Marriage Registry: বাড়িতে বিবাহ রেজিস্ট্রি অনুষ্ঠান আছে কি রান্না করবেন দেখে নিন

 


Marriage Registry: বাড়িতে বিবাহ রেজিস্ট্রি অনুষ্ঠান আছে কি রান্না করবেন দেখে নিন


লোকজন ডেকে, আচার-অনুষ্ঠান মেনে বিয়ে করার মজা নিঃসন্দেহে আলাদা! কিন্তু আজকাল সকলের সে রকম লোকবল কই? অনেকেই আবার চান, অল্প কিছু ঘনিষ্ঠ লোককেই সাক্ষী রেখে নতুন জীবনে প্রবেশ করতে। তাঁদের জন্য ভাল অপশন হল, সইসাবুদের পর একটা পার্টি বা রিসেপশন। খুব বেশি নিমন্ত্রিত থাকেন না। যাঁরা সত্যিকারের কাছের মানুষ, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন বর-কনে ও তাঁদের পরিবার। 

তা ছাড়া যাঁরা সাজগোজ এবং খাওয়াদাওয়ায় একটু এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ করেন, রিসেপশন পার্টি তাঁদের জন্যও আদর্শ। চিরাচরিত প্রথায় না সেজে একটু অন্য রকমভাবে সাজা যায় ইচ্ছে হলে। মেনুতেও করা যায় নানা এক্সপেরিমেন্ট। যেহেতু বেশ কয়েকদিন ধরে টানা খাওয়াদাওয়ার ব্যাপার থাকে না, তাই রেজিস্ট্রি-কাম-রিসেপশনের মেনুতে একটু ইনোভেটিভ, অন্য স্বাদের পদ চান অনেকেই। বিশেষ করে ফিউশন মেনু অনেকেরই পছন্দের তালিকার উপরে থাকে। তেমনই কিছু ফিউশন পদ নিয়ে এলাম এবার... যেগুলো ঘরোয়া উপকরণে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায়। আর স্বাদ? নিজেরাই বানিয়ে দেখুন না!

চিজ়ি বিরিয়ানি বল:



উপকরণ: সেদ্ধ করা বাসমতি চাল ২০০ গ্রাম, বিরিয়ানি মশলা ১ চা-চামচ, গাজর-বিন-পেঁয়াজ-কাঁচালঙ্কাকুচি সব মিলিয়ে ১ কাপ, ধনেপাতাকুচি ১ আঁটি, চিজ় কিউব ৫টা, ঘি ২ টেবলচামচ, ব্রেডক্রাম ২০০ গ্রাম, ময়দা ২ টেবলচামচ, নুন আন্দাজমতো, ভাজার জন্য সাদা তেল, মিঠে আতর ১ ফোঁটা।

প্রণালী: বাসমতি চালের ভাত বানিয়ে নিন। সবজিগুলো ভাপিয়ে রাখুন। ভাতের সঙ্গে সবজি, কিছুটা ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমতো নুন, বিরিয়ানি মশলা আর মিঠে আতর মিশিয়ে, ভাল করে মেখে নিন। হাতের তালুতে অল্প ঘি মাখিয়ে ভাত থেকে গোল গোল বল গড়ে নিন। প্রতিটি বলের ভিতর একটা করে চিজ়ের টুকরো দিয়ে, বলের মুখ বন্ধ করে দিন। সামান্য জলে ময়দা গুলে, বলগুলো ডুবিয়ে নিন তাতে। তারপর ব্রেডক্রামে কোট করে নিয়ে, ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। স্টার্টার হিসেবে দারুণ!

কাজুর পুর ভরা নান:



উপকরণ: কাজু গুঁড়ো ১০০ গ্রাম, ময়দা ৪০০ গ্রাম, সাদা তেল ২ টেবলচামচ, দই ৪ টেবলচামচ, ফ্রুট সল্ট ১ প্যাকেট, নুন স্বাদমতো, গরম জল ১ কাপ।

প্রণালী: একটা পাত্রে ময়দা, নুন, তেল, দই আর ফ্রুট সল্ট মিশিয়ে নিন একসঙ্গে। ভাল করে মেখে নিন একবার। তার পর সামান্য গরম জল ছিটিয়ে আর একবার নরম করে মেখে নিন। ঢেকে রাখুন আধঘণ্টা। গ্যাসে একটা চাটু গরম করতে দিন। ময়দা মাখা থেকে লেচি কেটে, প্রতিটা লেচির মধ্যে ১ টেবলচামচ করে কাজু গুঁড়ো দিন। ভাল করে মুখটা বন্ধ করে নানের মতো করে বেলে নিন। নানগুলোর উপর জল-হাত বুলিয়ে, গরম চাটুতে দিন। আঁচ কমিয়ে দেবেন। এক দিক সেঁকা হলে, উলটো পিঠ সেঁকে নিন। দু’পিঠই সেঁকা হলে নামিয়ে, চাইলে মাখন ব্রাশ করে নিন উপর দিয়ে। 


নারকেল মাটন:



উপকরণ: মাটন ৫০০ গ্রাম, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচালঙ্কাবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ ২টো (কুচনো), টোম্যাটো ২টো (কুচনো), লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, জিরেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন এবং চিনি স্বাদমতো, নারকেল কোরা ১ কাপ (মিহি করে বাটা), গরম মশলাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, তেজপাতা ১টা, শুকনো লঙ্কা ১টা।

প্রণালী: মাটনে সব বাটামশলা এবং নুন মাখিয়ে রেখে দিন আধঘণ্টা। কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা, গোটাগরমমশলা আর শুকনোলঙ্কা ফোড়ন দিন। তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে, লাল করে ভাজুন। মাটন দিন। টোম্যাটোকুচি, নুন আর মিষ্টি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। আঁচ কমিয়ে মাংস কষান। তেল বেরতে শুরু করলে নারকেল দিয়ে, আবার কষান। পুরো শুকিয়ে এলে গরম জল দিন পরিমাণমতো। ঢাকা দিয়ে, আধঘণ্টা রান্না হতে দিন। মাটন সেদ্ধ হলে গরমমশলা আর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। নানের সঙ্গে ভাল লাগবে। 

হরা মসালা ফিশ কারি:



উপকরণ: রুই বা কাতলার টুকরো ৪টে, পালংশাক ১ আঁটি, আদা-রসুনবাটা ১ টেবলচামচ, কাঁচালঙ্কা ২টো, টোম্যাটো ২টো, পেঁয়াজ ২টো, জিরেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়ো ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ চা-চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, নুন এবং চিনি আন্দাজমতো।

প্রণালী: মাছ ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর আদা-রসুনবাটা, লেবুর রস, নুন আর সামান্য লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ২০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। পালংশাক ভাপিয়ে, বেটে নিন। টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা আর পেঁয়াজ মিক্সিতে বেটে নিন। প্যানে তেল গরম করে, মাছগুলো লালচে করে ভেজে নিন। ওই তেলেই তেজপাতা, কাঁচালঙ্কা আর গরমমশলা ফোড়ন দিন। তারপর এতে বাটামশলা এবং গুঁড়োমশলাগুলো একে একে দিয়ে দিন। ভাল করে কষান। তেল ছেড়ে এলে পালংশাক দিন। শাকের জল শুকিয়ে এলে মাছগুলো ছেড়ে, নুন আর মিষ্টি মেশান। ৫ মিনিট রান্না হতে দিন। একটু গা-মাখা থাকতে অল্প গরমমশলা আর চাইলে একটু মাখন দিয়ে নামিয়ে নিন।

সয়া পনির বাটার রাইস:



উপকরণ: বাসমতী চাল ৫০০ গ্রাম, পনির ২৫০ গ্রাম, সয়াবিন ১৫০ গ্রাম, মাখন ১০০ গ্রাম, নুন স্বাদমতো, গোলমরিচ ১ চা-চামচ, ক্যাপসিকাম ১টা (লম্বা করে কাটা), লাল এবং হলুদ বেলপেপার ১টা করে (লম্বা করে কাটা)।

প্রণালী: চাল আধঘণ্টা ভিজিয়ে, ভাত রেঁধে নিন। সয়াবিন ভাপিয়ে নিন একটু নুন দিয়ে। প্যানে মাঝারি আঁচে মাখন গরম করুন। গলে গেলে, পনির হালকা করে নেড়ে নামিয়ে নিন। তার পর সয়াবিনও হালকা নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। ওই মাখনেই ক্যাপসিকাম আর বেলপেপারের টুকরোগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। ওর মধ্যে ভাত দিন। নুন-গোলমরিচ মেশান। তার পর পনির আর সয়াবিন দিয়ে, আঁচ বাড়িয়ে দিন। চড়া আঁচে রান্না করুন ২ মিনিট। নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

গুলাব জামুন বাটারস্কচ শট:



উপকরণ: গুলাব জামুন ৪টে, ফুল ফ্যাট মিল্ক ২ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ, বাটারস্কচ এসেন্স ১ ফোঁটা, চিনি ১/২ কাপ, মাখন ১ টেবলচামচ, মাখন ১ টেবলচামচ, বাটারস্কচ নাটস ১০০ গ্রাম, পেস্তাকুচি ১ টেবলচামচ।

প্রণালী: গুলাব জামুনগুলো আধখানা করে কেটে রাখুন। দুধ ফুটিয়ে নিন। তাতে কনডেন্সড মিল্ক মেশান। ঘন হয়ে এলে, বাটারস্কচ এসেন্স মিশিয়ে দিন। আর একটা প্যানে মাখন গরম করে, তাতে চিনি দিন। লাল করে ভেজে, ক্যারামেল বানিয়ে নিন। একটা তেল-মাখানো থালায় ক্যারামেল ঢেলে, ঠান্ডা করে নিন। এরপর শট গ্লাসে প্রথমে কনডেন্সড মিল্ক মেশানো ঘন দুধ ঢালুন। তার উপর বসান অর্ধেক করে কাটা গুলাব জামুন। বাটারস্কচ নাট ছড়িয়ে দিন। আর একবার দুধ ঢেলে, বাকি অর্ধেক গুলাব জামুন, বাটারস্কচ নাট আর পেস্তাকুচি ঢেলে দিন। এভাবে প্রতিটা শট গ্লাস ভরে নিলেই তৈরি গুলাব জামুন বাটারস্কচ শট!

আরো পড়ুন: রিসেপশনে সুস্বাদু সান্ধ্য মুখরোচক

আরো পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে নববধূর প্রথম ভোজ | ঘরোয়া বউভাতের মেনুপ্ল্যানিং

আরো পড়ুন: বাড়িতে বিবাহ রেজিস্ট্রি অনুষ্ঠান আছে কি রান্না করবেন দেখে নিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url