weather: আগামী 24 ঘন্টার আবহাওয়ার খবর | আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার খবর

 আগামী 24 ঘন্টার আবহাওয়ার খবর | আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার খবর


লোকপ্রসিদ্ধির মাঘী শীতের বাঘ এখনও দূরে। তার আগে, শেষ পৌষে শীতের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের শেষ দেখা যাচ্ছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, দক্ষিণবঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ না-বইলেও উত্তরবঙ্গের তিন জেলা— মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ‘শীতল দিন’ মালুম হয়েছে রবিবার। শীতল দিনের অর্থ, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম থাকা। এ দিন সেটাই ছিল ওই তিন জেলায়। শীতের দাপট আজ, সোমবারেও একই রকম থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন গণেশকুমার।

কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় শীতের দাপট অব্যাহত থাকলেও রবিবার রাতের তাপমাত্রার পতন গত কয়েক দিনের মতো হয়নি। কিছু জায়গায় তো তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও সামান্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পুরুলিয়ার মানুষজন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাঁচ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়া তাপমাত্রা খানিক বাড়লেও উত্তুরে হাওয়ার দাপটে কাঁপুনি ছিল দিনভর। শীতের দাপট বাঁকুড়াতেও। সেখানেও একটু বেড়ে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ছুটির দিন থাকায় এমনিতেই রাস্তাঘাট তুলনায় ফাঁকা ছিল। বেড়াতে বেরোনোর পরিকল্পনা থাকলেও ঠান্ডার প্রতাপে অনেকে তা বাতিল করে দেন।

booked.net

স্কুল বন্ধ রাখার পরামর্শ:

প্রবল শৈত্য প্রবাহের মধ্যে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের সমস্ত বেসরকারি স্কুলকে বন্ধ রাখার পরামর্শ দিল দিল্লি সরকার। রবিবার দিল্লির সফদরজংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এ দিন ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাজধানীর অনেক অংশে ঘন থেকে খুব ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে।

নতুন বছরে শীত:

পৌষের পাটালি থেকে নলেন গুড়, আনাজের ঝাঁকা-ভরা সবুজ রঙা মটরশুটি— দেখা দিয়েছে সকলেই! বর্ষ শেষের মাস গড়িয়ে দোড়গোড়ায় অপেক্ষা করছে নতুন জানুয়ারি— আয়োজন সম্পূর্ণ, দেখা নেই শুধু তার, শীতকাল।
রাজ্যের বরাদ্দ, মাস দুয়েকের স্বল্পমেয়াদি শীত এ বার যেন এক কদম এগিয়ে তার পর কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছে। অথচ দিল্লি কিংবা তাকে আঁকড়ে থাকা দেশের সমগ্র উত্তরভাগে এমনকি মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তীসগঢ়ের হাড়াকাঁপানো ঠান্ডার হদিস মিলছে ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই। 
ভরা পৌষে, মরসুমি বনভোজনের ভিড়, বেড়ানোর হিড়িক, চিড়িয়াখানা থেকে ইকো পার্কের সর্পিল লাইনে দাঁড়িয়ে উর্ধ্বমুখী পারদে হাঁসফাঁস অবস্থা সকলের। 

চিকিৎসকদের চেম্বারে সর্দিগর্মির উপসর্গ নিয়ে তাই ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে ভিড়। এখন প্রশ্ন,  বর্ষার পরে এ বার শীতের মুখেও কেন আগল তুলে দিল প্রকৃতি?
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, গাঙ্গেয় উপত্যকায় তৈরি হয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয় বা বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। যা বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প এনে ক্রমশ ছড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকার বায়ুমণ্ডলে। ওই জলীয় বাষ্পই শীতের পথ সুগম করার পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠেছে।  দক্ষিণবঙ্গের বাযুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ না কমলে শীত এ বার অধরাই রয়ে যাবে। 
তবে, শীতকাল তার পুরনো চেহারায় ফিরতে পারে বলে ক্ষীণ একটা আশার কথা শোনা গিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাসের কাছে। 

তিনি জানাচ্ছেন, উচ্চচাপের বাধা কাটতেই ফের তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। গণেশবাবু বলেন, ‘‘উচ্চচাপের বাধায় উত্তুরে বাতাস ঢুকতে না পেরে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। সেই বাধা সরলেই পারদ নামবে। বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এর কাছাকাছি ছিল। তবে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।’’ চলতি সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ আসন্ন নতুন বছরের শেষে শীত তার চেনা চেহারায় স্বস্তি ফিরিয়ে দেবে আম বাংলার বুকে, আশাবাদী গণেশ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url