোগ শুনছি।

বিল্টুবাবু: ভুলে যাচ্ছেন কেন, মৃতরা কোনও দিন অভিযোগ করতে পারে না।



৯। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছে এক যুবক। নানা প্রশ্নের মাঝে এক বার প্রশ্নকর্তা তার কাছে জানতে চাইলেন একটা ব্যতিক্রমী প্রশ্ন।

প্রশ্নকর্তা: কখন বুঝবেন, আপনার ইনসমনিয়া (অনিদ্রা) গুরুতর হয়ে উঠেছে?

উত্তরদাতা: যখন অফিসের মিটিংয়ে বসেও আপনার ঘুম পাবে না!


১০। নদীর ময়লা জলে ঝন্টুকে নামতে দেখে এক পথিক খুবই অবাক হলেন!

পথিক: ময়লা নদীর জলে কী করছেন?

ঝন্টু: দেখতে পাচ্ছেন না, চান করছি।

পথিক: ময়লা জলে চান করে কী লাভ?

ঝন্টু: সমস্যা নেই আমার। সাবান দিয়ে চান করছি তো।



১১। কর্তা: যা তো পটল, একটা খালি ট্যাক্সি ডেকে নিয়ে আয় তো!

কিছু ক্ষণ পর পটল ফিরে এসে ব্যাজার মুখে বলে, ‘‘স্যর, একটাও খালি ট্যাক্সি পেলাম না। সবেতেই ড্রাইভারের সিটে কেউ না-কেউ বসে!’’



১২। জাদুঘরে ঘুরতে-ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়ল রন্টি।

‘হায়-হায়’ করে ছুটে এলেন জাদুঘরের কর্মীরা। বললেন, ‘‘আরে, করছেন কী করছেন কী! এটা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার চেয়ার!’’

রন্টি বলল, ‘‘ভাই, একটু বসি। সিরাজবাবু যদি আসেন, নিশ্চয়ই উঠে যাব।’’


১৩। নার্স ঘুমন্ত রোগীকে জোর করে ডেকে তুলছেন দেখে চিকিৎসক বাধা দিলেন, ‘‘আরে-আরে, করছেন কী? অযথা ঘুমন্ত রোগীকে ডাকছেন কেন?’’

নার্স: স্যর, রোগীর এখন ওষুধ খাওয়ার সময়। না-ডাকলে সঠিক সময়ে তার ওষুধ আর খাওয়া হবে না।

চিকিৎসক: কিসের ওষুধ, যেটা তাকে এখনই খাওয়াতে হবে?

নার্স (চিন্তিত মুখে): ঘুমের ওষুধ স্যর।



১৪। মা রাত করে অফিস থেকে ফিরে দেখলেন ছোট বাবলু প্রচণ্ড কান্নাকাটি করছে। পাশে তার বাবা হতবুদ্ধি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর হাতে বাবুর একগাদা খেলনা। এটা দেখে মা খুবই বিরক্ত হলেন। বাবাকে বকতে শুরু করলেন।

মা: এত কাণ্ড না করে বাচ্চাকে ঘুমপাড়ানি গান শোনালেই তো পারতে! জানো না, গান শুনলেই সে ঘুমিয়ে পড়ে!

স্বামী: সেই চেষ্টাও কি করিনি ভাবছ? কিন্তু তাতে বাবলুর চোখে ঘুম তো এলই না, উল্টে পাশের ফ্ল্যাটের কাকিমা এসে বলে গেলেন, ‘এর চেয়ে বাবলুকে কাঁদতে দাও, প্রাণে বাঁচি। তোমার গানের চেয়ে ওর কান্না যে বেশি সুরেলা, বাছা।’


১৫। নাতি: দাদু, ঘুম আসছে না... আচ্ছা দাদু, আমাদের পরিবার কী সারা জীবন সাত জনেরই থেকে যাবে? মানে তুমি, ঠাম্মি, বাবা, মা, বোন, আমি আর আমাদের বিড়ালছানা টুসু...

 দাদু: এ বার আমরা একটা ডগি কিনব, ওর নাম রাখব রাঞ্চো। তখন আমরা আট জন হয়ে যাব।

 নাতি: কিন্তু ডগিটা তো ক্যাটিকে মেরে ফেলতে পারে। তখন আমরা আবার সাত জন হয়ে যাব।

দাদু: তোমার আবার ভাই হলে...

নাতি: কিন্তু তুমি মারা গেলে আমরা আবার সাত জন হয়ে যাব।

দাদু: তুই যা তো। গিয়ে টিভি দ্যাখ।



১৬। কাপড়ের দোকানে চুরি করে চোর ধরা পড়েছে। তার পর এক সময় কোর্টে তোলা হয়েছে। 

বিচারক : ছিঃ ছিঃ! চুরি করার সময় এক বারও তোমার স্ত্রী আর মেয়ের কথা মনে হয়নি? 

চোর : হয়েছে হুজুর। কিন্তু কিছু করার ছিল না। দোকানটায় শুধু ছেলেদের কাপড়ই ছিল যে।


১৭। স্যর: ‘হু স্পিলড টি অন দ্য টেব্‌ল?’-এই বাক্যটাকে নিজের মাতৃভাষায় অনুবাদ করো। 

বল্টু : মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা স্যর? 

স্যর : ঠিক। 

বল্টু : ‘গেল গেল গেল... দিল সব বারোটা বাজিয়ে...! দিন-রাত খেটে-খেটে মরছি। আমার কাজ না বাড়ালে তোর শান্তি হয় না রে, বদমাশ...’  

স্যর হতবাক!


১৮। অণিমাদেবী: আমাদের সময়টা কত ভাল ছিল। শুধু ভালই না, কী সস্তা, কী সস্তা! পাউরুটি, দুধ, সাবান, ডিম, চাল, আটা, মাংস— সারা দিনের বাজার করতে হয়তো বড় জোর একশো টাকা লাগত।

ছোট্ট বিনু: এখন ওসব করার কথা মনেও এনো না। চার দিকে সিসিটিভি লাগানো।



১৯।  শিক্ষক: বলো তো ১৮০৯ সালে কে জন্মেছিল?

ছাত্র: আব্রাহাম লিঙ্কন।

শিক্ষক: বাহ গুড। আর ১৮১৯ সালে কী ঘটেছিল মনে আছে?

ছাত্র: ওঁর ১০ বছর বয়স হয়েছিল স্যর।


২০। তপনকে নিয়ে সকলেরই চিন্তা ছিল। নতুন চাকরি পেল ব্যাঙ্কে। বাড়ির সকলে, বন্ধুবান্ধব খুব খুশি। এক সপ্তাহও হয়নি, চাকরি চলে গেল। চাকরি যাওয়ায় খুব মন খারাপ। রাস্তায় ছেলেবেলার বন্ধু রাকেশের সঙ্গে দেখা হল।

রাকেশ: কীরে, চাকরিটা গেল কী করে? কী করলি এর মধ্যে?

তপন: আর বলিস না। কিছুই করিনি। এক জন বয়স্ক মহিলা এসে বলল, ওঁর ব্যালান্সটা চেক করতে। শুনে আমি ওঁকে একটু ঠেলেছি। ব্যস, দমাস করে পড়ে গেলেন। ওঁরই কথা অথচ...দুনিয়াটাই জানিস তো বেইমান!


২১। শিক্ষক: আচ্ছা বলো তো, এই পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণীর নাম কী?

ছাত্র: স্যর, জ়েব্রা।

শিক্ষক: আচ্ছা! কেন?

ছাত্র: এটা তো খুব সহজ স্যর! পুরনো মানেই তো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট, আর জ়েব্রাও তো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট।



২২। বেশ রসিক মানুষ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। কাছের মানুষদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মজা করতেন। এক বার এক গরিব ব্ৰাহ্মণ বিদ্যাসাগরের কাছে সাহায্যের জন্য এসেছেন।

তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বলছেন, ‘‘আজ্ঞে, আমি পাঠশালায় ছাত্র পড়াতাম। জমিদারের শয়তানিতে চাকরি গেছে। বড়ই দুরাবস্থায় আছি।’’

বিদ্যাসাগর শুনেই বললেন, ‘‘আপনার যে চাকরি থাকবে না তা দুরবস্থার আ-কার দেখেই বুঝতে পারছি।’’

তোমরা বুঝলে তো?


২৩। এক মাসে রিঙ্কুদের বাড়ি ফোন বিল অস্বাভাবিক বেশি এল। রাতে সকলে বাড়ি ফিরলে জরুরি মিটিং বসল।

বাবা: আমি গত মাসে বাড়ির ফোনটা একবারও ধরিনি। আমি সব ফোন করেছি অফিসের ফোন থেকে।

মা: আমিও গত মাসে কোনও ফোন ল্যান্ডলাইন থেকে করেছি বলে মনে হয় না। আমার সমিতির অফিসের ফোনটাই আমি ব্যবহার করি।

ছেলে: আমার তো বাড়ি থেকে ফোন করার প্রশ্নই আসে না। কোম্পানি আমাকে মাসে-মাসে মোবাইলের বিল দেয়। আমি অফিসের সেই মোবাইলই ব্যবহার করি।

কাজের মেয়ে: তা হলে তো কোনও সমস্যাই দেখছি না। আমরা সকলে যার-যার অফিসের ফোন ব্যবহার করি!


২৪। মুখার্জিসাহেবের দুনিয়ায় কেউ নেই। বেড়াতে গিয়েছেন উনি আর চাকর ভোলা। নতুন জায়গায় গিয়ে ভোলা কেমন ঘাবড়ে গিয়েছে। এক দিন খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গিয়েছে। সাহেব চাকরকে ডেকে তুললেন।

সাহেব: এই দ্যাখ তো সূর্য উঠেছে কি না?

ভৃত্য: একটু সবুর করুন, স্যর। টর্চটা জ্বেলে নিয়ে আসি।



২৫। বিক্রেতা: এই নাও, তোমাকে ওজনে একটু কম দিলাম। বাসায় নিয়ে যেতে সুবিধে হবে।

পল্টু: হুঁ, বেশ। এই নিন টাকা।

বিক্রেতা: এ কী! মাছের দাম তো একশো টাকা, দশ টাকা দিলে কেন?

পল্টু: টাকা একটু কম দিলাম। তাতে আপনার গুনতে সুবিধে হবে! ঠিক বলিনি?



২৬। পরীক্ষায় রচনা এসেছে, নৌকাভ্রমণ। এখন খাতা দেখছেন স্যর।

স্যর: বল্টু, হাতের লেখা এত খারাপ হয়েছে কেন রে?

বল্টু: আর বলবেন না স্যর। নৌকায় ছিলাম তো! নৌকা দুলছিল।


২৭। শিক্ষক: বলো, পৃথিবীতে মোট ক’টি দেশ?

সুজয়: একটা।

শিক্ষক: কী ভাবে?

সুজয়: আহা স্যর, বাকিগুলো তো স্যর সব বিদেশ।



২৮। বাবা: তোকে না বলেছিলাম, পাশ করলে সাইকেল কিনে দেব।

ছেলে: হ্যাঁ, বলেছিলে।

বাবা: তবুও ফেল করলি! লেখাপড়া বাদ দিয়ে কী রাজকার্য করছিলি?

ছেলে: কেন, সাইকেল চালানো শিখছিলাম!



২৯। রোগী: আজ আমি বুঝতে পারছি, সামান্য জ্বরও যে কত ভয়াবহ হতে পারে।

ডাক্তার: কী ভাবে বুঝলেন?

রোগী: কী ভাবে আর! আপনার লেখা ওই প্রেসক্রিপশনের কাগজটা দেখে!

ডাক্তার: তাতে কী?

রোগী: এত ওষুধ কেনার টাকা কোথায় পাব, ভেবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।


৩০। তিন জন পাগল এক সঙ্গে বসে গল্প করছে। 

প্রথম পাগল: পুরো এশিয়া মহাদেশ আমার।

দ্বিতীয় পাগল: আরে! পুরো পৃথিবীটাই তো আমার।

তৃতীয় পাগল: আরে বাবা! আগে তো আমি এগুলো বিক্রি করি...



৩১। বল্টুর একটু হাতটান আছে। ও দিকে  আবার গুল মারতেও ওস্তাদ। 

মালিক: এই বল্টু, তুই আমার নারকেল গাছে কেন?

বল্টু: গরুর জন্য ঘাস কাটতে উঠেছি।

মালিক: তোর কি মাথা খারাপ, নারকেল গাছে ঘাস পাবি কই?

বল্টু: ঘাস পাইনি, তাই তো নামছি।

পর দিন আবারও বল্টু গেল চুরি করতে। ধরা পড়ার পর মালিক অবাক।

মালিক: তুই আবার গাছে উঠেছিস কেন?

বল্টু: না, কাল ঘাস কাটার কাঁচিটা ফেলে গেছিলাম। নিতে এলাম।


৩২। ক্লাসে শিক্ষক তার ছাত্রদের ইংরেজি পড়াচ্ছেন, হঠাৎ এক ছাত্রের মনে প্রশ্ন উদয় হল।

ছাত্র: আচ্ছা স্যর, ‘নাটুরে’ মানে কী?

শিক্ষক: তোর ‘নাটুরে’র বানানটা কী হবে, আমায় বল তো?

ছাত্র: স্যর এন এ টি ইউ আর ই।

শিক্ষক: ওরে গাধা, ওটা নাটুরে না। ওটা হবে ‘নেচার’ মানে ‘প্রকৃতি’। বের হয়ে যা আমার ক্লাস থেকে, আজই তোকে টিসি দিয়ে দেব।

ছাত্র: স্যর, প্লিজ়-প্লিজ় এমন করবেন না। তা হলে আমার ‘ফুটুরে’ নষ্ট হয়ে যাবে।



৩৩। নতুন বাংলার স্যর এসেছেন। বাংলা ব্যাকরণ পড়ানোর সময় শিক্ষক অন্যমনস্ক এক ছেলেকে পড়া জিজ্ঞেস করলেন।

শিক্ষক: এই ছেলে, সর্বনাম পদের দুটো উদাহরণ দাও তো।

ছেলেটি হকচকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল।

ছাত্র: কে? আমি?

শিক্ষক (প্রীত হয়ে): গুড, হয়েছে। বসো।


৩৪। একদিন শিক্ষক ক্লাসে পড়াচ্ছেন।

শিক্ষক: আচ্ছা, বলতে পারো দুধের সঙ্গে বিড়ালের কোনখানে মিল আছে?

ছাত্র: স্যর, এটা তো খুব সহজ প্রশ্ন।

শিক্ষক: তা হলে বলো।

ছাত্র: স্যর, দুটো থেকেই ‘ছানা’ পাওয়া যায়।



৩৫। দুই ছাত্র মারামারি করার পর শিক্ষক তাদের শাস্তি হিসেবে নিজের নাম একশো বার করে লিখতে বললেন।

প্রথম ছাত্র: স্যর, আপনি বল্টুর পক্ষে রায় দিয়েছেন। বিচার ন্যায্য হয়নি।

শিক্ষক: কেন! আমি তো দু’জনকেই সমান ভাবে একশো বার নাম লিখতে দিয়েছি!

প্রথম ছাত্র: স্যর, ওর নাম হচ্ছে বল্টু। আর আমার নাম হচ্ছে অনন্ত বিক্রম রায় চৌধুরী।



৩৬। পিকলুর মা: আরে শুনছ, রাস্তার উল্টো দিকে ওই বেগুনি বাড়ির পিঙ্কি অঙ্কে একশোর মধ্যে নিরানব্বই নম্বর পেয়েছে। 

বাবা: আচ্ছা, তা হলে ১ নম্বরই বা কোথায় গেল?

মা: আর কোথায় যাবে? আমাদের গুণধর ছেলে মার্কশিটে করে নিয়ে এসেছে।


৩৭। পড়া ফাঁকি দেওয়া ছাত্রকে হাতে-নাতে ধরে ফেললেন শিক্ষক।

শিক্ষক: বল, গঙ্গা নদী কোথা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে?

ছাত্র: জমির উপর দিয়ে প্রবাহিত, স্যর?

শিক্ষক: এই ম্যাপের মধ্যে এসে দেখা, গঙ্গার জলধারা কোথা থেকে উৎপন্ন হয়ে কোথায় গিয়ে মিশেছে?

ছাত্র: আপনার মানচিত্র তো কাগজের তৈরি। জল লাগলেই ভিজে যাবে। সেখানে নদী থাকার কোনও চান্সই নেই!


৩৮। নিজেকে খুব পাকা শিকারি হিসেবে জাহির করে মামা ভাগ্নেকে নিয়ে শিকার করতে গেলেন। একঝাঁক উড়ন্ত বক দেখে মামা থমকে দাঁড়ালেন।

মামা: দেখিস, এখান থেকে গুলি করে একটাকে ফেলে দেব।

মামা গুলি করলেন, কিন্তু একটা বকও পড়ল না।

ভাগ্নে: কই মামা, গুলি তো লাগল না।

মামা: নারে, পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনাটাই এখন ঘটেছে। গুলি লাগার পরও বক উড়ে যাচ্ছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url